ধর্মীয় গুরুদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক, লেখাটি পড়তে ও শেয়ার করতে ভূলবেন না।
----------------
বিবেকহীন জাতি
মুফতি মোস্তফা সুহেল
সাধারণ মানুষ যদি আমি আলেমকে প্রশ্নের ধরণ এমন হয় যে, হুজুর এটা কি জায়েয? এটা কেমনে জায়েয? আর এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে আপনাকে আমতা আমতা করে দিতে হয়, তখন বোঝে নিন, তার বিবেক আমি আলেমের চেয়ে পরিস্কার, তার শারয়ী ধারণা আমার চেয়ে স্বচ্ছ৷
মাইক দিয়ে ওয়াযের প্যান্ডেলের বাহিরে এমনকি এক/দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায পৌছানো এমন একটি কর্ম যা কেবল শরীয়ত বিরোধি নয়, বিবেকহীনও বটে৷ কুরআন, হাদীস, কিতাব ঘাটাঘাটি না থাকায় যদি এগুলোর অবৈধতার ফতোয়া পান না, তবে বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলেও তো ফতোয়া পেয়ে যেতেন৷ প্রতিটি বড় বড় মাদরাসায় এত মুহাদ্দিস মুফতি থাকতে জানি না কেন কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামান না৷ দেড় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায দিয়ে রাতভর ওয়ায করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া, যে শুনতে চায় না তার কানেও জোরে আওয়ায পৌছানো কোন ইসলাম?
হাজারো মানুষ এসব কর্মের বিরোধি৷ কিন্তু ধর্মীয় এক অজানা ভয়ে কিংবা আপনাদের ফতোয়ার ভয়ে এসবের বিরুদ্ধে আওয়ায তুলতে সাহস পায় না৷ প্রতিদিনের এসব কষ্ট মনে জমতে জমতে এক সময় মানুষ আলেমদের প্রতি এমনকি কেউ কেউ ইসলামের প্রতিও বিরুপ মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠে৷ এসবের দায়ভার কার উপর?
হিন্দুরা তাদের পুজার সময় একটু জোরে সাউন্ড বাজিয়ে আমার ঘর পর্যন্ত পৌছালে কেমন লাগে বলুন? সেখানে আমি যদি আপনার ওয়ায শুনতে ইচ্ছুক না হই, আর আপনি চিল্লিয়ে তা দেড় দুই মাইল পর্যন্ত পৌছান, সারা রাত ঘুম, ইবাদাত, পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটান তখন কেমন লাগবে?
একটু বিবেক জাগ্রত করুন৷ ইসলাম ও মুসলামনকে আর প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না৷ মানুষকে কষ্ট দিয়ে এসব ওয়াযের নযির সালাফে একটিও দেখাতে পারবেন না৷ একজন মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের ওয়াযের এই পদ্ধতি ও সাউন্ড সিস্টেম বৈধ নয়৷
No comments:
Post a Comment