সিলেটের জকিগঞ্জে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষকরা ভিডিও করে ওই ছাত্রীকে জিম্মির মাধ্যমে টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী। এদিকে ঘটনার বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ জুলাই) জকিগঞ্জ থানায় ওই মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের আজাদ আহমেদের ছেলে শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের ফইজ আলীর ছেলে মুমিন আহমদ (২০)।
জানা যায়, স্থানীয় বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই স্কুলছাত্রী শনিবার সকাল ১০টার দিকে সহপাঠী বন্ধু রাফির সাথে শাহগলী বাজারের পরিত্যক্ত আদিল ব্রিকফিল্ড এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে অভিযুক্ত ওই পাঁচ যুবক গোপনে তাদের ছবি তোলেন। এরপর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তাদের তিনজন। বাকি দু’জন তাদের সহযোগিতা করেন।
এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার বিকেলে বারহাল এলাকায় পৃথকভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও প্রথমে ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে আমরা ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই এবং পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেই। বুধবার সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে মামলা করতে দেরি হওয়ায় আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছেন।’