Friday, 28 February 2020

মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী আসলে দেশে বদরের যুদ্ধে রুপ নেবে।

সিলেট :: ভারতে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএর’র প্রতিবাদ করায় দেশটির রাজধানীতে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতা, মুসলিম গণহত্যা-নির্যাতন ও মসজিদ-মিনারে অঙ্গিসংযোগের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখা।

শুক্রবার বাদ জুমআ বন্দরবাজার দলীয় অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি পয়েন্টে গিয়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জমিয়তের নেতাকর্মী ও মুসলি­রা আবু জাহেলের উত্তরসূরী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে তার দুগালে জুতা নিক্ষেপ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্ত্রাসী মোদী নিরীহ মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। নির্বিচারে গুলি করে মারছে। মসজিদ-মাদ্রাসা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, মিনারে হনুমানের পতাকা লাগিয়েছে। এসব কাজ বিশ্বের ৪০০ কোটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মোদি যোগ দিলে এদেশে বদরের যুদ্ধের পূণরাবৃত্তি হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শাপলা চত্তরে রক্ত দিয়েছি, এ রক্তের দাগ এখনও শোকায়নি। প্রয়োজনে মোদি দেশে আসলে আবারও রক্ত দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তবুও মুসলমানদের উপর কোন ধরণের নির্যাতন সহ্য করবো না।

ভারতের শত শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্য-অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে এমনটা দাবী করে বক্তারা আরও বলেন, ভারতের ঐতিহাসিক বহু স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের অবদানের কাছে আজ পুরো বিশ্ব ঋণী। বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো ভারতকে মুসলিমশূন্য করার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।

বক্তারা বলেন, ইসলাম সবসময় মানবাধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে অমুসলিম সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাদানের কথা বলে। আমাদের দেশের মুসলমানগণ বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। এ দেশে মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেয়ার নজীর আমরা দেখিয়েছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করছে। অথচ ভারতে এর উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় সবসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে। ভারতের উচিৎ হবে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা খয়রুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সালিম ক্বাসেমী, মহানগর জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, হাফিজ কবির আহমদ, মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা আসাদ উদ্দিন, সৈয়দ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।

বিক্ষোভ মিছিলে মোদি বিরোধী স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল সিলেটের রাজপথ।

Wednesday, 26 February 2020

জকিগঞ্জের আটগ্রাম রতনগঞ্জ পাকা রাস্তায় যেন কাদামাটির প্রলেপ।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম টু জকিগঞ্জ রোডের উপর ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি বহনের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে যেন মাটির প্রলেপে পরিনত হয়েছে। শুস্ক মৌসুমে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এসব ধুলা পরিবেশের ক্ষতি যেমন করে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চলাফেরা করা মানুষের। সর্দিকাশি সহ বড় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হালকা বৃষ্টি হলে রাস্তা এত বেশী পিচ্ছিল হয় গাড়ি ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এত্র এলাকার মানুষ। তাই সময় থাকতে প্রশাসন ও এলাকার মানুষ মিলে তা রুখতে হবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও ট্রাফিক পুলিশ মিলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।                                  

Sunday, 23 February 2020

জাল নোট সহ আটক নুরু

গতকাল ২৩-০২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ জকিগঞ্জ থানাধীন ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের সোনাসার বাজারে রাত ০৯.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী মোঃ নূরুল ইসলাম (৪৬), পিতাঃ মৃত কুতুব আলী, সাং-মামরখানী, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেটকে আটক করা হয় এবং তার দেহ তল্লাশী করে ০৭ (সাত) টি ১০০০/- টাকার এবং ০২ (দুই) টি ৫০০/- টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। জানা যায় উক্ত আসামী দীর্ঘ দিন যাবত জকিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে জাল টাকাকে আসল টাকা বলে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছে। এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। টাকা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে তা জাল কিনা সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত।
© মীর আব্দুন নাসের  

ধর্মের নামে অধর্ম আর কতঃ মাজহারুল ইসলাম জয়নাল।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে ধর্মের নামে অধর্মের বাজার জমজমাট।যিনি যতো বেশি বানোয়াট,মিথ্যা কিচ্ছা- কাহিনী বলতে পারেন তিনি ততো বড়ো হুজুর।কেরামতের নামে যত্তোসব আজগুবি মিথ্যা কথা! বাঘ নাকি পীর সাহেবকে এসে সালাম দেয়!সাপ পীরের মুরিদ!কিয়ামতের দিন পীর সাহেব জাহাজ নিয়ে মুরিদেদের রক্ষা করবেন!পীরের সামনে বাঘ আর সাপ হাজির করলে পীরাকি বাঘের পেটে গিয়ে ডুকলো অনে।
বর্তমানে ওয়াজের মার্কেট ধর্ম ব্যবসায় রুপ নিয়েছে,একেকজন হুজুরের হাদিয়া নিম্নে ১০ হাজার আর উপরে ৫০/১ লক্ষ টাকা। ওয়াজ কমিটি রিক্সা চালক,দিনমজুরকেও ছাড় দিচ্ছেন না ধর্মের নামে লক্ষ-কোটি সওয়াবের অফার দিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। (আর ভাড়াটিয়া ধর্মব্যবসায়ী এজন্য বললাম, তাদের পেশাই হচ্ছে ধর্মকে ব্যবহার করে বিনাপঁুজিতে কোটিপতি হওয়া)। চিন্তাকরুন, এক/ দুইঘন্টার আওয়াজে ৫০ হাজার ইনকাম,প্রফেশনাল ওয়াইজ নামক ব্যবসায়ীরা বছরে ধর্মকে পুঁজি করে কোটিকোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। তাদের বাসাবাড়ি,মার্কেট, ব্যাংক ব্যালেন্স দেখলে আপনি অবাক হবেন, অথচ ধর্মব্যবসায়ী হুজুর কোনদিনও তার প্রতিবেশীর অসহায়, দরিদ্র মানুষের কোনো খবর রাখেন না! এগুলোতে তার সময় নেই।অথচ তিনি ওয়াজে মাত্র ৮০০০ টাকার বিনিময়ে ৮ জনকে ৮ টা জান্নাতও বিক্রি করে দেন !
এর নাম কি ধর্ম না অধর্ম?
কোনটা ধর্ম আর কোনটা অধর্ম তা তফাৎ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।ধর্ম মানুষকে নীতি- নৈতিকতা,মানবসেবার শিক্ষা দেয়।প্রিয়নবী সা: সবসময় তার প্রতিবেশির খোঁজ-খবর নিতেন আর ধর্মব্যবসায়ী হুজুর প্রতিবেশির খোঁজ- খবর নিতে পারেন না; কারণ তিনি প্রতিদিন ওয়াজের মার্কেট নিয়েই ব্যস্ত।
অধর্ম মানুষকে সন্ত্রাসী ও ধর্মের নামে ধর্মব্যবসায়ী বানায়। আমি একজন মুসলমান ধর্ম পালন করি, ধর্ম মানি। কিন্তু ধর্মের নামে অধর্ম কখনো মানতে পারি না।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, ধর্ম আর ধর্মের নামে অধর্ম এক নয়। ধর্মের নামে অধর্ম বা ব্যবসা করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেয়েও জগণ্য। যদিও ধর্মব্যবসায়ী হুজুরদের দাবি তারা ধর্ম রক্ষা করছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা ধর্মের সত্যকেই অস্বীকার করে চলেছেন। ধর্মকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন।রাত ১২ টার পরে তাদের আওয়াজের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনসমাজ। কুরান- হাদীসের প্রকৃত শিক্ষা না থাকার কারণে তারা ধর্মকে বাণিজ্যের পণ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়ত দান করুন।

আসুন,এই সমস্থ ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। সত্যিকার নায়েবে – রাসুল আল্লাহওয়ালা আলেমদের কে সম্মান করি, যারা টাকার জন্যে নয় বরং একমাত্র আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্যেই কথা বলেন

সিলেটে আটক সাইফুল ইসলাম সুজনের তথ্যানুসারে তার বসত ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার।


সুরমা নিউজ:
সিলেট নগরীর বাদাঘাট এলাকা হতে আটক শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম সুজনের দেওয়া তথ্যে থেকে জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের তার বসত ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টায় জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের তার বসত ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম সুজনকে শুক্রবার দুপুর ৩টায়, সিলেট নগরীর বাদাঘাট থেকে আটক করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক পরবর্তী সময়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের সাইফুল তার হেফাজতে থাকা অস্ত্রের কথা স্বীকার করে। সুজনের দেয়া তথ্য মতে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মীর মো. আব্দুন নাসেরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ১টায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তার বসত ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনা সংক্রান্তে জকিগঞ্জ থানার এসআই (নি.) নোটন কুমার চৌধুরীর দাখিলকৃত এজাহারের ভিত্তিতে জকিগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানান সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান।

Friday, 21 February 2020

ধর্মীয় অনুভূতির শুভ বুদ্ধির উদয় হোক

ধর্মীয় গুরুদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক, লেখাটি পড়তে ও শেয়ার করতে ভূলবেন না।
----------------
বিবেকহীন জাতি

মুফতি মোস্তফা সুহেল 

সাধারণ মানুষ যদি আমি আলেমকে প্রশ্নের ধরণ এমন হয় যে, হুজুর এটা কি জায়েয? এটা কেমনে জায়েয? আর এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে আপনাকে আমতা আমতা করে দিতে হয়, তখন বোঝে নিন, তার বিবেক আমি আলেমের চেয়ে পরিস্কার, তার শারয়ী ধারণা আমার চেয়ে স্বচ্ছ৷

মাইক দিয়ে ওয়াযের প্যান্ডেলের বাহিরে এমনকি এক/দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায পৌছানো এমন একটি কর্ম যা কেবল শরীয়ত বিরোধি নয়, বিবেকহীনও বটে৷ কুরআন, হাদীস, কিতাব ঘাটাঘাটি না থাকায় যদি এগুলোর অবৈধতার ফতোয়া পান না, তবে বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলেও তো ফতোয়া পেয়ে যেতেন৷ প্রতিটি বড় বড় মাদরাসায় এত মুহাদ্দিস মুফতি থাকতে জানি না কেন কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামান না৷ দেড় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায দিয়ে রাতভর ওয়ায করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া, যে শুনতে চায় না তার কানেও জোরে আওয়ায পৌছানো কোন ইসলাম?

হাজারো মানুষ এসব কর্মের বিরোধি৷ কিন্তু ধর্মীয় এক অজানা ভয়ে কিংবা আপনাদের ফতোয়ার ভয়ে এসবের বিরুদ্ধে আওয়ায তুলতে সাহস পায় না৷ প্রতিদিনের এসব কষ্ট মনে জমতে জমতে এক সময় মানুষ আলেমদের প্রতি এমনকি কেউ কেউ ইসলামের প্রতিও বিরুপ মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠে৷ এসবের দায়ভার কার উপর?

হিন্দুরা তাদের পুজার সময় একটু জোরে সাউন্ড বাজিয়ে আমার ঘর পর্যন্ত পৌছালে কেমন লাগে বলুন? সেখানে আমি যদি আপনার ওয়ায শুনতে ইচ্ছুক না হই, আর আপনি চিল্লিয়ে তা দেড় দুই মাইল পর্যন্ত পৌছান, সারা রাত ঘুম, ইবাদাত, পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটান তখন কেমন লাগবে?

একটু বিবেক জাগ্রত করুন৷ ইসলাম ও মুসলামনকে আর প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না৷ মানুষকে কষ্ট দিয়ে এসব ওয়াযের নযির সালাফে একটিও দেখাতে পারবেন না৷ একজন মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের ওয়াযের এই পদ্ধতি ও সাউন্ড সিস্টেম বৈধ নয়৷

Wednesday, 19 February 2020

শীগ্রই শারজাহ থেকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট শুরু হতে পারে।

বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিবেদকঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। আমিরাত প্রবাসীদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিমান বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

গতকাল মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইতে ‘ট্রাভেল পার্টনার এজেন্ট স্টাফ এপ্রিসিয়েশন গালা’ অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন আরো বলেন, বাংলাদেশ বিমান প্রবাসীদের সুবিধার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। নতুন করে শারজাহ বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত প্রবাসীদের জন্য।

ফ্লাইট শুরু করে কি হবে যদি প্রবাসীদের হয়রানির মাঝে পড়তে হয়। টিকেটের দাম অন্য সব বিমান থেকে ৫% বেশী হলে আমাদের আপত্তি নাই। অন্যান্য বিমানের চেয়ে ভাড়া যদি বেশী হয় তাহলে কেউ সুবিধা পাবেনা।                 

বিমানের সকল এজেন্ট স্টাফকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিমানের সেবা প্রদানে আপনাদের ভূমিকা কম নয়। বিমানকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আরো বেশি করে কাজ করতে হবে।

সোমিয়া’র উপস্থাপনায় বিমান বাংলাদেশ দুবাই এর ম্যানেজার দিলীপ কুমার চৌধুরী বলেন, বিমান বাংলাদেশের দুবাই ভিত্তিক সেলস টার্গেটের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি হয়েছে যা খুবই আনন্দের বিষয়।

এসময় দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বিমানের ৬৮ টি এজেন্টকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

প্রবাসীদের অভিযোগ শুনবে দুদক

বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অভিযোগ ও অনিয়মের কথা শুনতে নতুন সেবা চালু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের হটলাইন-১০৬ এ যেহেতু প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করার সরাসরি সুযোগ পাচ্ছে না, তাই সমস্যার সাময়িক সমাধানের উদ্দেশ্যে নতুন একটি মোবাইল নম্বরে হটলাইনের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

নতুন নম্বর হলো = + ৮৮০১৭১৬-৪৬৩২৭৬। এই নম্বরে যে কোনো সময় প্রবাসীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ওই নম্বরে প্রবাসীদের অভিযোগ শুনবেন।

মঙ্গলবার কমিশন সভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী নাগরিকগণ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে সরাসরি দুদকের হটলাইন-১০৬ ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই প্রযুক্তিগত এই সমস্যা দূর না হওয়া পর্যন্ত ওই নম্বরে যে কোনো সময় প্রবাসীরা তাদের অভিযোগসমূহ জানাতে পারবেন।’

২০১৭ সালের ২৭ জুলাই হটলাইন-১০৬ চালু হয়। যেখানে সারাদেশের মানুষ দুদকের তফসিলভুক্ত দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতেই প্রতিদিন বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

বিয়ানীবাজার জিরোপয়েন্টের চরিয়া এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি।

সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বিয়ানীবাজার জকিগঞ্জ রোডের জিরো পয়েন্টের কাছে চরিয়া নবাব গেইটের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে একদল ডাকাত। তাদের হামলায় অন্তত ২০/২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে টাকা,মহিলাদের স্বর্নের হার, নাক ফুল ও কানের দুল মোঠোফোনসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

আজ বোধবার  (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টা থেকে  ১২.৫৫ মিনিট পর্যন্ত বিয়ানীবাজার জকিগঞ্জ রোডের জিরো পয়েন্টের কাছে চরিয়া নবাব গেইটের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,  এলাকায় গাছ ফেলে ১৮/২০ জনের ডাকাতদল যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ সময় বাস, প্রাইভেটগাড়ি ও বেশকিছু সিএনজি অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা স্বর্ন লুট করে নেয় তারা।

ডাকাতির শিকার যানবাহনের মধ্যে থাকা যাত্রীরা অন্তত ২০/২৫ যাত্রী আহত হন। মারধর করে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মুঠোফোন ও নগদ লক্ষাধিক টাকা স্বর্ন ছিনিয়ে নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ডাকাতির শিকার হওয়া মামুনুর রশিদ খাঁন ও তিনির সাথ থাকা লন্ডন প্রবাসী শেখ আবু ফয়ছল ঘটনা সিলেটপোস্টকে মোঠোফোনে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন,প্রায় ১০০ গাড়ীকে আটকিয়ে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে ডাকাতরা।এ সময় মামুনুর রশিদ খাঁনকে ও মারধর করে তিনির মোঠোফোন টাকা এবং সাথে থাকা লন্ডন প্রবাসীরও মোঠোফোন ও লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।এরপর মামুন ও প্রবাসী আবু ফয়ছল মিলে বিয়ানিবাজার থানায় অন্যর ফোন দিয়ে থানার ওসিকে মোঠোফোনে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনার বিবরন জানালেন। ওসি এ সংবাদ পেয়ে এক দল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্হল পৌছামাত্র ডাকাতরা টের পেয়ে চরিয়ার দিকে চলে যায় বলে জানালেন দলিল লেখক মামুনুর রশীদ খাঁন ও প্রবাসী শেখ আবু ফয়ছল।।

আহতরা জানান, ডাকাতরা ওই সড়কে যাত্রীদের প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১২.৫০ মিনিটে  দিকে পুলিশ আসলে তারা চরিয়ার দিকে পালিয়ে যায়।

 

Tuesday, 18 February 2020

গরু যদি কচুরিপানা খেতে পারে মানুষ ও তা পারবেনা কেন? পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারবো না? সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দুজনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করার যায় কিনা। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোন মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এ বিষয়ে গবেষণারও তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘পোস্ট হারভেস্ট লস্ট কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে গবেষণা করুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য এ সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ কেউ বলেন, এত প্রতিষ্ঠান কেন? ১৬ কোটি মানুষের দেশ এটা। আনুপাতিক হিসাব করলে আমরা এখনো ওই পর্যায়ে যাইনি, যে লেভেলে পশ্চিমারা আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। মান নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও করেন। তার ধারণা, চাপের মুখে মানোন্নয়ন হবে।’
কৃষি গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ড. এম এ রহীম এবং ড. শামসুল আলমকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

Monday, 17 February 2020

রোহিঙ্গাদের মাদক পাচার প্রতিরোধ ও করণীয়।

বা;লাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের পথে মাদক ব্যবসা একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ই; মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকায় বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ( পুরাতন ভবন) র্যাব ১২ আয়োজিত মাদক বিরোধী সাইকেল র্যালী উদ্বধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে ৮০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে আর তারা প্রতিদিন প্রায় ২৫০ কোটি টাকা মাদকের পেছনে খরছ করে। এই মাদকসেবীদের নেশাজাত সামগ্রি যোগান দিচ্ছে অপরাধজগতের বাসিন্দা মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা। এই মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা আপনার আমার সকলের শত্রু, দেশের শত্রু। আমাদের আগামী প্রজন্ম মাদকের হুমকীর হয়ে দাড়িয়েছে। অবিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন না হলে নিজের সন্তানেরা অপ্রাপ্তবয়সেই নিজেকে ধ্ব;সের হাতে ফেলে দেবে। আমাদের দেশের প্রতিটি সীমান্তই মাদক পাচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে তার মধ্যে বর্তমানে দেশে আগত রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে মাদক পাচার প্রধান পেশা ও নেশা হিসেবে মনে করে। এর সাথে জড়িত ছেলে মেয়ে যুবক যুবতী, বুড়ো, বুড়ি সবাই জড়িত। কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত ” দৈনিক ইনানী ” পত্রিকা সূত্রে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; বুধবারে প্রকাশিত পত্রিকা মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ ন; ওয়াে্ডের নিজ পানখালী এলাকার কবির আহমদের স্ত্রী ছখিনা বেগম (৫০) কে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; মঙ্গল বার দুপুরে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গার মুখ এলাকা থেকে অভিযান চালিিয়ে ৫০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো হাবিবুর রহমান ছখিনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে ও তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে আমরা বুঝতে পারি যে এখাবেই এই এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে। ছখিনার মত হাজার হাজার মাদক পাচারকারী টাকার লোভে নেশাজাত দ্রব্য পাচার করে হাতে নাতে ধরা পড়ছে আর যারা দরা ছোয়ার বাইরে আছে তাদের মাধ্যমে পাচারকৃত মাদকদ্রব্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাচার হয়ে মাদকব্যবসায়িরা তাদের কালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবন মৃত্যুর মধ্যস্থান থেকে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য পাচার করা তাদের প্রধান পেশা হিসেবে মনে করে। তারা এটা বড় কোনো অপরাধ বলে মনে করে না। তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন বিধায় এটা নির্মুল করতে দেশের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর পক্ষে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারন জনসাধারনের কাছ থেকে কবর নিয়ে জানতে পারি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার ৬০% লোক ইয়াবা ও বিভিন্ন জাতের মাদক দ্রব্য ব্যবসা ও পাচারের কাজে সরাসরি জড়িত আছেন। রোহিঙ্গাদের সাথে চুক্তি করে অন্যান্য পন্য কেনার পাশাপাশি গুপ্তভাবে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে আগ্রহি হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে রোহিঙ্গাদেরে সুযোগ সুবিধা দিয়ে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে ্ আগ্রহী করে নিজেরা বড় অ;কের অবৈধ টাকা উপার্জনের সুযোগ নিচ্ছে। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাাদদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা ও পাচার প্রতিহত করার জন্য মোবাইল কোর্ট এর অভিযান অব্যাহত থাকলেও মাদক ব্যবসায়িদের স;খ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য ব্যবসায়িরা হচ্ছে কোচিপতি আর মাদকসেবীরা হচ্ছে ধ;শ। আগামী প্রজন্মের নিরাপদ জীবনের কথা চিন্তা করে, ধূমপান, ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকজাত দ্রব্য সহ সকল নেশার কালো থাবা থেকে রক্ষা করার স্বার্থে বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমাদেরে মাদক বিরোধী শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের তরুন সমাজকে এর ক্ষতিকর দিকগুলো ভাল ভাবে বুঝাতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শুধু আইনশৃ;খলা বাহিনী একা যুদ্ধ করলে দেশ মাদকমুক্ত হবে না, এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে একাত্বরের মত দেশের সর্বস্খরের নাগরিককে ধূমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যার যার অবন্থান থেকে অ;শ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্যম্প উখিয়া সহ দেশের সকল সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক পাচার ও ব্যবসায়িদেরে প্রতিহত করতে তরুন প্রজন্মকে জাগতে হবে। তরুনরাই পারে একটি ধূমপান ও মাদকমুক্ত বা;লাদেশ উপহার দিতে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন এই দেশকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত করতে সকল তরুনরা জেগে ওঠো। মাদক থেকে দেশকে বাচাতে আসুন আমরা সবাই সব ভেদাভেদ ভুলে মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে ঝাপিয়ে পড়ি। ( লেখক ; প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি – সুবাস) , সিলেট, বা;লাদেশ। একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যান স;স্থা) মোবাইল ; ০১৭২৫-৬৬০৪৪৭ ইমেইল ; syedaslam.bd@gmail.com

সাগরপথে ইতালি যাওয়ার পথে জকিগঞ্জের যুবক নিখোঁজ।

এখলাছুর রহমান: জকিগঞ্জের যুবক ফরিদ উদ্দিন(২২) সমুদ্রপথে ইউরোপ পাঁড়ি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়ে ৩ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফরিদ উদ্দিন ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে লিবিয়া গিয়েছিলো। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে সমুদ্র পথে রওয়ানা হয়। তখন সে তার মাকে টেলিফোনে ইতালি রওয়ানা হওয়ার সংবাদ জানিয়েছিলোে। মাকে আশ্বস্ত করে সে বলেছিলো ইতালি গেলে তার পরিবারের কোনো অভাব থাকবে না। তার সঙ্গে অন্যান্য এলাকার আরো ৭-৮ জন যুবক ছিলো। কিন্ত সমুদ্রপথে যাত্রা করার তিনমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ফরিদ উদ্দিনের কোনো সংবাদ জানেনা তার পরিবার। সে জীবিত আছে না সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে এ চিন্তায় তার পরিবারের লোকজন বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন । এদিকে সন্তানে কোনো সংবাদ না পেয়ে তার মা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এখন মৃত্যুপথযাত্রী। ছেলের চিন্তার মা সারারাত জেগে কাটাচ্ছেন। তার বড়ভাই কামরুল ইসলাম জানান ফরিদ উদ্দিনের সংবাদ না পেলে আমার মাকে বাঁচানো যাবে না।


পহেলা মে থেকে সড়ক, মহাসড়ক, ফেরীতে সরকারি,বেসরকারি সকল এম্বুল্যান্স টোল ফ্রী সেবা চালু হবে।

সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এই বিষয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন, উপসচিব ফাহমিদা হক খান।
এতে বলা হয়েছে, বিগত সময় সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিসমূহে স্থানভেদে যে কোনো অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল বা চার্জ আদায় করা হতো। এমন বিষয় সরকারের নজরে এসেছে। তাই মুমূর্ষু রোগী বহনে নিয়োজিত সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন থেকে কোনো ধরনের টোল বা চার্জ ছাড়াই পারাপার হতে পারবে। তবে এই সুবিধা আগামী এক মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে।
 
এই বিষয় প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
তিনি জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জারি করা এমন চিঠি দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং স্ব স্ব বিভাগের কাছে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, এতেদিন ধরে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে চলাচলকারী সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো টোল বা চার্জ আদায়ের সময় কালক্ষেপণ হত। এতে একদিকে,  রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন অন্যদিকে কিংবা সেতুতে জট সৃষ্টি হতো। তবে এখন থেকে টোল বা চার্জ প্রথা তুলে দেওয়ায় এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। কেউ কেউ বলেছেন, উদ্যোগটি সরকারের ইমেজ  বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দুর্নীতির আখড়া সিলেট ওসমানী হাসপাতাল


স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট বিভাগে চিকিৎসাক্ষেত্রে একসময়ের একমাত্র ভরসার নাম ছিল সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল। পুরো দেশজুড়ে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসাকেন্দ্রটির সুনাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে এখন পুরো ভিন্ন পথে হাটছে দেশের অন্যতম ও সিলেট বিভাগের সর্বসাধারণের একমাত্র ভরসার চিকিৎসাকেন্দ্র এই সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল। নতুন নামও হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই হাসপাতালটির। রোগীরা নতুন করে এর নাম রেখেছেন ‘দুর্নীতির আখড়া’। আর হবেই বা না কেন সিলেটের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি এখন দুর্নীতির মহোৎসব পালন করছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালটিতে রয়েছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। যেখানে দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা ও ফ্রি ওষুধ পাওয়ার কথা সেখানে হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট চক্রের শরণাপন্ন হয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। অন্য দিকে ওই চক্র দীর্ঘ দিন ধরে কোটি কোটি টাকার সরকারি ওষুধ রোগীদের ফ্রি না দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফার্মেসিতে দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্রি ওষুধ না পেয়ে রোগীরা বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি চিকিৎসাসেবা নিয়ে চলছে এসব লুটপাটের ব্যবসা। হাসপাতালে কর্তব্যরত কিছু তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও বাইরের কিছু লোক মিলে সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিট খালি থাকার পরও রোগীদের নিচে রাখা হয়েছে। ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের বলছেন, সিট খালি নেই। আবার ওয়ার্ডবয় ও দালালরা বলছেন, টাকাপয়সা খরচ করতে পারলে সিট ম্যানেজ করে দিতে পারবে। অথচ দেখা গেছে, খালি সিটে রোগীদের বদলে বিড়াল ঘুমাচ্ছে। রোগীদের পাশাপাশি স্বজনরা ওয়ার্ডের বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন। এমনকি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হাসপাতালে সময় মতো আসেন না। রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। জরুরী প্রয়োজনে পাওয়া যায় না সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। নেবুলাইজার, অক্সিজেন সংকট, ব্যবস্থাপত্রে রোগ অনুযায়ী ওষুধ না লিখে দামী ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা এই হাসপাতালের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে সিট-বাণিজ্য আর অনিয়ম-দুর্নীতি এখন নিত্যদিনের ব্যাপার।

তাছাড়া এখানে আছে গেইট পাশ বা নিম্নশ্রেণীর কর্মচারীদের দাপুটের অর্থ বাণিজ্যের লড়াই । প্রতি রোগীদের অভিভাবকদের নিকঠ হতে প্রকাশ্যে দিবালোকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা । এ হিসেবে মেডিকেলের ফান্ডে গেইট পাশের চাঁদা’র টাকা প্রতিদিন অন্তত ৪/৫লাখ টাকা জমা হয় । আর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়লে দু’একজন গার্ডদের দোষারোপ দেখিয়ে তারা নিজেকে নিরাপদ করে নেয় ।

গত ২৪ নভেম্বর সিলেট-১ (সদর) আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন পরিচয় গোপন রেখে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। দুপুর ১টার দিকে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে সেবা নিতে চান তিনি। জানানো হয়, জরুরি বিভাগে এই সেবা বন্ধ। এরপর ১০ টাকার টিকিট কেটে রোগীদের লাইনে দাঁড়ান। বাইরে রোগীর দীর্ঘ লাইন থাকলেও চিকিৎসকরা কক্ষে গল্প-আড্ডা দিচ্ছিলেন। পরে সেলিনা মোমেন হাসপাতালের গাইনিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা ও এক্সরের জন্য রোগীদের বাইরে পাঠানোর চিত্রও দেখেন। তিনি জানতে চাইলে বলা হয়, দুপুর ১টার পরে হাসপাতালের ভেতরে কোনো পরীক্ষা করা হয় না। এ সময় সেলিনা মোমেন বলেন, একটি সরকারি হাসপাতাল এত নোংরা-অপরিচ্ছন্ন হতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না। তাহলে সরকার কেন এত টাকা খরচ করছে সরকারি হাসপাতালে? সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রোগিদের প্রতি চিকিৎসকদের অবহেলা, নার্সিং পরীক্ষা পদে বিবাহিতদের স্থান দেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য ও গেইট আনসার-দারোয়ানদের রমরমা চাঁদা আদায় বাণিজ্য, রোগিদের সরকারী ঔষুধ না দিয়ে বাহির থেকে ক্রয় করানো, যথাসময়ে চিকিৎসক না পাওয়াসহ হাজারও অভিযোগ আছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবুও নিরব হাসপাতালটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা জনপ্রশাসন (জনস্বাস্থ্য) মন্ত্রনালয়।

এমন দুর্নীতি থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে বাঁচাতে এবং সঠিক নিয়মে হাসপাতাল পরিচালনা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিলেট অঞ্চলের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

পহেলা মে থেকে সড়ক, মহাসড়ক, ফেরীতে সরকারি,বেসরকারি সকল এম্বুল্যান্স টোল ফ্রী সেবা চালু হবে।

সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এই বিষয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন, উপসচিব ফাহমিদা হক খান।
এতে বলা হয়েছে, বিগত সময় সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিসমূহে স্থানভেদে যে কোনো অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল বা চার্জ আদায় করা হতো। এমন বিষয় সরকারের নজরে এসেছে। তাই মুমূর্ষু রোগী বহনে নিয়োজিত সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন থেকে কোনো ধরনের টোল বা চার্জ ছাড়াই পারাপার হতে পারবে। তবে এই সুবিধা আগামী এক মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে।
 
এই বিষয় প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
তিনি জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জারি করা এমন চিঠি দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং স্ব স্ব বিভাগের কাছে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, এতেদিন ধরে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে চলাচলকারী সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো টোল বা চার্জ আদায়ের সময় কালক্ষেপণ হত। এতে একদিকে,  রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন অন্যদিকে কিংবা সেতুতে জট সৃষ্টি হতো। তবে এখন থেকে টোল বা চার্জ প্রথা তুলে দেওয়ায় এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। কেউ কেউ বলেছেন, উদ্যোগটি সরকারের ইমেজ  বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ঋন খেলাফি ৪৩ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।

সৈয়দ শামসুজ্জামাননীপুঃ

 

অবলোপন ও ২ শতাংশ পরিশোধ করে ঋণ নিয়মিতকরণের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমলেও এখনো তা উদ্বেগজনক মাত্রায় রয়ে গেছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৪৩ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।

গত বছরের জুনে যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। ছয় মাসে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কমেছে ১০ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। এখনো খেলাপি ঋণের শীর্ষে আছে জনতা ব্যাংক। এ ব্যাংকে ডিসেম্বর শেষে খেলাপিঋণের স্থিতি ছিল ১৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে যা ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা।

পেয়ারার উপকারিতা

বাংলা নাম: পেয়ারা। ইংরেজি নাম: এঁধাধ. বৈজ্ঞানিক নাম: ঢ়ংরফরঁস মঁধলধাধ. পেয়ারা বাংলাদেশের সর্বত্র উৎপাদন হয়। পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। পেয়ারাই আধা পাকা কিংবা পুরো পাকা খাবার পক্ষে বিশেষ উপযোগী। পেয়ারার ব্যবহার সাধারণত কেটে কিংবা কামড়ে হলেও পেয়ারা জ্যাম বা জেলি হিসেবেও খুব জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার ।
বৎসরের ঋতুকালীন কোনও বিশেষ সময়ে গৃহীত কয়েকটি পেয়ারা সারা বছর চিকিৎসক থেকে আপনাকে দূরে রাখতে পারে। সুতরাং পেয়ারার খাদ্যগুণ এবং নানা রোগ-নিরাময়কারীগুণের বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করা যেতে পারে।) পেয়ারার মধ্যে রয়েছে অধিক মাত্রায় সঙ্কোচিত করণমূলক ঔষধিগুণ। সে কারণে পেয়ারা অথবা পেয়ারার পাতা চিবিয়ে রস খেলে আমাশয় রোগে বিশেষ ফলদায়ক। এই ঔষধিগুণ এলকালীন-জাতীয় এবং জীবাণুনাশক হওয়ার ফলে পেয়ারার রস গ্রহণে পাকস্থলি থেকে মিউকাস বা আমকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে সহজে আবার পেয়ারায় ভিটামিন ‘সি’ পটাশিয়াম থাকায় পাচন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইনফেকশন অর্থাৎ সংক্রমণ রোধ করে। এইসব গুণগত কারণে বদহজম এবং গ্যাসট্রোএন্টাইটিস এর চিকিৎসায়ও অত্যন্ত সুফলদায়ক।
ডায়েটরি ফাইবারে ভরপুর পেয়ারা। পেয়ারার ভেতরে থাকা ছোট ছোট বিচি গিলে কিংবা চিবিয়ে খেলে ‘ল্যাক্সেটিভ’ হিসেবে কাজ করে। এর ফলে অন্ত্রে মল সৃষ্টি করা, পানি ধরে রাখা এবং পেট পরিস্কার থাকে। একটি কথা প্রচলিত আছে যে কোষ্ঠকাঠিন্য বাহাত্তর ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কথাটা সত্যি এই কারণে যে শরীরের সব অঙ্গ সচল এবং সজীব রাখার প্রক্রিয়ায় খাদ্য হজম এবং মল নির্গম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পেয়ারা এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহায়তা করে। যে কোনও বিউটি ক্রীম এর চেয়ে ভাল ফল দিতে পারে পেয়ারা।
সঙ্কোচিতকরণ ওষুধিগুণ থাকায় চামড়ার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও নিরোগ রাখতে বিশেষ করে কাঁচা পেয়ারা এবং পাতা চামড়াকে সঙ্কুচিত করে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাঁচা-পেয়ারা এবং পাতার রস বেঁটে মাখিয়ে কতক্ষণ রাখলে চামড়ার সমৃণতাও বৃদ্ধি পায়। আবার পেয়ারায় ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ আর পটাশিয়াম থাকায় চামড়ায় কোনরূপ দাগ থাকলে তারও প্রতিকার করতে পারে। কলোস্টরালের মাত্রা কমাতে পেয়ারার রস খুবই উপযোগী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রেখে উচ্চ-রক্তচাপজনিত রোগ নিরাময়েও পেয়ারার রস ব্যবহার করা যেতে পারে। দেখা গেছে যেসব খাদ্যে ফাইবার কম থাকে (যেমন ময়দা), সেগুলো রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় কারণ এরকম খাদ্য শরীরে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি করে। যেহেতু পেয়ারায় খুব বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে, সেহেতু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যারা শরীরে ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য পেয়ারা অবশ্যই এক জরুরি খাদ্যবস্তু। খাদ্য রসিকরা যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না, তারাও অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে পেয়ারাকে প্রাধান্য দিলে অবশ্যই ওজন সীমিত রাখতে কিংবা কম করতে পারবেন কারণ পেয়ারায় কলোস্ট্ররল নেই, রয়েছে খুবই কম কার্বোহাইড্রেটস। দুপুরবেলা মুখ্য আহারের পর মধ্যম আকারের একটি পেয়ারা খান-দেখবেন রাত পর্যন্ত নিজেকে ক্ষুধার্ত মনে হবে না আবার ওজনও কমাতে সাহায্য করবে। আশ্চর্যজনকভাবে রোগাপাতলা লোকের ওজন বাড়িয়ে সঠিক জায়গায়ও নিয়ে যেতে পারে পেয়ারা। পেয়ারার উপকারিতা কেবল উপরোক্ত রোগেই সীমাবদ্ধ নয়-ডায়াবেটিস, প্রস্টেট-এর সমস্যাও পেয়ারার রস ভাল ফলদায়ক। দাঁতের ব্যথা, মাড়ি ফোলা কিংবা মুখের আলসার-এ পেয়ারা পাতার রস বেঁটে লাগালে উল্লেখযোগ্য উপকার পাওয়া যায়।

ডা: মাও: লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট, মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০

ঝিনুক খেলে বাড়বে যৌনশক্তি

শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম তা হয়তো অনেকেরই অজানা। সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য। 

এক গবেষণায় জানা গেছে, আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঝিনুক ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু খাবার, যা খেলে বাড়বে যৌনশক্তি। জেনে নিন সেই খাবারের তালিকা-

দুধ : বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে এগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

অ্যাসপারাগাস : আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।

কলিজা : অনেকেই কলিজা খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।

ডিম : ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

রঙিন ফল : যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। আপনার শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।

ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

জয়ফল : ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।

তৈলাক্ত মাছ : তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। 

পালং শাক ও অন্যান্য সবজি : পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।

বাদাম ও বিভিন্ন বীজ : কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোনগুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। 

Saturday, 15 February 2020

পাচ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের সকল তার মাটির নিচে যাবেঃ বিদ্যুৎ মন্ত্রী

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,  ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশের বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। শুরুতেই দেশের চারটি অঞ্চল সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় এ কাজ করা হবে। পরে ওজোপাডিকো ও নেসকোর অধীনের এলাকাগুলোয় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মানসম্মত বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি আমরা।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা শহরে বিদ্যুতের তারের জন্য গাছের ডাল কেটে দেওয়া হচ্ছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা করা যাবে না। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার তিন বছর পর আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।  শুধু বিদ্যুতের তার নয়, কিছু সাবস্টেশনও মাটির নিচে নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং ব্যয়বহুল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আমাদের যে বিদ্যুতের চাহিদা হবে তাতে মাটির ওপরের ওই তার দিয়ে সেটা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।  আন্ডারগ্রাউন্ড করলেই হবে না, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা যতটা সম্ভব কম খুঁড়ে তার মাটির নিচে নিতে হবে। ’

বুধবার পিডিবি তাদের অধীন চারটি বড় শহরে মাটির নিচে বিদ্যুতের তার নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি  এনার্জিট্রোন এবং আর অ্যান্ড ডি কে আই এস গ্রুপকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কোম্পানিটি সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাক্কলন, ডিজাইন  এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজে পরামর্শ দেবে।

বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি)  সঙ্গে কোম্পানি দু’টি একটি চুক্তি সই করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এনার্জিট্রোন তাদের কাজ শেষ করবে। চুক্তিতে  পিডিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ এবং এনার্জিট্রোনের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার ওয়াহিদুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘আমরা শুধু শতভাগ বিদ্যুৎ দিচ্ছি না, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। এক বছরের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।’

Friday, 14 February 2020

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে।

“ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে” এই আপ্ত বাক্যটি আমাদের সকলের খুবই পরিচিত। আমরা আমাদের পরিবারের সকল শিশুদের এমন ভাবে মানুষ করতে চাই যাতে আগামীতে তাদের কোনও ক্ষতির সম্মুক্ষিন বা বাধার সম্মুক্ষিন না হতে হয়। অথচ আমাদের সমাজের প্রান্তিক, দরিদ্র এবং রাজপথের দুপাশে ধুলো মেখে বড় হয়ে ওঠা শিশুদের শৈশব যে সততই চুরি হয়ে যাচ্ছে সেদিকে আমরা কতজন সেভাবে নজর দিচ্ছি বা ভাবছি? যদিও বা আজকাল এই সমাজের কিছু মানুষ দলবদ্ধ হয়ে কিছুটা লোকদেখানো, দায়সারা ভাবে এই সকল শিশুদের উন্নতির জন্য নিজেদের কুম্ভীরাশ্রু বর্জন করে লম্বা চওড়া বুলি আওড়ান, কিন্তু তাতে কতটা উন্নতি হয় এই সকল অবহেলিত, নিপীড়িত পথশিশু সহ গরীব প্রান্তিক শিশুদের? এ প্রশ্ন আজ কি একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। আসলে আমরা নিজেরা সদাই ব্যস্ত নিজেদের আত্মপ্রকাশ করতে। তাই কিছুটা হলেই আমরা আমাদের আসল লক্ষ থেকে কোনও না কোন ভাবে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। আসার কথা আমাদের সমাজে এখনও এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নীরবে ঢাক-ঢোল না পিটিয়ে এই কাজে নিজেদের নিমগ্ন করে রেখেছেন, যাঁদের অকৃপণ হাত সদাই ব্যস্ত সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শিশুদের উন্নতিতে। যে কারণে এই লেখা, সেটির মূল বিষয়ও এইটা। আমাদের সমাজের সেই সকল মানুষদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের অভিনেতা সুপারস্টার রজনীকান্ত, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীত শিল্পী লতা রজনীকান্ত বেশ কয়েকবছর আগে বানিয়ে ফেলেছেন এমন এক সংগঠন যাঁরা প্রকৃত ভাবেই সদা ব্যস্ত সমাজের এই সকল শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ক্ষেত্রের উন্নতিতে। শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন এর ছাতার তলায় আজ নিজেদের সাবলম্বী করে তুলছে এই সকল প্রান্তিক শিশুদের দল। deepak-2সম্প্রতি এই রাজ্যের এক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন দক্ষিণ কলকাতার পূর্ণ দাস রোডের শ্রী দীপক ফাউন্ডেশন একসূত্রে মিলিত হয়েছে ভারতের দক্ষিণের সনামধন্য দয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। দীপক ফাউন্ডেশনের পক্ষে সংস্থার চেয়ারপার্সন জয়িতা দাশগুপ্ত’র স্বপ্ন আগামীতে এই রাজ্যের অধিকাংশ প্রান্তিক, দলিত ও পথশিশুদের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান করে, তাদের স্বাস্থ্য ও  পুনর্বাসনের সঠিক লক্ষে এগিয়ে যাওয়া। জয়িতা দাশগুপ্ত’র মানসিক ইচ্ছার ফসল আজ চারাগাছ থেকে আগামীর মহীরুহতে রূপান্তরিত হবেই এটা তাঁর অদম্য উত্‍সাহ ও মানসিক ইচ্ছার মিশ্রণে, সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রয়েছেন সেই শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন।


Tuesday, 11 February 2020

"বাংলাদেশে জন্ম নেয়াটাই ছিল আজন্মা পাপ"

'বাংলাদেশে জন্ম নেয়াটাই ছিল আমাদের আজন্ম পাপ' উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন চায়না থ্রি গরজেস বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মুরাদ।

তিনি লিখেছেন, “অনেক কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট হচ্ছে হুবেইতে থাকা বাকি ১৭১ জন স্টুডেন্টকে ফিরিয়ে নেয়া নিয়ে। আসুন এটি পরিষ্কার করা যাক। ইছাং হুবেই প্রদেশের একটা শহর।

উহানের প্রতিবেশি শহর বলা যায়। উহান যেদিন থেকে লকডাউন, ইছাংও সেদিন থেকে লকডাউন। এখন এখানে থাকা আমরা দুদিক থেকেই সমস্যাই আছি।
লকডাউনের জন্য নিজে টিকেট কেটে দেশে যেতে পারছি না, একদম সরাসরি এপিসেন্টার না হওয়ায় সরকার আমাদেরকে গুরুত্বই দিচ্ছেনা।

আমাদের শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এম্বাসিতে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের কিছুদিন আশ্বাস দিয়েছেন, লিস্ট নিয়েছেন। এরপরে সুর পাল্টেছেন।

তাদের নাকি ফান্ড নেই।  

আমাদের সমস্যা শুধু ভাইরাস না। ভাইরাসের থেকে বড় সমস্যা খাবার। আগে অনুমতি নিয়ে বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারলেও ১ সপ্তাহ আগে থেকে ডর্মেটরি সিলড অফ। কোনভাবেই বাইরে যাওয়া সম্ভব না।

এক্ষেত্রে ভার্সিটি কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্যান্টিন থেকে খাবার অর্ডার করা যায়, একটা গ্রুপকে খাবার অর্ডার করলে তারা ডেলিভারি দিবে। এই খবরটা শুনেই এম্বাসি বলে দিয়েছে খাবার নিয়ে আমাদের সব অভিযোগ মিথ্যা।
আসলে জিনিসটা লিখিত ভাবে যত সহজ শোনাচ্ছে বাস্তবে এতটাও সহজ না। ক্যান্টিন থেকে যেসব খাবার দেয় সেখানে দাম অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় সমস্যা চাইনিজ খাবার, অনেকে মুখেই নিতে পারিনা। খাবারের গন্ধ কেউ সহ্য করতে পারেনা।

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন চায়নাতে আমাদের চিকিৎসা ভালো হবে। দেশে না যেতে। মাননীয় স্বাস্থমন্ত্রী, আমরা কেউ এখনো আক্রান্ত হইনি। এখনই চিকিৎসার ব্যাপার কেন আসছে? এইটা কোন ধরনের গোঁজামিল! সুস্থ থাকা অবস্থায় দেশে নেবার ব্যবস্থা না করে অসুস্থ হবার পর ভালো চিকিৎসা দেখানো হচ্ছে!

ভারত, মরোক্কো, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কান বন্ধুদেরকে দেশে ফিরে যেতে দেখলাম। আফ্রিকার কয়েকটি দেশও তাদের স্টুডেন্ট ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশিরাই কয়েকজন আফ্রিকানের সাথে এখানে আছি। বারবার এম্বাসি থেকে ফান্ডের কথা শোনানো হয়। সত্যিই এই দেশ বিপদের সময়ে ১৭১ স্কলারদের দেশে ফেরাতে পারছেনা ফান্ডের অভাবে! দ্যাটস আ শেইম!

সবকিছু ভুলেই আমরা তাকিয়ে আছি প্রধানমন্ত্রী আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে। তারাও যদি আমাদের সুস্থ অবস্থায় না ফিরিয়ে অসুস্থ হওয়ার পর চীনের উন্নত চিকিৎসার কথা শুনায়, তাহলে মারা যাবার পর যেন আমাদের এপিটাফে লেখা হয় “বাংলাদেশে জন্ম নেয়াটাই ছিল আমাদের আজন্ম পাপ” 

ধুমপানে বিষপান নয় রুহুল আমীন শিপার অতিরিক্ত ডি আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ

সুপ্রাচীনকাল থেকে বাঙালি খানিকটা সেবনমুখী। নানাবিধ সেবা আদান-প্রদানে আমরা অতিশয় পারঙ্গম। ম্যালা সিদ্ধহস্ত বলেই যুগে যুগে অনেক বিদেশি মেহমান হ্যান্ডেল করতে পেরেছি। তবে অতীতে তামাক সেবন এখনকার মতো এত সহজলভ্য ছিল না। হাত বাড়ালেই বিড়ি-সিগ্রেট, দেয়াশলাই অত সুলভ ছিল না। সে কারণে কি না জানি না, আমাদের ছেলেবেলায় হুঁকার বেশ কদর ছিল। এর অবশ্য কারণও আছে। প্রায় বিনে পয়সায় ‘ইহার' এন্তেজাম করা যেত।

নারিকেলের আস্ত খোল, যাকে সোজা বাংলায় মালই বলে, সেটাতে গোটা দুয়েক ফুটো আর একখানা নলের মাথায় বাহারি কল্কি। ব্যস হয়ে গেল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। ক্ষেতের তামাক শুকিয়ে তাতে চিটাগুড় মিশালেই অমৃত। এবার ইচ্ছামতো টানতে থাকো। কুড়ুৎ কুড়ুৎ। খোলের মধ্যে পানি দিয়ে ‘জলজ' ফিল্টারিংয়ের সুরক্ষাও ছিল বটে। তবে নিকোটিন বরাবরই এসব ফিল্টারকে আঙুল দেখিয়েছে। অতীতে অনেককে দেখেছি সিগারেটের গোড়ায় এক্সট্রা ফিল্টার লাগাতে। আদতেই হাস্যকর। পাগলের সুখ মনে। তামাক যদি থাকে তবে নিকোটিন বক্ষভেদ করবেই। যাদের ফুসফুস নিজেই হুঁকা, তাদের কথা অবশ্য আলাদা।

নিচের ল্যাটিন শব্দযুগল বেশ শ্রুতিমধুর-Nicotiana tabacum. অনেক কষ্ট করে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এ নাম দিয়েছেন। আপাতনিরীহ এ নাম দেখে হঠাৎ বোঝার উপায় নেই এটা কেমন ধারা জিনিস। আসলে এটি Tobacco বা তামাকের আকিকা করা ভালো নাম। উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের এ ফসল মহাজনকে ‘অর্থ' এবং সরকারকে ‘কর' দেয়। সে কারণেই বোধহয় এটাকে অর্থকরী ফসল বলা হয়। এই শিল্পের বড় কারবারিরা ইউরোপীয়। অবশ্য চীন-জাপানও কম যায় না। টাকার অঙ্কে বৈশ্বিক বাজারমূল্য মাশাল্লাহ। সুতরাং উৎপাদক, কারবারি আর সেবনকারী মিলে দারুণ ত্রিপক্ষীয় নেক্সাস। চমৎকার আন্তঃমহাদেশীয় মেলবন্ধন। কী সুন্দর কায়দা করে ধনী-গরিব সবারটা লুটে নিচ্ছে! অথচ পাবলিকের পকেট কাটার জন্য কেউ এদের তেমন অর্থবহ, জুতসই নাম দেয় না। বিষয়টা দুঃখের তো বটেই।

জাপান সাড়ে ১২ হাজার কোটি মুদ্রা ব্যয় অন্তে বাংলাদেশি এক তামাক কোম্পানির ‘পাণি' গ্রহণ করেছে! কেন? এত তাড়া কিসের? তাদের ভাষায় বঙ্গীয় অঞ্চলে সিগারেটের প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ। প্রায় ডাবল ডিজিটের কাছাকাছি। দারুণ এক অর্থনৈতিক পরিভাষা এই ‘প্রবৃদ্ধি'। এর মানে কী? মোটা, স্থূল, বহুল, বাড়ন্ত ইত্যাদি। সব জায়গাতেই ‘ফ্যাটেনিং'। সবাই একটু বাড়তি চায়। হররোজ মুনাফা বাড়াও, বছরান্তে বেতন বাড়াও। কোরবানির গরু যেন একটু মোটাতাজা হয়। খালি বিয়ের পাত্রী স্লিম চাওয়া বাদে বাঙালির আর সবকিছুতেই বাড়বাড়ন্ত, চরম ‘মেদাকাঙ্ক্ষা'। অথচ আট শতাংশ বাড়তি ব্যবসা আমার দেশের আট শতাংশ পোটেনশিয়াল শ্রমশক্তির ওপর ঋণাত্মক প্রভাব ফেলবে কি না সে বিষয়ে আমাদের ভাবনা কম। কারণ কী? কারণ আমরা অনেক তামাশা মেনে নিই। খেয়াল করে থাকবেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো প্রায়ই বর্ষা মওসুমে ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করে। গরু মেরে জুতা দান আর কি। বাংলায় এরা দারুণ সমাদৃত। সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা। আসল বিষয় হলো সরকারি খাজাঞ্চিখানায় সাংবৎসর ‘মাত্র' হাজার পনেরো কোটি দেয়। এ কারণে এই ‘শলাকা' কোম্পানিগুলোর পোয়াবারো।

যা খেলে নেশার মিনিমাম সম্ভাবনা আছে বাঙালি তা ছাড়তে মোটেও রাজি নয়। সবকিছুই চেখে দেখতে চায়। জুতা থেকে জামবাক, টিটি থেকে টিকটিকি কাউকে কোনো ছাড় দেই না আমরা। এ ব্যাপারে সাম্যেবাদে বিশ্বাসী। এই কারণে বিড়ি অথবা জর্দা শিল্প ইদানীং ‘আসল শিল্পের' কাছে বেদম মার খেয়েছে। সেই অসাধারণ শিল্পের নাম মাদক শিল্প। এখন মাদক শিল্পের ব্যাপক বিস্তার, দারুণ ইকোনমিক গ্রোথ। বিরামহীন কর্মকাণ্ড চলছে চারদিকে। এ রকম ‘উৎকৃষ্ট' শিল্প থাকতে আমরা গার্মেন্টস, চা, চামড়া শিল্পের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকি কেন!

আসলে শিল্প চেনার মতো জহুরির চোখ আমাদের নেই; দক্ষতারও নিদারুণ খামতি। বিনিয়োগের আসল ‘ক্ষেত্র' না চেনায় বাঙালি ব্যবসায় এতটা পিছিয়ে! উৎপাদন থেকে খুচরা বিক্রয়ে সাপ্লাই চেইনের সব ফরমুলা মাদক ব্যবসায় সুনিপুণভাবে অনুসৃত হয়। জাতিকে নিঃশেষ করে দেয়া এই শিল্পের ‘পতিদের' কত বড় স্পর্ধা! এগুলোকে মুগুরপেটা করলে পরে নির্ঘাত পাপ ক্ষয় হয়।

গঞ্জিকা হলো পাঁড় নেশাখোরদের এক নম্বর পছন্দ। এলেমদার সেবন বিশেষজ্ঞদের মতে, এর চেয়ে ‘ভালো আর হয় না'। প্রকৃত সেবনকারীই কেবল গাঁজার মহিমা বুঝতে পারে। ঠিকমতো দম নিতে পারলে নাকি সরাসরি স্বর্গোদ্যান। তবে হুরের কথা কোনো ‘গাঞ্জু' এ পর্যন্ত অবশ্য বলেনি।

বাংলা অর্থাৎ ইথাইল অ্যালকোহল, চরস, ভাং এগুলো স্বদেশি ‘ঐতিহ্য'। এ জন্যই বাঙালি এটাকে এত ‘প্রমোট' করে; নিজস্বতার তত্ত্ব-তালাশ করে। ভাং এক ধরনের পাতার রস। বিশেষ উৎসবে এক গ্লাস দুধে ভাং মিশিয়ে সেবনের গল্প অনেক পুরনো। বহু বছর আগে এক বন্ধুর বয়ান এ রকম–

এক গ্লাস দুধে চিনি আর ভাং মিশিয়ে খেতে হবে। পানে অপূর্ব স্বাদ। কিছুই টের পাওয়া যায় না। আর খাওয়ার পরে তো কথাই নাই। দিনরাত সমান হয়ে যায়। সময়ের অভাবে এখনো রসাস্বাদনের সুযোগ হয়নি। তবে খাওয়ার বৃত্তান্ত শোনাতেও অর্ধপানের আনন্দ পাওয়া গিয়েছিল বটে। তাতে নেশা হোক অথবা না-হোক।

এই দেশি ইয়ে নিয়ে আমার একটু ‘অভিযোগ' আছে। ডিআইজি অফিসে মামলা তদন্ত, আসামি গ্রেপ্তার, অস্ত্র- মাদক উদ্ধার করলে পয়েন্ট পাওয়া যায়। সারা মাসের টোটাল পয়েন্ট যোগ করে সেরা জেলা নির্ধারণ করা হয়। আমি এক জেলার পুলিশ সুপার থাকাকালে অনেক চোলাই উদ্ধার হতো। সমস্যা হলো দেশি চোলাই মদে পয়েন্ট অনেক কম পাওয়া যেত। আমার প্রশ্ন হলো, এমনটা কেন? দেশিতে নেশা কম হয়? মোটেও না। তো পয়েন্ট কম কেন? দেশীয় ‘প্রযুক্তি ও পণ্যের' প্রতি এহেন অবজ্ঞা প্রদর্শন করা অনুচিত! এটা দেশপ্রেমিক মাত্রই একবাক্যে স্বীকার করবেন। কিন্তু এ কথাটি সিনিয়রদের বলি কীভাবে? এভাবেই ইতোমধ্যে অনেক পয়েন্ট ‘লস’ করে ফেলেছি। সেই বকেয়া পয়েন্ট এখন আমায় কে ফিরিয়ে দেবে?

তো সিগারেটের কথায় ফিরে আসি। কদিন আগে অফিসের নিচে আমার এক সিনিয়র তাঁরও এক সিনিয়রকে এক প্যাকেট বেনসন দিতে দিতে বললেন, ‘স্যার, নরওয়ে থেকে ফেরার পথে নিয়ে আসলাম। বিদেশি জিনিস।’ তো ওই স্যার দিনে একটার বেশি খান না বলে আকাশের দিকে বার দুয়েক তাকিয়ে বোধহয় ‘ক্ষণ' হয়েছে কি না তা একপলক দেখে নিলেন। এর পরপরই ধরালেন। ভাবলাম ক্ষণ যদি না হয়ে থাকে তাহলে স্যারকে কষ্ট করে আরেকবার ধরাতে হবে।

তো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্পও চলছে। বিদেশি বেনসনের প্যাকেটে নানারকম সাবধানবাণী থাকে। সেই সঙ্গে বীভৎস ছবিও দেয়া আছে। স্যার আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘দ্যাখো, এসব ছবি দেখলে ভয় লাগে, আর খেতে মন চায় না।’ অথচ আমি তাঁর মধ্যে কোনো ভয় দেখেছি বলে মনে পড়ে না। ধীরে-সুস্থে চমৎকারভাবে পুরোটা শেষ করেন। দয়া পরবশ হয়ে আমাকেও একটি শলাকা অফার করেছিলেন। আর তখনই আচমকা মনে পড়ল আমি কীভাবে, কবে থেকে ‘তামাকের'তাঁবেদার হয়েছিলাম? সেসব তো বহুকাল আগের কথা।(চলবে)

Sunday, 9 February 2020

কসকনকপুর প্রবাসী ফোরামের কমিটি গঠন।

সামাজিক সংগঠন ,৮ নং কসকনকপুর প্রবাসী ফোরামের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা।
""""""""""""""""""""""""""""""""""""
অনলাইন ভিত্তিক কসকনকপুরের প্রবাসী নির্ভর স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘ ৮ নং কসকনকপুর প্রবাসী ফোরামের পূর্নাঙ্গ কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে কোষাধ্যক্ষ সোলেমান আহমদ লস্কর ০১/০২/২০২০ তারিখে কমিটি ঘোষনা করেন। 
সৌদি আরব প্রবাসী লোকমান উদ্দীন তালুকদার নেজামকে সভাপতি, সৌদি প্রবাসী সোলেমান আহমদ লস্করকে সাধারণ সম্পাদক ও বাহরাইন প্রবাসী আব্দুল আলীম লস্করকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। 
কসকনকপুরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ১লা অক্টোবর সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।  "একতা, সেবা,শান্তি ও সততার সাথে, এগিয়ে চলি এক সাথে" এই শ্লোগানকে ধারণ করে গত ১৪ জানুয়ারী ৮ নং কসকনকপুর  প্রবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। নব-গঠিত কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন★সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাহির ইংল্যান্ড, ★সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম আহমদ ফ্রান্স, ★এখলাসুর রহমান সৌদি আরব ,★আব্দুল মালেক মিরাসী সৌদি আরব, ★পারভেজ আহমদ খান আরব আমিরাত, ★মোহাম্মদ মঈনুল হক লস্কর আরব আমিরাত, ★মাওলানা কাওছার আহমদ আরব আমিরাত, ★মোহাম্মদ আলী আকবর সৌদি আরব, ★শাহ ফরিদ  সৌদি আরব,
★সহ সেক্রেটারি জুয়েল রানা লস্কর নাসির মালদ্বীপ, ★বদরুল ইসলাম খান সৌদি আরব, ★মোঃ সাজু আহমদ সৌদি আরব, ★আশরাফুল আলম আরব আমিরাত। ★সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল আহমদ তাফাদার মালয়েশিয়া, ★জুনেদ আহমদ আরব আমিরাত, ★কয়েস আহমদ তাপাদার ওমান। ★কোষাধক্ষ মোঃ টিপু সুলতান কোরিয়া,★সহ কোষাধক্ষ্য সম্পাদক আব্দুস শহীদ মালয়েশিয়া, ★মহসিন আহমদ সৌদি আরব★প্রচার সম্পাদক মিজান খান সৌদি আরব, ★সহ প্রচার সম্পাদক মাছুম রাজা ওমান, ★সুলেমান আহমদ আরব আমিরাত, ★প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মুকিত আরব আমিরাত,★দপ্তর সম্পাদক সায়েফ মীরাসি আরব আমিরাত, ★সহ-দপ্তর সম্পাদক মাসুম আহমদ সৌদি আরর, ★সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান কাতার,★ সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন লস্কর আরব আমিরাত, ★শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নেজাম উদ্দিন ইংল্যান্ড,★সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজান আহমদ চৌঃ মিজু বেলিজ সেন্ট্রাল আমেরিকা, ★ক্রীড়া সম্পাদক আবদুস শহীদ আরব আমিরাত,★ সহ ক্রীড়া সম্পাদক আবু তাহের আরব আমিরাত, ★ধর্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল ইসলাম কুয়েত, ★পরিকল্পনা সম্পাদক বদরুল ইসলাম আরব আমিরাত,★ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাতার, ★প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন তাপাদার কাতার, ★আইন বিষয়ক সম্পাদক আশফাকুল ইসলাম কাতার, ★পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ  মীরাসী সৌদি আরব ★আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ মালয়েশিয়া ★এবং কার্যকারী সদস্য
★দেলোয়ার হোসেন খান মালদ্বীপ,★ আব্দুল বাছিত ওমান, ★রফিক আহমদ ওমান, ★আব্দুস সবুর ওমান, ★ফয়জুর রহমান লস্কর আরব আমিরাত। 
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, আর্ত মানবতার কল্যানে কাজ করার নিমিত্তে গঠিত এই ফোরাম মানুষের কল্যানে সদা কাজ করতে দৃঢ় 'প্রত্যয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও প্রান্তে অবস্থান করেও ভাল কাজে যে পাশাপাশি থাকা যায় এর বড় প্রমাণ অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৮নং কসকনকপুর প্রবাসী ফোরাম। এই সংগঠনকে তার লক্ষ্যে পৌছাতে হলে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আর্ত মানবতার কল্যানে কাজ করার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

Thursday, 6 February 2020

সিলেটের টিলাগড় আবারো কলেজ ছাত্র খুন।

: সিলেট নগরীর টিলাগড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের খুন হয়েছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। অভিষেক দে দ্বীপ নামের ওই কর্মী গ্রীণহিল কলেজের ছাত্র। সে নগরীর শিবগঞ্জ সাদীপুর এলাকার দীপদ দে’র ছেলে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে টিলাগড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সৈকতের নেতৃত্বে একদল যুবক দ্বীপের উপর হামলা চালায়। এসময় দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় তারা।

আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপকে মৃত ঘোষণা করেন।

হামলায় নেতৃত্বদানকারী সৈকত সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী।

তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পূজার টাকা সংক্রান্ত বিরোধ থেকে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটেছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ওমর ফারুক সিলেটভিউকে অভিষেক দ্বীপের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের ২০২০-২০২৩ অর্থ সালের কমিটির চুড়ান্ত ঘোষণা।

বিশ্বের প্রথম অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি(২০২০-২০২৩) ঘোষনা।
""'''''''''''''''''''""''''''''''                     ""''''''''''""'"''""'''''
           সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ড ও সমন্নয়হীনতার কারণে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে সেলিম চৌধুরীকে  বহিস্কারের-প্রায় ৬ দিন পর সংগঠনের সকল সদস্যের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি  জনাব সোলেমান আহমদ লস্কর সাহেব।সাধারণ সম্পাদক অাল মাহমুদ রুমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল অামিন তাপাদার কে স্বপদে বহাল রেখে ৬৫ জন বিশিষ্ট কমিটি চুড়ান্ত হল:--

জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের(২০২০-২০২২) সেশনের ৩ তিন বছর মেয়াদী কার্যকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যকরী কমিটি (২০২০-২০২২) সেশনের ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন--- 

উপদেষ্টাবৃন্দ:
১) মোঃ ফজলুর রহমান (প্রধান উপদেষ্টা)
২) জামাল আহমদ
৩)আব্দুল মালিক মালেক

১/সভাপতিঃ সোলেমান আহমদ লস্কর(৮ নং কসকনকপুর ইউনিয়ন)
২/সিনিয়র সহ সভাপতিঃ মহি উদ্দিন আহমদ (মহিম)(৪ নং খলাছড়া ইউনিয়ন)
৩/সহ সভাপতিঃ মোঃসুলাইমান আহমদ(৩ নং কাজলশাহ ইউনিয়ন)
৪/সহ সভাপতিঃ এন, আই, সুজন( পৌরসভা) 
৫/সহ সভাপতিঃ জয়নাল আবেদীন (২ নং বীরশ্রী ইউনিয়ন)
৬/সহ সভাপতিঃ আব্দুল আজিজ আইনুল (৭ নং বারঠাকুরি)
৭/সহ সভাপতিঃ ডাঃ আলী আহসান (৮ নং কসকনকপুর ইউনিয়ন) 
৮/সহ সভাপতিঃ মনোরঞ্জন রায় মনি(৫ নংজকিগঞ্জ ইউনিয়ন)
৯/সহ সভাপতিঃ বালাই মোহন বিশ্বাস (৬ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন)
১০/সহ-সভাপতিঃ শিপলু চৌধুরী(১ নং বারহাল ইউনিয়ন)
১১/সহ-সভাপতিঃ কামাল আহমেদ সেবলু (৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন) 

১২/সাধারণ সম্পাদকঃ আল মাহমুদ রুমেল (পৌরসভা) 
১৩/সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদকঃ রুবেল আহমেদ শিবলু(৪নং খলাছড়া ইউনিয়ন) 
১৪/সহ সাধারণ সম্পাদকঃ মামুনুর রশীদ মামুন(পৌরসভা) 
১৫/সহ সাধারণ সম্পাদকঃ  তাজ উদ্দিন তাজ(পৌরসভা) 
১৬/সহ-সাধারণ সম্পাদকঃ সুবোধ বিশ্বাস (৬নং সুলতান পুর ইউনিয়ন) 

১৭/সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মোঃ রুহুল আমিন তাফাদার (৫নং জকিগঞ্জ ইউনিয়ন) 
১৮/সিনিয়র সহ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ এমাদ উদ্দিন (পৌরসভা ) 
১৯/সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সুহেল আহমেদ রানা (২নং বিরশ্রী)
২০/সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম চৌঃ সুজন(২নং বিরশ্রী ইউনিয়ন) 
২১/সহ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ এস এম কয়েছ (৪নং খলাছড়া ইউনিয়ন) 
২২/সহ-সাংগঠনিকঃ খাদেমুল ইসলাম(৫ নং জকিগঞ্জ ইউপি)
২৩/সহ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ বদরুল ইসলাম খান (৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন)

২৪/প্রচার সম্পাদকঃ শামীম ওসমান(২নং বিরশ্রী )
২৫/সহ প্রচার সম্পাদকঃ বদরুল ইসলাম(৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন)
২৬/সহ প্রচার সম্পাদকঃ আলী আহমদ চৌধুরী টিপু (পৌরসভা)

২৭/ সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ নাজিম উদ্দিন 
২৮/সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ মোঃ ছালেক আহমদ

২৯/শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদকঃ দাইয়ান মোহাম্মদ পুস্প
৩০/সহ শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদকঃ শাহেদ আহমেদ (গ্রাম খলাছড়া)

৩১/কোষাধ্যক্ষঃ ডাঃ হাবিবুল্লাহ মিছবাহ
৩২/কোষাধ্যক্ষ প্রবাসীঃ
৩৩/ক্রীড়া সম্পাদকঃ ফয়সল আহমদ
৩৪/ সহ ক্রীড়া সম্পাদকঃ আফছার আহমদ

৩৫/সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ সুরনজিৎ কুমার রায়
৩৬/সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ দুলু রঞ্জন বিশ্বাস

৩৭/দপ্তর সম্পাদকঃ মঈন উদ্দিন মইন 
৩৮/সহ দপ্তর সম্পাদকঃ কামরুল হাসান 
৩৯/প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদকঃ জুনেদ আহমদ ইমরান
৪০/সহ প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদকঃআব্দুল কাইয়ুম

৪১/স্বাস্হ্য সম্পাদকঃ সাহেদ আহমদ (৯ নং মানিকপুর ইউপি)
৪২/সহ স্বাস্থ্য সম্পাদকঃ আব্দুল মালেক মিরাসি

৪৩/ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ মাওলানা মিজানুর রহমান খান 
৪৪/সহ ধর্ম বিষয়কঃ মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ 

৪৫/তথ্য ও গবেষনা সম্পাদকঃ মোঃ আল আমিন
৪৬/সহ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদকঃরেজওয়ান আহমদ ( রিজু)
৪৭/ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সম্পাদকঃ অজয় রায়
৪৮/সহ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্পাদকঃরিংকু দাস 

৪৯/মহিলা সম্পাদিকাঃ মাহমুদা আক্তার তৃষ্ণা 
৫০/সহ মহিলা সম্পাদকঃ

৫১/পরিবেশ সম্পাদকঃ কাজি রুহুল আমিন 
৫২/সহ পরিবেশ সম্পাদকঃ আব্দুল বাছিত

৫৩/জনশক্তি ও কর্মসসংস্থান সম্পাদকঃ সামছুদ্দোহা 
৫৪/সহ জনশক্তি ও কর্মসসংস্থান সম্পাদকঃ মিল্টন রায় 

৫৫/ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ তাজুল ইসলাম। 
৫৬/সহ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আলাউদ্দিন আলাই

এছাড়াও সিনিয়র সদস্য পদে যারা আছেন--
৫৭/সিনিয়র সদস্য :জাহেদুল ইসলাম
৫৮/সিনিয়র সদস্য আব্দুল রাজ্জাক
৫৯/সিনিয়র সদস্য আব্দুল করিম দুলু
৬০/সিনিয়র সদস্য আব্দুর রহিম
৬১/ সিনিয়র সদস্য ডি এস দীপঙ্কর রায়
৬২/সিনিয়র সদস্য বিজন বিশ্বাস
৬৩/সিনিয়র সদস্য আব্দুল হারিস
৬৪/সিনিয়র সদস্য মোঃ আবু বকর সিদ্দিক রুহুল
৬৫/সিনিয়র সদস্য রাজন বিশ্বাস
             নির্বাচন পরিচালনা করেন-
জনাব ফজলুর রহমান(নির্বাচক কমিটির প্রধান)
জনাব জামাল অাহমদ(সহকারী)
 মহিউদ্দিন অাহমদ(মহিম)।

Wednesday, 5 February 2020

প্রবাসীদের বাড়ী দখল করতে চাইলে ১০ মিনিটে ব্যবস্থা নিবেনঃ সিলেটের পুলিশ সুপার

প্রবাসীদের বাড়ী দখল করলে ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা: সিলেটের পুলিশ সুপার

সিলেট :: সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেছেন, আজ থেকে সিলেট জেলার প্রবাসীদের বাড়ী কিংবা জায়গা দখলের সংবাদ পাওয়া গেলে ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ প্রবাসীদের প্রতি আন্তরিক ও দেশে তাদের সম্পদ যাতে কেউ জোরপূর্বক দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে সবসময় সতর্কে রয়েছে।   


তিনি বুধবার বিকেলে যুক্তরাজ্যের এনআরবি’র একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে গেলে এ সময় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আরো বলেন, ওসমানীনগর উপজেলায় রাতের বেলা যাতে ডাকাতি না হয় এতে ১২টি পুলিশের টিম দায়িত্ব পালন করে। সিলেটের প্রবাসীদের প্রতি দেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে কোন কলকারখানা নেই। এখানের নিম্ন আয়ের মানুষের কাজকর্মের কোন জায়গা নেই। প্রবাসীরা সিলেটে বিনিয়োগ করলে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্রয়ডনের কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী, এনআরবি’র প্রতিনিধি আবুল হোসেইন, জকিগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জকিগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক ফজলে চৌধুরী একলিম, সিলেট চেম্বারের সদস্য আফজল হোসেইন, জকিগঞ্জ জকিগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুনেদ আহমদ চৌধুরী।

প্রবাসীরা এসময় সিলেটের আইনশৃঙ্খলা বিগত দিনের ন্যায় অনেক উন্নতি হওয়ায় পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানান।

Tuesday, 4 February 2020

জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে বেডের নিচে আবর্জনার স্তূপ।

আমাদের জকিগঞ্জ উপজেলার সরকারি হাসপাতালের এই অবস্থা আমি এক অসুস্থ রোগীকে দেখতে এসে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করছি বাংলাদেশের সবকিছুর উন্নতি হয়েছে কিন্তু আমাদের সরকারি হাসপাতালের কোন উন্নতি হয়নি।

Monday, 3 February 2020

আত্নহত্যা থেকে ছেলেকে বাচাতে প্রাণ গেল মায়ের।

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের অদূরে বটতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাহালু উপজেলার সাগাটিয়া গ্রামের হারেজ উদ্দিনের স্ত্রী ফেলানী  বেগম ও তার ছেলে রাজ বাবু ।

জানা যায়, ফেলানী বেগম ওই রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বটতলায় রেল লাইন সংলগ্ন ফুটপাতে খাবার বিক্রি করেন। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকাগামী লালমনী এক্সপ্রেস ট্রেন কাহালু স্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে রাজ বাবু আত্মহত্যা করতে   ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে যান। এ সময় তার মা বিষয়টি জেনে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে দু’জনই ট্রেনে কাটা পড়ে খণ্ড বিখণ্ড হয়ে মারা যান। পরে কাহালু থানা-পুলিশ নিহত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেন।

কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, সাগাটিয়া গ্রামের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে রাজ বাবু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি সোমবার দুপুরে আত্মহত্যা করতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে যান। এ সময় মা ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দু’জনই নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের কাছে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবে।

জকিগঞ্জে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ১২ নেতার রিকুইজিশন পত্র।

আল হাছিব তাপাদার:: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে ও উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির মতামত ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কাজলসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মস্তুফা উদ্দিন। জবাব চেয়ে বসেছেন কার্যনির্বাহী সংসদের ১৪ নেতা।

গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিনের স্বাক্ষরিত কাজলসার ইউনিয়ন ও বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির কপি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বির্তকের ঝড় উঠে। শনিবার আটগ্রাম বাসস্টেশনে তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু প্রদর্শন করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। সোমবার তাৎক্ষণিক উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির ১২ জন নেতা জরুরী বৈঠকে বসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কমিটি নিয়ে সভা আহবান করতে রিকুইজিশনপত্র পাঠান।

এ রিকুইজিশনপত্রে স্বাক্ষর করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন লিমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সাকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আহমদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আলম রাহাত, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আফনান, সমাজসেবা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপ সমাজসেবা সম্পাদক রাসেল আহমদ, উপ ক্রীড়া সম্পাদক পিয়ার আহমদ।

তারা রিকুইজিশনপত্রে দুটি কমিটি অনুমোদনের বৈধতা চেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিনের কাছে জানতে চান, কোন কার্যক্ষমতা বলে এ দুটি কমিটি অনুমোদন করা হলো। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার সভাপতি-সম্পাদক বহন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, প্রায় দেড় বছর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির কোন সভা হয়না। কমিটির মতামত ছাড়াই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যক্রম বলে তারা দাবী করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ত্যাগীদের নিয়ে দুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পদপদবী না পেয়ে কমিটি নিয়ে হয়তো কারো ক্ষোভ থাকতে পারে। উপজেলা ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতা স্বাক্ষরিত রিকুইজিশন পত্র এখনো পাইনি। পত্র পাওয়ার পরপরই আমরা কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসে সৃষ্ট বিষয়টি সুরাহা করবো।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্রলীগ বৃহত্তর সংগঠন তাই সবাইকে পদপদবী দেয়া সম্ভব হয়না। এ জন্য অনেকে ক্ষোভ দেখাতে পারেন। উপজেলা ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতার স্বাক্ষরিত রিকুইজিশনপত্র আমার কাছে পৌছেনি। আমি শুনেছি সভা আহবানের জন্য তারা রিকুইজিশনপত্র পাঠিয়েছেন। দুটি ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কোন ভূল ত্রুটি হলে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বসে আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবো।

 

জকিগঞ্জের খলাছড়া গ্রামে ৪র্থ শ্রেণীর এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জে ৪র্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সোমবার পৌরসভা আওয়ামীলীগ নেতা কয়েছ আহমদ (৪২) কে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। সে পৌর এলাকার খলাছড়া গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে। রবিবার তার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার তাকে আটক করে।

অভিযোগে শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেন, মাদ্রাসা ছুটির পর তার প্রতিবন্ধী মেয়ে বাড়ী যাবার পথে কয়েছ আহমদের বাসার পাশের বরই গাছের নিচে বরই কুঁড়াতে গেলে কয়েছ তাকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। পরে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে লোকজন এগিয়ে এসে বাসার ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কয়েছ আহমদকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।