Tuesday, 29 December 2020

চৈতী হাওয়া লেখক কাজী নজরুল ইসলাম।

হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর,
আজ্‌কে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার!
আজ্‌কে তোমার জন্মদিন-
স্মরণ-বেলায় নিদ্রাহীন
হাত্‌ড়ে ফিরি হারিয়ে-যাওয়ার অকূল অন্ধকার!
এই -সে হেথাই হারিয়ে গেছে কুড়িয়ে-পাওয়া হার!

শূন্য ছিল নিতল দীঘির শীতল কালো জল,
কেন তুমি ফুটলে সেথা ব্যথার নীলোৎপল?
আঁধার দীঘির রাঙলে মুখ,
নিটোল ঢেউ-এর ভাঙলে বুক,-
কোন্‌ পূজারী নিল ছিঁড়ে? ছিন্ন তোমার দল
ঢেকেছে আজ কোন্‌ দেবতার কোন্‌ সে পাষাণ-তল?

অস্ত-খেয়ার হারামাণিক-বোঝাই-করা না’
আস্‌ছে নিতুই ফিরিয়ে দেওয়ার উদয়-পারের গাঁ
ঘাটে আমি রই ব’সে
আমার মাণিক কই গো সে?
পারাবারের ঢেউ-দোলানী হান্‌ছে বুকে ঘা!
আমি খুঁজি ভিড়ের মাঝে চেনা কমল-পা!

বইছে আবার চৈতী হাওয়া গুম্‌রে ওঠে মন,
পেয়েছিলাম এম্‌নি হাওয়ায় তোমার পরশন।
তেম্‌নি আবার মহুয়া-মউ
মৌমাছিদের কৃষ্ণ-বউ
পান ক’রে ওই ঢুল্‌ছে নেশায়, দুল্‌ছে মহুল বন,
ফুল-সৌখিন্‌ দখিন হাওয়ায় কানন উচাটন!

প’ড়ছে মনে টগর চাঁপা বেল চামেলি যুঁই,
মধুপ দেখে যাদের শাখা আপ্‌নি যেত নুই।
হাস্‌তে তুমি দুলিয়ে ডাল,
গোলাপ হ’য়ে ফুটতো গাল
থর্‌কমলী আঁউরে যেত তপ্ত ও-গাল ছুঁই!
বকুল শাখা-ব্যকুল হ’ত টলমলাত ভুঁই!

চৈতী রাতের গাইত’ গজল বুলবুলিয়ার রব,
দুপুর বেলায় চবুতরায় কাঁদত কবুতর!
ভুঁই- তারকা সুন্দরী
সজনে ফুলের দল ঝরি’
থোপা থোপা লা ছড়াত দোলন-খোঁপার’ পর।
ঝাজাল হাওয়ায় বাজত উদাস মাছরাঙার স্বর!


পিয়ালবনায় পলাশ ফুলের গেলাস-ভরা মউ!
খেত বঁধুর জড়িয়ে গলা সাঁওতালিয়া বউ!
লুকিয়ে তুমি দেখতে তাই,
বলতে, ‘আমি অমনি চাই!
খোঁপায় দিতাম চাঁপা গুঁজে, ঠোঁটে দিতাম মউ!
হিজল শাখায় ডাকত পাখি “ বউ গো কথা কউ”

ডাকত ডাহুক জল- পায়রা নাচত ভরা বিল,
জোড়া ভুর” ওড়া যেন আসমানে গাঙচিল
হঠাৎ জলে রাখত্‌ে পা,
কাজলা দীঘির শিউরে গা-
কাঁটা দিয়ে উঠত মৃণাল ফুটত কমল-ঝিল!
ডাগর চোখে লাগত তোমার সাগর দীঘির নীল!

উদাস দুপুর কখন গেছে এখন বিকেল যায়,
ঘুম জড়ানো ঘুমতী নদীর ঘুমুর পরা পায়!
শঙ্খ বাজে মন্দিরে,
সন্ধ্যা আসে বন ঘিরে,
ঝাউ-এর শাখায় ভেজা আঁধার কে পিঁজেছে হায়!
মাঠের বাঁশী বন্‌-উদাসী ভীম্‌পলাশী গায়অ

বাউল আজি বাউল হ’ল আমরা তফাতে!
আম-মুকুলের গুঁজি-কাঠি দাও কি খোঁপাতে?
ডাবের শীতল জল দিয়ে
মুখ মাজ’কি আর প্রিয়ে?
প্রজাপতির ডাক-ঝরা সোনার টোপাতে
ভাঙা ভুর” দাও কি জোড়া রাতুল শোভাতে?

বউল ঝ’রে ফ’লেছ আজ থোলো থোলো আম,
রসের পীড়ায় টস্‌টসে বুক ঝুরছে গোপাবজাম!
কামরাঙারা রাঙল ফের
পীড়ন পেতে ঐ মুখের,
স্মরণ ক’রে চিবুক তোমার, বুকের তোমার ঠাম-
জামর”লে রস ফেটে পড়ে, হায়, কে দেবে দাম!

ক’রেছিলাম চাউনি চয়ন নয়ন হ’তে তোর,
ভেবেছিলুম গাঁথ্‌ব মালা পাইনে খুঁজে ডোর!
সেই চাহনি নীল-কমল
ভ’রল আমার মানস-জল,
কমল-কাঁটার ঘা লেগেছে মর্মমূলে মোর!
বক্ষে আমার দুলে আঁখির সাতনরী-হার লোর!


তরী আমার কোন্‌ কিনারায় পাইনে খুঁজে কুল,
স্মরণ-পারের গন্ধ পাঠায় কমলা নেবুর ফুল!
পাহাড়তলীর শালবনায়
বিষের মত নীল ঘনায়!
সাঁঝ প’রেছে ঐ দ্বিতীয়ার-চাঁদ-ইহুদী-দুল!
হায় গো, আমার ভিন্‌ গাঁয়ে আজ পথ হ’য়েছে ভুল!

কোথায় তুমি কোথায় আমি চৈতে দেখা সেই,
কেঁদে ফিরে যায় যে চৈত-তোমার দেখা নেই!
কন্ঠে কাঁদে একটি স্বর-
কোথায় তুমি বাঁধলে ঘর?
তেমনি ক’রে জাগছে কি রাত আমার আশাতেই?
কুড়িয়ে পাওয়া বেলায় খুঁজি হারিয়ে যাওয়া খেই!

পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না’,
এই তরীতে হয়ত তোমার প’ড়বে রাঙা পা!
আবার তোমার সুখ-ছোঁওয়ায়
আকুল দোলা লাগবে না’য়,
এক তরীতে যাব মোরা আর-না-হারা গাঁ
পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না’।।

Friday, 4 September 2020

কিভাবে বিদেশীরা বাংলাদেশের ভিসা পান

প্রতিটি দেশের মতো বাংলাদেশে আসতে চাইলে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা নিতে হয়। ভিসার মাধ্যমে একটি সরকার কোনও বিদেশি নাগরিককে দেশে ঢোকার অনুমতি দেয় এবং এই ভিসা বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়। বাংলাদেশ মোট ৩০টি ক্যাটাগরিতে ভিসা দিয়ে থাকে। এরমধ্যে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান, মন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তিরা ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিসা পান। সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পান ‘এ১’ এবং জাতিসংঘ বা এর কোনও সংস্থা, আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সংস্থার কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় ‘এ২’ ক্যাটাগরির ভিসা। আবার ‘এ২’ ভিসাপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরা যদি বাংলাদেশে আসতে চায় তবে তাদের দেওয়া হয় ‘এফএ২’ ভিসা।

উন্নয়ন সংস্থা যেমন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের ‘এ৩’ ভিসা দেওয়া হলেও অন্য বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হয় ‘ই’ ক্যাটাগরির ভিসা। এই বিশেষজ্ঞরা সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে।

ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় ‘বি’ ভিসা কিন্তু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয় ‘পিআই’ ভিসা। ছাত্রদের দেওয়া হয় ‘এস’ ভিসা, সাংবাদিকদের ‘জে’ ভিসা, খেলোয়াড়দের দেওয়া হয় ‘পি’ ভিসা এবং কূটনীতিকদের দেওয়া হয় ‘ডি’ ভিসা। আবার কূটনীতিকদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে যারা কাজ করে তাদের দেওয়া হয় ‘ডিএ’ ভিসা।

সাধারণ পর্যটকদের ‘টি’ ভিসা দেওয়া হলেও তাবলিগ বা অন্যান্য ধর্মের মানুষ যারা ধর্মীয় পর্যটনে বাংলাদেশে আসেন তাদের দেওয়া হয় ‘এম’ ভিসা। বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত যেকোনও প্রতিষ্ঠানে গবেষণা, ইন্টার্নশিপ বা প্রশিক্ষণের জন্য আগমনকারী বিদেশিদের দেওয়া হয় ‘আর’ ভিসা।

আবেদন করলেই কি ভিসা পাওয়া যায়?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিসা একটি সুবিধা (প্রিভিলেজ) এবং এটি কোনও অধিকার নয়। যেকোনও বিদেশিকে সরকার ভিসা নাও দিতে পারে। ভিসা না দিলে কেন দেওয়া হয়নি সে ব্যাখ্যা দিতেও সরকার বাধ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে ভিসা আবেদনকারীকে বলা হয় ওই কাগজ জমা দেওয়ার জন্য।’

তিনি বলেন, আবার অনেক সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিককে কম ভিসা দেওয়ার নীতিও নেওয়া হয়। ইসরায়েলে জন্মগ্রহণ করেছে কিন্তু বর্তমানে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনপত্র ঢাকায় বিবেচনা করা হয় বলে তিনি জানান।

ভিসা পেলেই বাংলাদেশে ঢোকা যায়?

মোটেই না। ভিসা পাওয়ার পরেও বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিদেশি নাগরিককে বের হবার অনুমতি নাও দিতে পারে এবং পরবর্তী সুবিধাজনক ফ্লাইটে ফেরত পাঠাতে পারে। এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সার্ক ভিসা চালু আছে। যাদের সার্ক ভিসা দেওয়া হয় তাদের এই ৮টি দেশে ভ্রমণ করার সময়ে ভ্রমণকারী দেশের কাছ থেকে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

তিনি বলেন, একবার বিমানবন্দর থেকে আমাদের জানানো হলো পাকিস্তান থেকে একজন সংগীত শিল্পী সার্ক ভিসা নিয়ে ঢাকায় এসেছে। তাকে যখন ভ্রমণের উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তখন জানায় সে তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। তাকে পরের ফ্লাইটেই আবার পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।

Sunday, 30 August 2020

জকিগঞ্জের লুৎফুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দূর্ণীতি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে স্মারক লিপি প্রদান।

বিগত এস এস সি রেজাল্ট প্রকাশের পর ফেইসবুকে একই এলাকার প্রবাসী মকবুল হুসেইন স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে একটা স্টেটাস দিলে অধ্যক্ষ মাজেদ আহমেদের অশালীনকমেন্ট আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে।

 জকিগঞ্জে লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ২৭.০৮.২০ ইং তারিখে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।ইউ,এন,ও এর অনুপস্থিতিতে স্মারক লিপি গ্রহণ করেন অফিসের কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা।জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে নির্বাচন বিহীন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জনাব, মাজেদ আহমদ উনার নিজের পছন্দের লোক দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে আসছেন, সেজন্য এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিষ্ঠানের কুন বিষয়ে কথা বললে ম্যানেজিং কমিটির সবাই এক হয়ে লাঞ্চিত করেন। মান- সম্মানের ভয়ে অনেকেই মুখ বন্ধ করে থাকতে বাধ্য হোন।বিগত বছর প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ এর চাকুরির মেয়াদ শেষ হলেও উনি বহাল তবিয়তে আছেন এবং উনার নিজের পছন্দের লোক অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসান।এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়,উনাদের দাবী হলো অতি শীঘ্রই ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে অভিভাবকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উনাদের আকুল আবেদন যে,দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

Monday, 29 June 2020

সিলেটের ইফজাল হত্যার বিচার চায় সিলেট বাসী

ইফজাল আমার এলাকা তথা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সন্তান। এই তরুন বয়সে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু মেনে নেয়া কষ্টকর। তার এমন বিদায়ে যেহেতু রহস্য আছে, আমি চাই সেই রহস্য উদঘাটিত হোক। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটির মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত হোক। তদন্তের মাধ্যমে যদি প্রমাণিত হয় যে এটা একটা নির্মম হত্যাকান্ড, তাহলে অবশ্যই এর ন্যায় বিচার করতে হবে। 
সাধারণত পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে ইনভেস্টিগেশন করা। তাছাড়া সাংবাদিকরাও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে থাকেন। যা পুলিশের জন্য সহায়ক ভুমিকা রাখে। এর বাইরে সোসাল মিডিয়ায় যা প্রচার করা হয় তার প্রকৃত অর্থে কোন ভেল্যু নেই। তবে প্রমাণ থাকার পরেও পুলিশ ইচ্ছে করে কোন ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইলে তখন মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি সোসাল মিডিয়ায় সরব ভুমিকা অনেক কাজ দেয়। 

আসুন, সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করি। সোসাল মিডিয়ায় ইফজালের পরিবারকে জড়িয়ে এখন যা প্রচার করা হচ্ছে তা, যে কোন বিচারে সঠিক নয়। পরিবারের কেউ চায়না তার আপনজন এভাবে দুনিয়া থেকে চলে যাক। মা তো নয়ই। পরিবারের কেউ জড়িত হলে অবশ্যই তার বিচার হতে হবে। তবে শেষমেশ পরিবারের কেউ জড়িত না থাকলে সোসাল মিডিয়ায় কেউ কেউ এখন যা প্রচার করছেন তা ইফজালের শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য বিশেষ করে তার মায়ের জন্য 'মরার উপর খাড়ার ঘা' হিসেবে দেখা দেবে। কাজেই একটা জুলুমের প্রতিকার চাইতে গিয়ে যেন আমরা আরেকটা জুলুম করে না ফেলি সে দিকে খেয়াল রাখা ন্যায় বিচারের স্বার্থেই জরুরী । 

লেখক আবু সালেহ 

Tuesday, 23 June 2020

সিলেটের একজন সাবেক মন্ত্রীর কষ্টের কাহিনী হৃদয়ে লাগে।

সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী। এক সময় বিদেশে ছিলেন। পড়াশুনা করা লোক। লেখালেখিও করেন। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থার পদে ছিলেন বিদেশে। তখন শেষ জীবনে থাকার জন্যে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটা বাড়ি কেনেন।
ওপরে নীচে দশ বারোটি রূম। অনেক দিন ধরে বাড়িটি নিজের মতো করে সাজাচ্ছিলেন। বিদেশে থাকা স্বত্ত্বেও বাড়িটি কখনও তিনি ভাড়া দেননি। যখন মন্ত্রী হলেন তখন থাকতেন সরকারি বাংলোয়।
ওই সময় বাড়িটায় থাকতেন তাঁর ছেলে শাহেদ। কিন্তু সরকারি ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় পর এই সাবেক দাপুটে মন্ত্রী পড়লেন ভিন্ন এক সমস্যায়। যে সমস্যা তিনি বাইরে কারও সঙ্গে শেয়ার করতেও পারেননা।
কারন সমস্যা তাঁর ছেলে শাহেদ। বাবা মন্ত্রী থাকতে বাবা’র নাম ভাঙ্গিয়ে নানাকিছু করেছে। কিন্তু এখন বাবার মন্ত্রিত্ব নাই দেখে সে বাবাকে অচ্ছুত ক্ষমতাহীন ভাবতেও শুরু করে দেয়! বাবাকে তাঁর নিজের বাড়িতে উঠতে দিতে চায় না।
তার বক্তব্য, দশ বছর ধরে বাড়িটায় ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে থাকতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কাজেই বাবা-মা তথা বুড়োবুড়ির এখন আর এ বাড়িতে আসার দরকার নেই! দরকার হলে সে বাবাকে অন্য কোথাও বাড়ি ভাড়া করে দেবে।
আলীশান বাড়ি হবে সেটি। বাবা-মা’কে দেখাশুনা রান্না করে খাওয়ানোর জন্যে রেখে দেবে দু’জন কাজের লোক। এরপরও বুড়ো-বুড়ি যাতে এ বাড়ির দিকে না আসেন। এ নিয়ে মানসিক বিড়ম্বনায় পড়েন সাবেক মন্ত্রী।
না কিছু কইতে পারেন। না কিছু সইতে পারেন। অন্যদিকে তিনি যে সরকারি বাংলোয় থাকতেন সে বাড়ি অন্য মন্ত্রীর জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সে বাড়িতে নতুন মন্ত্রীর পরিবার উঠবে। তারা তাগাদা দিচ্ছে।
অথচ সাবেক মন্ত্রীর বড় আশা ছিল ছেলে-ছেলের বউ, নাতি-নাতনি নিয়ে এক বাড়িতে থাকবেন। এরজন্যে তিনি এত বড় বাড়ি করেছিলেন। কিন্তু ছেলে তাঁকে তাঁর স্বপ্নের নিজের বাড়িতে উঠতে দিতে চায় না!
উল্টো তাঁকে পাঠাতে চায় এক রকম বৃদ্ধাশ্রমে! সাবেক মন্ত্রী তাঁর ছেলেবেলা, বাবা-মা’র সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, তাদের যৌথ পরিবারের আনন্দময় জীবনের কথা ভাবেন আর চোখ মোছেন। আগে সবাই কি আনন্দে দিন কাটাইতেন।
বাড়িতে তার বাবা, দাদা সবাই মিলে এক সঙ্গে পাটি মিলিয়ে বসে খেতে বসতেন। তাঁর মা, বড় বোন, ভাবী কত যত্মে আদর করে তাদেরকে খাওয়াতেন। প্রথমে দাদা’র, এরপর বাবা’র প্লেটে খাবার দেয়া হতো।
পরিবারের পুরুষ মুরব্বিদের সিরিয়াল আগে। বড়মাছের মাথাটাও দেয়া হতো তাদের প্লেটে। মুরব্বিরা পরে সেটি সবাইকে ভাগ করে দিতেন। আগের সম্পন্ন পরিবারের নানান রেওয়াজও ছিল ভিন্ন।
প্রতিদিন রান্নার আগে বাড়ির বৌ অনুমতি নিতেন পরামর্শ করতেন শাশুড়ির সঙ্গে। কী পরিমান ভাত রান্না করবেন। কী কী তরকারি থাকবে। আর এখনকার সমাজ সংসার কেমন বদলে গেলো!
শাহেদকে বড় আদরে তারা বড় করেছেন। পড়াশুনা করিয়েছে ইংরেজি মাধ্যমে। বিদেশেও পড়িয়েছেন। সে ছেলের বয়সও এখন প্রায় পঞ্চাশ। বাবা মন্ত্রী থাকতে সে ধানমন্ডির বাড়িতেই ছিল।
মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়াবার পর যখন নিজের বাড়িতে উঠতে বাধা পেলেন ছেলের তখন বাধ্য হয়ে তিনি এক শীর্ষ কর্মকর্তার স্মরনাপন্ন হন। তারা ঠিক করলেন বিষয়টি গোপন রাখতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে সেই কর্মকর্তাকে বলেন, “আমি এখন অবসরে। দলে কোন পদেও নেই। আমার আর বাকি জীবনে, কোন পদে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই তুমি যদি পারো আমাকে আমার বাড়িতে উঠিয়ে দাও।”
পরিকল্পনা মাফিক গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সাদা পোশাকে বাড়িটায় যান। সেখানে গিয়ে তারা শাহেদকে তাদের পরিচয় দেন। এরপর তারা তার বাবা সাবেক মন্ত্রীর জিনিসপত্র তাদের রূমগুলোয় গুছিয়ে তাদের তুলে দেন নিজের বাসায়।

ওই সময়ে সেখানে সেই কর্মকর্তার ফোন যায়। ফোনটি তাঁর, যিনি পুরো আয়োজনটি সাজিয়েছেন। লাউড স্পিকারে ফোনের কথাবার্তা শাহেদকে শোনানো হয়। “সব ঠিক আছে, তারপর বললেন আচ্ছা আচ্ছা, কোন ঝামেলা হয়নিতো,
না স্যার। ঠিকমত নিজের রুমে গিয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিতে পেরেছেন?। তারপরে বললেন, আচ্ছা তুমি আমাকে চিন্তা থেকে মুক্ত করলে, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ব্যাপারটি যেন বাহিরের লোক না জানে।”

মিশন সাকসেসফুল হবার পরপরই আরেকটা টেলিফোন আসলো, এবার লাউডস্পিকারে ওপাশ থেকে শোনানো হয়, স্যার মিনিস্টার স্যারকে দোতালার মাস্টার বেডরুমে উনার সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়ে এসেছি।
ওনার জন্য একটা রিডিং রুম রেডি করে ওনার যাবতীয় বইপত্রসহ সবকিছু গুছিয়ে দিয়েছি, স্যার এইমাত্র ঘরে এসে ঢুকেছেন। আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি এখন চলে আসছি।
যে কর্মকর্তা এই কাজটি করেছেন তিনিও এখন একজন সাবেক আমলা। মিশন সাকসেসফুল হবার পর তিনি বলেছেন, এই জীবনে এই প্রথম সরকারের প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করে, একটু ক্ষমতা দেখালাম’।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছিলাম, স্যারের ছেলে জানবে তোমরা কারা, কোন কিছু বলতেও পারবেনা আর সহ্য করতেও পারবে না। আর ছেলে যদি কিছু বলে, তাহলে শক্তি প্রয়োগ করবে।
তাকে কোন একটা ঘরে নিয়ে জানালা দরজা বন্ধ করে দিয়ে, জবাব দিয়ে দিতে বলবা যে, এটা তোর বাবার আশ্রয় ।” এরপর নির্বাক মুখোমুখি কিছুক্ষণ পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে থাকা।
সাবেক মন্ত্রী আস্তে আস্তে বললেন, জীবনের এই পর্যায়ে নিজের মাথা গোঁজার স্বপ্নের শেষ আশ্রয়ের দখল নিতে হলো। আমাদের এই সাবেক মন্ত্রীর নাম আবুল মাল আব্দুল মুহিত। যিনি তাঁকে সহায়তা দিয়েছেন তিনি নজিবুর রহমান।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ( লেখাটি লেখকের ফেইসবুক থেকে নেওয়া)

http://sylhetwatch24.net/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d/

Thursday, 28 May 2020

এই করোনা পরিস্থিতিতে আপনি ঘর থেকে বের হলে যা করবেন।

ডা. মহসীন আহমদ :; বর্তমানে সারা বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। আশেপাশে কে কী করছে; তা দেখার দরকার নেই, নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে, এটাই এখন একমাত্র করণীয়।

ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। অন্তত বছরখানেক এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অতি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যরা কি ব্যবস্থা নিবেন; তা নিয়ে এই লেখা।

• ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পাতলা সুতির পুরাতন ফুল হাতার জামা /পাঞ্জাবি ও একটু লুজ ফিটিং প্যান্ট / পাজামা পরে বের হবেন। জিন্স অথবা টাইট ফিটিং ড্রেস না পরাই ভালো। জুতা ও মোজা অবশ্যই পরবেন। অবশ্যই সার্বক্ষণিক মাস্ক পরে থাকতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়া বাকিরা পিপিই পরবেন না।

গ্লাভস ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সারাদিন একটা গ্লাভস পরে থাকলে লাভের চেয়ে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি। বরং সঙ্গে হেক্সিসল অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।

• পাতলা, লুজ ফিটিং পুরাতন সুতির কাপড় পরার কারণ হল, এটি আরামদায়ক এবং লম্বা সময় পরিধান করে থাকলেও ঘামের সমস্যা কম হবে। বাসায় ফিরে গোসল করেই পরিধেয় কাপড় ধুয়ে ফেলা সহজ হবে এবং তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

নিজের কাজ নিজেই করার অভ্যাস করতে হবে। বাসার বাইরের গৃহকর্মীদের করোনাকালে বাসায় ঢুকতে দেবেন না। এটা আপনার ও পরিবারের জন্য আত্মহত্যার শামিল।

• তিন স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা উচিত সবার। কাপড়ের মাস্ক কোনো ভাইরাস সুরক্ষা দিতে পারে না। যেখান সার্জিক্যাল মাস্ক ৮০ ভাগ সুরক্ষা দেয়।

সেক্ষেত্রে আমরা ৫টি মাস্ক বাসায় রাখতে পারি। যত্ন করে ব্যবহার আর সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব। প্রথম মাস্কটি ব্যবহারের পরে না ধুয়ে একটি পলিথিনে ভরে বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে দিবেন। এর পর দ্বিতীয়টি ব্যবহার করবেন, এভাবে প্রথমটি আবার ষষ্ঠ দিনে ব্যবহার করবেন।

কিন্তু কোনো কারণে ছিঁড়ে গেলে একটি বদ্ধ ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। অনেকে কথা বলার সময় মাস্ক নামিয়ে কথা বলেন। সেটা কোনোভাবেই করা যাবে না।

মাস্কের সামনের অংশে হাত দেয়া যাবে না, এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে নিয়মিত বের হতে হয়, তারা বাসায়ও মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে বাসার অন্য সদস্যরা নিরাপদ থাকবে।

• বাংলাদেশে সার্জিক্যাল মাস্ক অপ্রতুল বিধায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এর সরবরাহ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যরা ঘরে তৈরি সুতির সাধারণ মাস্ক পরবেন।

মাস্ক একটু বড় আকারের বানাবেন যাতে চোখের নীচ থেকে থুতনি পর্যম্ত আবৃত থাকে। মাস্কের সামনের অংশে কোনভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। মাস্ক প্রতিদিন বাসায় ফিরে ধুয়ে ফেলবেন।

যাদের জরুরি প্রয়োজনে নিয়মিত বের হতে হয়, তারা বাসায়ও মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে বাসার অন্য সদস্যরা নিরাপদ থাকবে।

• চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কারো পিপিই পড়ার প্রয়োজন নেই। পিপিই পড়ে শুধুমাত্র একটা রুমে অথবা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। পিপিই পড়ে খাওয়া দাওয়া এমন কি টয়লেট করা যাবে না। চিকিৎসকরাও নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে পিপিই পড়ে বের হবেন না।

• পিপিই নির্ধারিত এলাকায় খুলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে এলাকা ত্যাগ করবেন। রাস্তা ঘাটে পিপিই পরা অপরাধ, এতে আপনি প্রকারান্তরে অন্যের ক্ষতি করছেন।

পুরো পিপিই একটা ইনফেক্টেড বোমার মতো। এটা পরে হয়তো আপনি সুরক্ষিত, কিন্তু আপনার আসেপাশের সবাই অরক্ষিত, এটা মনে রাখবেন। বাসায় এটা পরে এলে অন্যরা সহজেই ইনফেক্টেড হয়ে যাবে। এটা খোলার সময়ে আপনি নিজেও ইনফেক্টেড হতে পারেন।

পিপিই ব্যবহারের প্রশিক্ষণের অভাবই চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের এক সঙ্গে ইনফেক্টেড হওয়ার প্রধান কারণ।

• গ্লাভস ব্যবহার করে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি ঘন্টায় ২৫ বার মুখের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়। গ্লাভস পরে আপনি মুখের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিলে ইনফেক্টেড হয়ে যাবেন।

সেক্ষেত্রে বার বার গ্লাভস পরিবর্তন করতে হবে। গ্লাভস না পরলে আপনি বার বার হাত পরিষ্কার করবেন, সেটাই শ্রেয়। দরজা, লিফটের বাটন, বৈদ্যুতিক সুইচ ধরার সময় হাতের কনুই ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।

• হাত ধোয়া কিংবা পরিষ্কারের বিকল্প নেই। সারাদিন বার বার সাবান দিয়ে কমপক্ষে ৪০ সেকেন্ড হাত ধুইতে হবে।

পানি ও সাবান না থাকলে হেক্সিসল অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পুলিশ, আর্মি, সাংবাদিকসহ যারা রাস্তাঘাটে পাবলিক সার্ভিসের কাজ করেন, তাদেরকে পিপিই কিংবা গ্লাভস না দিয়ে পর্যাপ্ত মাস্ক, হেক্সিসল / হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা প্রয়োজন।

তারা প্রতি ঘণ্টায় নিয়মিত চারবার হাত পরিষ্কার করবে। ইনফেক্টেড জায়গা স্পর্শের সন্দেহ হলেই সাথে সাথে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

• সবাইকে জুতা ও মোজা পরার অভ্যাস করতে হবে। ঘরে ঢুকার আগে জুতার তলা অবশ্যই ব্লিচিং পাউডারের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মোজা প্রতিদিন ধুইতে হবে।

• বাইরে বের হলে ৬ ফুট শরীরিক দূরত্ব বজায় রাখা উত্তম, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তাই গণপরিবহন পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। বাংলাদেশে শহরগুলো খুব ছোট, খুব সহজেই হেঁটে চলাচল করা সম্ভব। তাই, হাঁটার অভ্যাস করুন, শরীর আর মন দুটোই ভালো থাকবে। প্রয়োজনে সাইকেল বা নিজস্ব বাহন ব্যবহার করবেন।

আপনার প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার থেকেও আপনি ইনফেক্টেড হতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজে ড্রাইভ করুন অথবা ড্রাইভারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। রাস্তাঘাটে, অফিসে, বাজারে মানুষ আপনার ঘাড়ে এসে পড়তে পারে, আপনি নিজ দায়িত্বে ৩-৬ ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন।

• বাজার খোলা জায়গায় করা ভালো। কারণ, বদ্ধ সুপারশপে এসি থেকে ইনফেক্টেড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলবেন। সেলুনে চুল কাটাবেন না, বাসায় নিজে অথবা অন্যের সাহায্যে চুল কাটাবেন।

Saturday, 16 May 2020

ব্রাজিলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত, একমাসে পদত্যাগ করেন দুই সাস্থ্যমন্ত্রী।

ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমণ পাওয়া গেছে ১৫ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে, যা দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। তাতে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ২২৩ জন।
চব্বিশ ঘণ্টায় ব্রাজিলে কভিড-১৯-এ মৃত্যু হয়েছে আরও ৮২৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮১৭ জনে। বৈশ্বিক আক্রান্ত-মৃত্যু উভয় তালিকাতেই ব্রাজিলের অবস্থান এখন ষষ্ঠ।
এদিকে আল-জাজিরা জানিয়েছে, দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনাভাইরাসের আক্রান্তের দিনই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইশ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উঠতির দিকে থাকায় সরকারের লকডাউন শিথিলের বিরুদ্ধে মত দেন টেইশ। সেই সঙ্গে করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগেও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। এসবের জন্য টেইশকে ‘ভিতু’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বলসোনারো।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রাজিল সরকারের একজন কর্মকর্তা। এই নিয়ে গত এক মাসে দেশটির দুজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্ব ছাড়লেন। গত ১৬ এপ্রিলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইস হেনরিক মেনদেতা পদত্যাগ করলে দায়িত্বে নেন টেইশ।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া বলসোনারোকে ধন্যবাদ দেন টেইশ। জানান, যে কয়দিন দায়িত্ব পালন করেছেন তাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়েছেন। তবে কেন পদত্যাগ করছেন এ ব্যাপারে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
বিশ্বে করোনার অন্যতম হটস্পট এখন ব্রাজিল। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী লকডাউন বিরোধী। এর কারণে গত এপ্রিলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তখনকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক মেন্ডেটা। এবার একই কারণে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইসও পদত্যাগ করলেন।

   

ভারতে আর একজন মুসলিম নির্যাতিত হলে ভারতীয়দের আমিরাতে ঢুকতে দেয়া হবেনা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজ’পরিবারের সঙ্গে যুক্ত প্রিন্সেস হেন্দ আল কাসেমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম’লাইনে বিদ্বেষপূর্ণ ও ইসলা’মোফোবিক মন্তব্যের বিরু’দ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যাচ্ছেন।

এসব মন্ত’ব্যের বেশিরভাগ আসছে আরব আমিরাতে কর্মরত ভার’তের হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছ থেকে। -সাউথ এশিয়ান মনিটর, সিএনএন, নিউজ এইট্টিন

এতে উদ্বিগ্ন দেশটিতে নিযুক্ত ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর। ভারতীয় নাগরিক’দের সম্বন্ধে বলেন যে, বৈষম্য আমাদের নৈতিক বুনন ও আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং আমিরাতে বাস করা ভারতী’য়দের এটা মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে কিছু ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে একই স’ঙ্গে বেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই রাজকন্যা।

তিনি বলেন, আমিরাত ও ভার’তের সম্পর্ক শত বছরের পুরনো। কিন্তু এই প্রবণতা নতুন। ভারতী’য়দের কাছ থেকে আগে কখনো এমন বিদ্বেষমূলক আচরণ আমরা পাইনি।

প্রিন্সে’স হেন্দ যদিও স্বীকার করেন যে, কিছু ব্যক্তির এ ধরনের মন্তব্য আরব আমি’রাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ের প্রতিনিধিত্ব করে না কিন্তু তিনি বেশ কায়দা করে ভারতী’য়দের জন্য একটি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন এভাবে: শুধু মুসলিম ও খ্রিস্টান আমরা কাদে’রকে আমিরাতে জায়গা দেবো সেটা বেছে নিতে ভারত কি আমাদেরকে বাধ্য করছে? আমরা এই প্রশ্ন তুলিনি।

আমাদের কাছে তারা সবাই ভারতীয়। তারা ভারতীয় মুসল’মান বলে আমরা শুধু তাদের সঙ্গে কাজ করবো ,এভাবে কাউকে আমরা আলাদা’ভাবে ভাগ করিনি। দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী আরব আমিরাতে প্রায় ৩৫ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যারা দেশটির জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ। ভারতী’য়রাই সেখানে সবচেয়ে বড় বিদেশী জাতিগোষ্ঠী।

প্রিন্সেস হেন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমি যদি প্রকা’শ্যে বলি যে ভারতীয় হিন্দুদের আমিরাতে মেনে নেয়া হবে না, তাহলে ভারতীয়দের কেমন লাগবে? প্রতি’বছর আমিরাত থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমি’ট্যান্স ভারতে যায় – গত বছরও গিয়েছে। ভাবুন, সেটা বন্ধ হয়ে গেলে কেমন হবে? ভারতীয়রা এখানে কঠোর পরি’শ্রম করে। আমি মনে করিনা তারা ওইসব লোককে পছ’ন্দ করবে যারা তাদের ভুল প্রতি’নিধিত্ব করছে। তিনি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন উল্লেখ করে প্রিন্সেস বলেন যে এ কারণে তার উদ্বে’গ নিয়ে ভারত সরকা’রের সঙ্গে কথা বলেন’নি। তবে তার সঙ্গে সাবেক ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত নবদীপ সুরির যোগা’যোগ রয়েছে। তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে প্রিন্সেসের বক্তব্য ‘জোরালো ও স্পষ্ট’।

প্রিন্সেস বলেন, তার দেশে বিদ্বে’ষমূলক বক্তব্য অবৈধ। তিনি ঘৃণা থামা’তে তার কণ্ঠ সরব করে যাবেন। কারণ তিনি ভার’তের বন্ধু।


১০ টাকা দামের চালের তালিকায় আওয়ামিলীগ নেতার স্ত্রী মেয়ে সহ ১৩ জন।


প্রথম সময় ডেস্ক: ভিক্ষুক তালিকায়  স্ত্রী-মেয়েসহ ১৩ স্বজনের নাম ডিলারশীপ হারালেন ব্রাম্মনবাড়ীয়ার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা

শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওই নেতার নাম মো. শাহ আলম। বুধবার বিকেলে তার ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জেলা ওএমএস কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানিয়েছেন।

আইনে সুযোগ না থাকায় এ ঘটনায় ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করার পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। মো. শাহ আলম ব্রাহ্মণাবড়িয়া পৌরশহরের কাউতলী এলাকার ওএমএস-এর ডিলার ছিলেন।সূত্র: বিডিনিউজ২৪

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ৮৪ ধনী ব্যক্তি ও দ্বৈত নাম, এক পরিবারের একাধিক নাম এবং ঠিকানা খুঁজে না পাওয়া এমন আরও ৭ জনসহ মোট ৯১ জনের নাম ওএমএস বরাদ্দের কার্ডের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Friday, 15 May 2020

ঘুমিয়ে আছেন প্রশাসন ও ব্যারিস্টার সুমন

 হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের সরকারি নগদ প্রণোদনার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তালিকায় একই মোবাইল নম্বরের বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির নাম ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মাঝে একটি মোবাইল নম্বরে ৯৯ জন, একটিতে ৯৭ জন, একটিতে ৬৫ জন ও একটিতে ৪৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।

নম্বরগুলো চেয়ারম্যানের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। আবার একটি ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু পরিবার বসবাস না করলেও সেই ওয়ার্ডের তালিকায় তিনজন হিন্দু ব্যক্তির নামও রয়েছে। রয়েছে অনেক বিত্তশালী ব্যক্তির নাম। আবার স্বামী-স্ত্রীর নামও এসেছে তালিকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুড়িয়াউক ইউনিয়নের নগদ টাকা পাওয়ার তালিকায় ১১৭৬ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর মাঝে ৩০/৩৫টি নম্বর একাধিক নামের সাথে প্রদান করা হয়েছে। ০১৯৪৪৬০৫১৯৩ নম্বরে দেওয়া হয়েছে ৯৯ জনের নাম। চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আক্তার মিয়ার ০১৭৪৪১৪৯২৩৪ ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭ জনের নামে। চেয়ারম্যানের চাচা শাকিল হক এর ০১৭৮৬৩৭৪৩৯১ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬৫ জনের নামে। চেয়ারম্যানের গোত্রের নবীর মিয়ার ০১৭৬৬৩৮০২৮৪ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৪৫ জনের নামে। ১০/১২ জন করে নাম ব্যবহার করা হয়েছে অন্তত ৩০টি নম্বরে।

এদিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু লোকের বসবাস না থাকলেও তালিকার ৯৫৮, ৯৬৫ ও ৯৭৩ সিরিয়ালের তিনটি নাম হিন্দু ব্যক্তি। আবার ওই ইউনিয়নের বিত্তশালী আক্কল আলীর ছেলে সাবউদ্দিন এর নাম এসেছে তালিকায়। আরো অনেক বিত্তশালীর নাম পাওয়া গেছে তালিকায়।

তালিকার ১৬১ ও ১৬৩ নম্বর লোক দুজন স্বামী-স্ত্রী। তালিকার ৯৫১, ৮৫৫, ৮৫৩, ৮৫২, ৮৫১ ও ৭৮৪ নম্বর এর ছয়জন একই পরিবারের।মুড়িয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর নির্দেশে তিনি ১১৭৬ জনের মধ্যে আমরা ৭৩০ জনের নাম মেইল করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তার সিএ, স্টাফ দুর্লভ ও পিআইও অফিসের মঈন উদ্দিন মিলে অবশিষ্ট তালিকা করেন। পরে ইউএনও এবং তার সিএর করোনা হলে তারা আইসোলেশনে যান। ফলে তালিকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

আর তালিকাটি ছিল খসড়া। আমার কোনো স্বাক্ষর নেই। কোনো টাকাও দেওয়া হয়নি। মূলত আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে খসড়া তালিকা নিয়ে অপপ্রচার করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সরকারি নম্বরটি কেউ রিসিভ করেননি। লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ জানান, শুধু মুড়িয়াউক ইউনিয়নই নয় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই তালিকায় এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

তালিকা প্রণয়নে আমাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যান মেম্বাররা নিজেদের লোকের নাম ও এক নম্বরে অনেক নাম ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক প্রেরণ করে যাচাই করলেও অনেক অনিয়ম রয়েছে।

আবার অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, মেম্বার থাকলেও দলের দরিদ্র লোকজনের নাম না দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর ও শ্রমজীবীদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবার আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই অর্থকে সঙ্কটে পড়া মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ 

সরকারের ঈদ সহায়তায় ওয়ার্ড সদস্যের শ্বশুর বাড়ির একাদিক নাম ও মৃত মানুষের নাম।

জকিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ সহায়তা তালিকায় ব্যয়াপক অনিয়ম,দূর্নিতি,স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতি অভিযোগ উঠেছে ও মৃত মানুষের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।

এই তালিকায় জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদ্দিনের সহযোগিতায় যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তা ঘেঁষে দেখা যায় ২জন মৃত মানুষের নামসহ একই পরিবারের ২ জনসহ ও নিজের ভোটার দেখে দেখে তালিকা প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে

এরমধ্যে ৩৫টি নামে জালিয়াতি নাম ঠিকানায় ভূল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে
ক্রমিকে থাকা,২৫৬,২৫৭,২৬৩,২৬৪,২৬৫,২৮১,২৮৮,২৮৯,২৯০,২৯১,২৯৮,৩০৩,৩০২,৩০৫ এসব নামের ঠিকানার ভূল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

৩১০,২৭৯ ক্রমিকের মানুষ মৃত বলে জানা গেছে,৩০৬,৩০৭,৩২২,৩২৪,২৯৩,২৯৪ একই পরিবারের বলে জানা গেছে,
২৬৮,২৭২,৩০৩,৩২৬,৩২৭,৩১৩,৩১৫,৩২৫,৩৪১,৩৪৩ এরা অন্যান্য সুবিধাভোগী ও উনার নিজস্ব লোক বলে জানা যায়
৩২৮,৩২০,৩২৩,৩৩১,৩০৩ ঠিকানা সঠিক নয় এরমধ্যে একজন অন্যান্য সুবিধা পান।
২৮৬ নিজের নতুন শশুর আব্বা বলে জানা গেছে।
ভোটার সংখ্যা অনুপাতে ও দরিদ্র দিনমজুর বেশি দরগাবাহার পুর থাকলেও তিনি নাম জালিয়াতি করে দরগাবাহারপুরের মানুষের নাম দিয়ে ঠিকানায় জিয়াপুর লিখে বিশেষ সুবিদা গ্রহণের চেষ্টায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্নভাবে ৭ জন মানুষের নাম রিকুয়েষ্টে এসেছে বাকি সবগুলো নাম উনার ইচ্ছে মত দেওয়ায় এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে
একটি নিরেপক্ষ তদন্ত করে সঠিক তালিকা তৈরির দাবি করেন ভুক্তভোগী দিনদিনমজুর মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুদান কে প্রশ্নবিদ্ধ করা জন্য মেম্বারের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

সুত্রঃঃ এস টিভি

সিলেটের নতুন প্রজন্ম মেয়ের বাড়ি ইফতারি প্রথা বন্ধ করতে চায়।

ইফতারি প্রথা শুধু সিলেট না দেশের আরো কিছু জেলায় ইফতার ছাড়া আরো কিছু কুসংস্কার রয়েছে। গ্রীষ্ম কালে মেয়ের জামাইর বাড়ি ফল আম কাঠাল দিতে হয় সাথে হরেক রকম ফল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আম কাঠাল আর ইফতার প্রথা একি সিজনে আসে তাই একি সময় দিতে হয়, কেউ আগে পরে সামর্থ্য অনুযায়ী দেয়। অনেক মেয়ের বাবা আছে মেয়ের বাড়ি ইফতারি  দিয়ে মেয়ের ইজ্জত বাচাতে বড় লোকের কাছে গিয়ে সাহায্য চেয়ে, আবার কেউ ভিক্ষে করে, কেউ দু তিন মাস আগে থেকে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে। অনেক দিন মজুর বাবা-মা এসব মৌসুমী প্রথা পালন করতে সর্বস্বহারা হচ্ছে।                 

সিলেটে ইফতার প্রথা পুরাতন এক ঐতিহ্য। বাবার বাড়িতে থেকে রমজানে মেয়ের বাড়িতে ইফতার পাঠানো হয় । সে ইফতার শুধু মেয়ের বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। ছেলের শ্বশুড়বাড়ি থেকে যেদিন ইফতার আসবে সেদিন বন্ধুবান্ধ আর আত্মীস্বজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সেই সাথে একটি নিরব প্রতিযোগিতা চলে- কার শ্বশুরবাড়ি থেকে কত বেশী আইটেমের ইফতার এলো, কে তার শ্বশুরবাড়ির ইফতার কয়শত মানুষকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াল। যার শ্বশুরবাড়ী থেকে যত বেশী ইফতার আসে তার তত সুনাম। তেমনি যে মেয়ের বাবার সে সক্ষমতা কম, তিনি ইফতারি দিয়ে খুশি করতে না পারলে- অনেক ক্ষেত্রে কথা শুনতে হয়। এই বছর করোনা সংকটের কারণে প্রথম দিকে এই ইফতার পাঠানো থেকে নিস্তার মিললেও। দোকানপাঠ খোলায় অনেকেই ইফতারের পাঠিয়েছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং করোনা সংক্রমণের ভয় থাকায় তা খুবই নগণ্য। করোনা এক্ষেত্রে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

এবারের ঈদে কোলাকোলি না করে দুরত্ব বজায় রাখুন


করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত কাছের মসজিদে আদায়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঈদুল ফিতরের জামাত নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঈদুল ফিতরের জামাতকে সামনে রেখে মোট ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের দিন মুসলমানরা মসজিদ কিংবা ঈদগাহে দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করে থাকেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবজনিত কারণে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এ সময় দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ওলেমাগণও পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি পেশ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে জোহরের ওয়াক্ত থেকে কিছু নির্দেশনা পালনের শর্তে মসজিদসমূহ সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাজের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে উন্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামায়াত পরিহারের নির্দেশনা প্রদান করে বর্তমানে বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুযায়ী ঈদের জামাত আয়োজন সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করেছে।

এর ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশাবলি অনুসরণ করে বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

যেসব শর্তে হবে ঈদের জামাত

• ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল-ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

• ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

• করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

• মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

• প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

• ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

• ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

• এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

• শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

• সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

• করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহারের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

• করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

• খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

এদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের জামাতের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে, অর্থাৎ ঈদের জামাতের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা-সাপেক্ষে ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের নামাজের ক্ষেত্রেও বর্তমানে বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

চাঁদ দেখা-সাপেক্ষ আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের দিন মসজিদ কিংবা ঈদগাহে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা।

করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও সাত দফায় ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই, বরং দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তবে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান, শপিংমল, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।

Monday, 23 March 2020

সিলেটে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে স্প্রে করছে পুলিশ

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর সংক্রমন ঠেকাতে সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় যানবাহন ও পথচারীদের মধ্যে জীবানুনাশক ওষুধ স্প্রে মেশিন দিয়ে ছিটানো হয়। এসময় জেলা পুলিশের পক্ষ হতে পথচারীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস হতে সুস্থ্য থাকার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন নিদের্শনা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে পুলিশ

সোমবার পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। জেলার প্রত্যেকটি থানা, তদন্ত কেন্দ্র, ফাঁড়িতে কর্মরত অফিসার-ফোর্সের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস, পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ  বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা, যানবাহন ও থানায় আগত সেবা প্রত্যাশিদের ভাইরাস সংক্রমণ হতে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিশেষ ধরণের জীবানু নাশক ওষুধসহ স্প্রে মেশিন ও সর্বসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সোমবার দুপুর ২ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয় হতে জেলার ১১ টি থানা ০২ টি তদন্ত কেন্দ্র ০৩ টি ইমিগ্রেশণ চেকপোস্ট ও ০২ টি অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির প্রতিনিধির নিকট নিরাপত্তা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিকাল ৩ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বন্দরবাজার-কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় যানবাহন ও পথচারীদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক জীবানু নাশক ওষুধ স্প্রে মেশিন দ্বারা ছিটানো হয়।

এসব কার্যক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-দক্ষিণ) ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোঃ মাহবুবুল আলম, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ লুৎফর রহমান, জেলা বিশেষ শাখার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান খান প্রমুখ।

সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলার প্রত্যেকটি থানা এলাকায় মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন পালনের জন্য পুলিশের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। থানা ফাঁড়িতে কর্মরত অফিসার-ফোর্সের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য জীবানু নাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় চলাচলরত পথচারী যানবাহনের মধ্যে বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানো হয়। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Friday, 20 March 2020

ইতালিতে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ ডাক্তার সহ ৪২৭ জনের মৃত্যু।

জালাল হাওলাদার, ইতালিঃ  করোনাভাইরাসের থাবায় ইতালিতে আজ  বৃহস্পতিবার ৫ চিকিৎসক মৃত্যু হয়েছে ৪২৭ জনের। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৪০৫, এই সংখ্যা চীনের (৩২৪৫) চেয়েও বেশী । আজ আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪শ ৮০ জন,  আক্রান্তের সংখ্যা (পজিটিভ) বেড়ে ৩৩ হাজার ১শ ৯০  জন। আজ  সুস্থ হয়েছেন ৪১৫  জন , এ নিয়ে ৪৪৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১০৩৫( মৃত্যু , আক্রান্ত ও সস্থ) । আইসিইউতে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ২৪৯৮ ।

আজ ৫ চিকিৎসকসহ এই ইতালিতে ১৩ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে শুধু লোম্বারদিয়া অঞ্চলেই ।

তবে আজ ইতালিতে  আক্রান্তের সংখ্যা  বেড়েছে  তবে  মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।বুধবার  একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৭৫  জন, আক্রান্ত ২ হাজার ৬শ ৪৮ জন।

ইতালি জুড়ে ৭ দিনে ৪৬ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কারন ব্যতীত বাসার বাহিরে চলাচলের জন্য ।

আক্রান্তদের মধ্যে ১২০৯০ জনকে নিজ নিজ বাসায় রেখে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।

ইতালির ২০ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায়ই মোট  আক্রান্ত (১৯৮৮৪) ও মৃত্যুর (২১৬৮) সংখ্যা সর্বাধিক । আজ এ অঞ্চলে মারা গেছে ২০৯  জন।

সূত্রঃ লা রিপুবলিকা।

বিশ্বে  করোনা ভাইরাস – সর্বশেষ তথ্য (বৃহস্পতিবার http://www.worldometers.info/coronavirus/ )

মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৯৯১   জন ।  আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে ২৪২২০৫  জন ।সুস্থ হয়েছেন ৮৬৭১৪ জন  ।

এদিকে আজ চিনে মৃত্যু হয়েছে ৮  জনের ,আক্রান্ত ৩৪  জন এই নিয়ে চিনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩২৪৫ ও আক্রান্ত ৮০৯২৮ জন , সুস্থ হয়েছেন ৭০৪২০জন ।

ইরানে আজ মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের ,আক্রান্ত  ১০৮৪৬জন এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে১২৮৪  ও আক্রান্ত ১৮৪০৭ জন ,সুস্থ হয়েছেন ৫৯৭৯ জন।

স্পেনে আজ মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জন, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৩১  জনের ,আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০৭৭  জন, সুস্থ হয়েছেন ১১০৭ জন।

ফ্রান্সে আজ মৃত্যু ১০৮ , মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৭২জনের ,আক্রান্ত ১০৯৯৫ জন , সুস্থ হয়েছেন ৬০২  জন।

যুক্তরাজ্যে আজ মৃত্যু ৪০জন, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের ,আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৬৭  জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৫ জন।

আমেরিকায় আজ ২৬  জনের মৃত্যু , এই নিয়ে মৃত্যু ১৭৬ জন ,আক্রান্ত ১১৭৮০   জন, সুস্থ হয়েছেন ১০৮জন।

জার্মানিতে আজ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এই নিয়ে ৪৪  মৃত্যু জনের ,আক্রান্ত  ১৪৩৬৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ১১৩ জন।

সুইজারল্যান্ডে আজ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এই নিয়ে ৪৩মৃত্যু জনের ,আক্রান্ত  ৪১৩১ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।

নেদারল্যান্ডে আজ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এই নিয়ে ৭৬ মৃত্যু জনের ,আক্রান্ত ২৪৬০ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ জন।

জাপানে আজ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে, এই নিয়ে  মৃত্যু ৩২  জনের ,আক্রান্ত  ৯২৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৪৪ জন।

দক্ষিন কোরিয়ায় আজ মৃত্যু ৭  ,আক্রান্ত ১৫২ জন, এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা  ৯১ ও আক্রান্ত ৮৫৬৫  জন ,সুস্থ হয়েছেন ১৯৪৭ জন।

Wednesday, 18 March 2020

লন্ডনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হওয়া মাহমুদুর রহমান এর দাফন যেভাবে হবে।

 লন্ডনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশী মৃত মাহমুদুর রহমানের দাফন আগামী ১৯শে মার্চ বৃহস্পতিবার লন্ডনের হেনল্ট পিচ অফ গার্ডেনে অনুষ্টিত হবে।মৌলভীবাজারের প্রতিষ্ঠিত ট্রেভেলস ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ই মার্চ সেন্ট্রাল লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

মরহুম মাহমুদুর রহমানের ছেলে মুহিবুর রহমান জানান- ব্রিকলেন ফোনারেল সার্ভিসের তত্বাবধানে আগামী ১৯শে মার্চ বৃহস্পতিবার হেনল্ট পিচ অফ গার্ডেনে তার বাবার দাফন অনুষ্ঠিত হবে। এবিষয়ে ব্রিকলেন ফোনারেল সার্ভিসের ডাইরেক্টার শওকত সিদ্দিক বলেছেন, তারা শুধু আইনি কাগজ পত্র ব্যবস্থা করে পিচ অফ গার্ডেন কতৃপক্ষকে হস্তান্তর করবেন, বাকী সবকাজ পিছ অফ অফ গার্ডেনের লোকেরা করবেন।

তিনি বলেন বিশেষ নিরাপত্তায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদেহ সেখানেই গোসল ও দাফন করা হবে। এ কাজ করার জন্য পিচ অফ গার্ডেন চারজন লোক নিয়োগ করেছে। বিশেষ কাপড় ও হেলমেট পরিধান করে লাশের গোসল করাবে এবং লাশ কবরে রাখবে।এ সময় কাউকে লাশ দেখানো হবে না।

গোসলের পর লাশের ফটো তুলে পরিবারের সদস্যদের দেখানো হবে এবং ফটো দেখানোর পর ডিলিট করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সেখানে দুটি গাড়ীতে করে মোট ১৪ জন লোক যেতে পারবেন এর বেশী কোন লোক জানাযায় যেতে পারবেন না এবং জানাযার সময় একজন থেকে আরেক জনের দুরত্ব ১মিটার করে দাঁড়াতে হবে। লাশ কবরে রাখার সময় কবর থেকে দুই মিটার দুরত্বে দাঁড়াতে পারবেন।ফোনারেল সার্ভিসের জন্য মোট ৪৩০০ পাউন্ড ব্যায় হবে।

উল্লেখ্য, মরহুম মাহমুদুর রহমান গতবছর তার নাতনীর বিয়েতে যোগদানের জন্য সস্ত্রীক লন্ডনে বেড়াতে আসেন। লন্ডনে ব্রেন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ইউসিএল হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর পর সেখান থেকে তাকে গ্রেট অরমন্ড হসপিটালে স্থানান্তর করা হয় এবং ধীরে ধীরে তিনি উন্নতির দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হসপিটালে থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন এবং ১৬ই মার্চ একই হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

মরহুমের আত্বার শান্তির জন্য তার ছেলে মুহিবুর রহমান সকলের কাছে দোয়া কামনা করছেন।

সূত্র: ৫২বাংলাটিভি ডটকম

Thursday, 12 March 2020

আরব আমিরাতের শারজায় বাংলাদেশী স্বর্ন ব্যবসায়ীকে মারধর করে চার কেজি স্বর্ন চুরি

আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএইঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন স্বর্ণের ওয়ার্কশপের মালিককে গুরুতর আহত করে ৪ কেজি স্বর্ণের বিস্কুট নিয়ে পালিয়েছে ৪ ভারতীয় নাগরিক।

জানা যায় গত শুক্রবার ৫৭ বছর বয়সী স্বর্ণকার বাংলাদেশিকে মারধর করে স্বর্ণের ওয়ার্কশপের চার কর্মচারী। এসময় তারা লকার থেকে নিজ নিজ পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মালিকের ছেলে শিশির কুমার দাস জানান, “গত শুক্রবার দাদির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা দেশে যাওয়ার কথা ছিল। বাবাকে ওয়ার্কশপ থেকে আনতে গিয়ে দেখি বাবা দোকানে নেই। পাশে কর্মচারীদের বাসায় গিয়েও তাদের পাওয়া যায় নি। বাসায় এসেও না পেয়ে রাতে সন্দেহজনক স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ হিসেবে মামলা করি। পুলিশ এসে খোজাখুজির এক পর্যায়ে বাবাকে আহত অবস্থায় ওয়ার্কশপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে।”

প্রশাসনের ভাষ্যমতে ওয়ার্কশপের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনজন কর্মচারী ভেতরে ঢুকে মালিককে বেধড়ক মারধর করে এবং একজন বাহিরে পাহারা দিচ্ছে। চার ভারতীয় কর্মচারী স্বর্ণ ছিনতাইয়ের এক ঘন্টার মধ্যেই দুবাই ত্যাগ করে। এটা পূর্বপরিকল্পিত চুরি ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে এবং স্বর্ণের বিস্কুট উদ্ধার করা হবে।

জকিগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নিখোঁজ

জকিগঞ্জের রতনগঞ্জ বাজারস্থ জিএমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পলি বেগম ২ দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা মানিকপুর ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের রিনা বেগম চৌধুরী জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

তিনি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বাহির হয়ে আর ফিরে আসেনি। মা রিনা আক্তার বলেন, শত্রুতা করে কেউ তাকে অপহরণ করতে করতে পারে। তিনি তার মেয়েকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Monday, 9 March 2020

জকিগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপির অফিসে দুজন কর্মকর্তা মাসে তিন চারদি ডিউটি করে পুরো মাসের বেতন ভাতা ভোগ করেন।

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ :: জকিগঞ্জে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বির্তকিত উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিধান চক্রবর্তী ও প্রশিক্ষক আবু তাহের মাসে চার-পাঁচ দিন অফিস করেন। ওই দুই কর্মকর্তা মাসের বাকি দিনগুলো অনুপস্থিত থাকেন। প্রতি মাসে চার-পাঁচ দিন ব্যাতিত উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের গেইট থাকে তালাবদ্ধ। কর্মস্থলে তারা দু\'জন যোগদানের পর থেকেই এভাবেই করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

দু\'জনের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তে সত্যতাও মিলেছে এসব অভিযোগের। এরপরও কর্মস্থলে বহাল রয়েছেন এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
সরেজমিনে উপজেলা আনসার কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের একাধিক দিন খোঁজ নিয়ে গেইট তালাবদ্ধ থাকার সত্যতাও পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত নিয়মিত আনসার কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে গেইট তালাবদ্ধ দেখা যায়। গেইটের সামনে দু\' একজন আনসার সদস্যকে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেলে তাদের কাছে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিধান চক্রবর্তী ও প্রশিক্ষক আবু তাহের চৌধুরী কোথায় এমন কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, ‘দু\'জন স্যার অফিসে আসেন মাসে চার-পাঁচ দিন’।

উপস্থিত আনসার সদস্যদের কথা শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা আনসার কর্মকর্তা বিধান চক্রবর্তী ও প্রশিক্ষক আবু তাহেরকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল করা হলে ‘তারা অফিসে আছেন বলে জানান’ প্রতিবেদককে। কিন্তু ঐ প্রতিবেদক তখনো অফিসের সামনের গেইটে দাঁড়িয়ে আছেন বলে জানানো হলে দু\'জনই কথা না বলে কল কেটে মোবাইল বন্ধ করে দেন। গেইটের সামনে সুফিয়ান নামের একজন লোক দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত থাকতে দেখা যায়। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আনসার প্রশিক্ষণে যাওয়ার জন্য কয়েকদিন থেকে কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসেন। কিন্তু অফিস তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যান। সরকারি অফিসে নিয়মিত তালাবদ্ধ পেয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রতি মাসে চার-পাঁচদিন তারা অফিসে আসেন। তাও মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা বসেন। অফিসের মূল গেইট সবসময় তালাবদ্ধ থাকে। সাধারণ আনসার সদস্যরা কাগজপত্র নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে তাদের দেখা পাননা। একই কর্মস্থলে দুজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সাধারণ কয়েকজন আনসার সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেও দু\'জন কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করা হচ্ছে। প্রতি মাসে চার-পাঁচদিন অফিস করে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন তারা। আনসার সদস্যরা কোন প্রয়োজন মত তাদেরকে পান না। পূজাসহ বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালন করার পর আনসার সদস্যদেরকে নামে মাত্র ভাতা দিয়ে বাকি টাকা বিধান চক্রবর্তী ও আবু তাহের সাবাড় করে দেন। ‘ভাতার টাকা, প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাৎ ও প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে উৎকুচ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে’। দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম অভিযোগগুলোর সরেজমিন তদন্ত করলে এই দুই কর্মকর্তা ফেঁসে যাবেন বলে তাদের ধারণা।

আনসার দলনেতা রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, আনসার প্রশিক্ষণে কেউ যেতে চাইলে বিধান চক্রবর্তী বড় অঙ্কের চাঁদা দাবী করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানী করেন। ‘টাকা ছাড়া কথাই বলেন না দু\'জন কর্মকর্তা’।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আনসার কর্মকর্তা বিধান চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করে অফিসে অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হয়ে বলেন, সাংবাদিকদের আর কোন কাজ নাই নি। সাংবাদিকরা এসব প্রশ্ন করার কে? সাংবাদিকরা তার মোবাইল কল করতে নিষেধ দিয়ে তিনি লাইন কেটে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষক আবু তাহেরের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ নিয়ে সিলেট জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ড্যান্ট ফখরুল আলমের সাথে মঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিস না করার ঘটনাটি দুঃখজনক। অবশ্যই এই দু\'জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই দুই কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর আমরা সরেজমিন তদন্ত করে দুর্নীতিতে তারা জড়িত এর সত্যতা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আনসার ভিডিপির সিলেট বিভাগীয় পরিচালক সারোয়ার জাহান চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। সরকার প্রতিটি সরকারি অফিসকে যেখানে জনগন বান্ধব ও দুর্নীতি মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে আনসারের কোন কর্মকর্তা অফিসে অনুপস্থিত থেকে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হবে। আনসার ভিডিপি বাহিনীতে দুর্নীতিবাজ কারো স্থান হবেনা।

Friday, 6 March 2020

করোনা মানেই মৃত্যু নয়

'করোনা' মানেই 'মৃত্যু' নয়
বাঁচতে হলে জানতে হয়।

দেশি-বিদেশি মিডিয়া হাউজগুলোকে গত মাস দেড়েক ধরে খুব সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি। দেশীয় মিডিয়া হাউজের কথা অবশ্য ধর্তব্যের বাইরে, কারণ এদের নিউজগুলোর মাঝে কোন সৃজনশীলতা নেই। নেই নিজস্ব রিসার্চ, ডাটা। এরা যেখানে যা পায় তা-ই অনুবাদ করে ছেড়ে দেয়। তাই, গ্লোবাল সিরিয়াস ইস্যুতে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই বিদেশি মিডিয়া হাউজগুলোর ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন, এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু, 'করোনা' ইস্যুতে এই বিদেশি মিডিয়া, বিশেষ করে আমেরিকান মিডিয়াগুলোকে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে আমার কাছে। তারা সারাদিন 'করোনা' কে তাদের লিড নিউজ হিশেবে দেখাচ্ছে, খবরের পাতা থেকে জিনিসটা সরাচ্ছেই না একদম। বিশ্বের কোন প্রান্ত থেকে যদি করোনাতে কোন একটা মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়, সাথে সাথে সেটা তুলে দিচ্ছে লিড নিউজে৷

মিডিয়াগুলো করোনায় মৃতের সংখ্যা হাইলাইট করছে বলে আমি বিরোধিতা করছিনা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার লোক প্রতিদিন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরছে, এই নিউজটা লিড নিউজ হিশেবে দেখাচ্ছেনা আমেরিকান মিডিয়াগুলো, বিশেষ করে সি এন এন, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২% এর কাছাকাছি। এই ২% এর পাশে আমি ইচ্ছে করলে 'মাত্র' শব্দ যোগ করতে পারতাম, কিন্তু করিনি। আমার কাছে একটা প্রাণের মূল্যও অনেক। কিন্তু ব্যাপার হলো, এই যে হাজার হাজার মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরছে, এটা কেনো মানুষকে জানানো হচ্ছেনা?

আরেকটা ইন্টারেস্টিং ডাটা শেয়ার করি। করোনা নিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হইচই করছে আমেরিকান মিডিয়া হাউজগুলোই। মুহুর্তে মুহুর্মুহু সংবাদ ছাপাচ্ছে তারা করোনা নিয়ে৷ এতে করে সারা পৃথিবীতে একটা প্যানিক ছড়িয়ে পড়েছে ভালোভাবে যে, করোনা ধরলে আর বুঝি রক্ষে নেই৷ অথচ, করোনায় মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি আমাদের যদি সুস্থ হয়ে উঠার ডাটাও মিডিয়া জানাতো, তাহলে বোধকরি মানুষ এভাবে প্যানিকড হয়ে পড়তো না। মানুষ এখন ভাবছে, করোনা মানেই মৃত্যু।

কিন্তু, এই ফি বছর, খোদ আমেরিকাতেই নর্মাল ফ্লু'তে মারা গেছে বিশ হাজারের মতো মানুষ৷ একেবারে টাটকা খবর কিন্তু। নর্মাল ফ্লু মানে বুঝেছেন তো? এই যে জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদিতে। দেখুন, এই নর্মাল ফ্লুয়ের জন্য দুনিয়ায় হাজার রকমের প্রতিষেধক মজুদ আছে। আছে বাহারি রকমের চিকিৎসা৷ এতোকিছু থাকা সত্ত্বেও, আমেরিকার মতোন দেশে এই ফ্লুতেই মারা গেছে বিশ হাজারেরও অধিক মানুষ। পুরো বিশ্বের হিশেব যে কি, তা তো বলার বাইরে। অথচ, যে করোনাকে নিয়ে এতো হইচই মিডিয়া করছে, সেই করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজারের মতো। এই করোনার কিন্তু কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। কোন প্রতিষেধক না থেকেও এতে মারা গেছে ২ হাজার, আর হাজার রকমের প্রতিষেধক মজুদ থাকার পরেও নর্মাল ফ্লুতে আমেরিকায় নাই হয়ে গেছে বিশ হাজার। তাহলে, কোনটাকে বেশি ডেঞ্জারাস মনে হচ্ছে ডাটানুসারে? কিন্তু দেখুন, আমেরিকার মিডিয়া এটা নিয়ে কোন বাতচিত করছেনা। তারা সারাদিন ওই এক করোনা নিয়েই আছে। এখানে কি তাহলে কোন 'গেম' চলছে? আমি জানিনা।

'করোনা আর মৃত্যু' শব্দ দুটো শুনতে শুনতে আপনি নিশ্চয় ভয়ে কুঁকড়ে আছেন, না? তাহলে আপনাকে কয়েকটা আশার কথা শুনাই৷ হয়তো আপনার ভয়টা চলে যাবে। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।

- এখন পর্যন্ত করোনাতে কোন শিশুর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায়নি। শিশু মানে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ০-৯ বছরের কোন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা দুনিয়ার কোথাও ঘটেনি। তাই, আপনার বাচ্চার ব্যাপারে বেশি ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তবে, সতর্ক থাকতে হবে অবশ্যই।

- ১০-১৯ বছরের একজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত, তবে অনেকের মতে, সেটাও রহস্যজনক। আদৌ করোনায় কিনা, তা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত না।

- করোনা আক্রান্ত ৭০,০০০ মানুষের ওপরে একটা স্ট্যাডি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ৮১% মানুষের সর্দি-কাশি হচ্ছে করোনার ফলে, আবার সেরেও যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বাস রাখুন, আপনার-আমার যদি করোনা হয়েও থাকে, সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো তা আবার সেরেও যাবে, ইন শা আল্লাহ৷ আশা নিয়ে বাঁচুন, ভালো থাকবেন।

- ডাটা অনুসারে, করোনায় যারা মারা গিয়েছে, তাদের ৫০  ভাগের বয়স ৭০ বছরের উর্ধ্বে। আর ৩০% এর বয়স ৬০-৬৯ এর মধ্যে। মানে, ৮০% লোক যারা মারা গেলো বা যাচ্ছে, তাদের গড় বয়স ৬০-৭০ এর উর্ধ্বে। আরো স্পষ্টভাবে, এই করোনায় বুড়োরাই মারা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বুড়ো হলেই যে করোনায় ধপাস করে মারা পড়ছে, তা কিন্তু নয়। রিসার্চে দেখা গেছে, বুড়োদের মধ্যে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা প্রায় সবাই আগে থেকেই কোন না কোন রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, অ্যাজমা, লিভার ইত্যাদি।

সব ডাটাকে একত্র করলে যা সারমর্ম দাঁড়ায় তা হলো, সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই, আশাহত হবেন না। মনে জোর রাখুন।

গত দু'দিন ধরে আমার নিজেরও হালকা হালকা গা গরম। মাঝে মাঝে মনে হলো, আমাকে বুঝি করোনাই পেয়ে গেলো। তো, আমি যদি এই ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে না জানতাম, আমি কি ভাবতাম জানেন? আমি ভাবতাম, আমার যদি সত্যিই সত্যিই করোনা ধরা পড়ে, তাহলে সেদিন আমি আর বাসায় ফিরবো না। আমার মাধ্যমে আমার মা, স্ত্রী, সন্তান আক্রান্ত হবে, আমি এটা ভাবতেই পারিনা। তো, কি করবো তাহলে? কক্সবাজারের দিকে চলে যাবো, কিংবা কোন নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে। বাসায় কোনোভাবে ব্যাংকের কার্ডটা পাঠিয়ে বলবো, 'বেঁচে থাকলে দেখা হবে'।

তো, বাঁচলে তো ফিরবো। যদি না বাঁচি। সম্ভবত আমার লাশটাও খুঁজে পাবেনা আমার পরিবার৷ এই ভাবনাগুলো কোত্থেকে আসতো জানেন? প্যানিক থেকে। প্যানিক এতো ভয়ানক জিনিস। তাই, ভাইয়েরা, প্যানিক হবেন না। স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন, কিন্তু অতি অবশ্যই সতর্কতার সাথে৷

এই যে বিশাল একটা লেখা পড়লেন, এই লেখার সারমর্ম কি? আমি কি করোনা নিয়ে হাসি তামাশা করছি? পাত্তা না দিতে বলছি?

না, মোটেও তা নয়। করোনাকে অবশ্যই পাত্তা দিতে হবে। সতর্ক হতে হবে৷ বাইরে বেরুলে মাস্ক পড়তে হবে, বারেবারে হাত ধুতে হবে, লোকারণ্য এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। সবই করতে হবে, কিন্তু প্যানিক হওয়া যাবেনা। প্যানিক হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হবে ভীষণভাবে। তখন করোনায় আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা না থাকলেও, প্যানিক থেকে তৈরি ডিপ্রেশানে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা কিন্তু হুড়মুড় করে বেড়ে যাবে।

চলুন, সকাল-সন্ধ্যার যিকিরগুলো নিয়মিত করি। বেশি বেশি ইস্তিগফার করি। ভয় না পেয়ে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করি।

clctd #Arif_Azad

সিলেটে ব্যবসায়ীদের হাতে কলেজ ছাত্র খুন।

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে নজরুল ইসলাম মুন্না (২১) এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কাজী ইলিয়াস গলির মুখে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শুক্রবার নিহতের পিতা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত রেখে সিলেট কোতোয়ালী থনায় একটি মামলা করেছেন। মামলার ১ নম্বর আসামি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সিরাজুল হকের ছেলে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত মুন্না গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাওঁ ইউনিয়নের বহর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের বিএ (অনার্স)২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। নগরীর চৌকিদেখি এলাকার বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মুন্না।

নিহতের পিতা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে নজরুল ইসলাম মুন্না গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজে বিএ (সম্মান) বাংলা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখার পাশাপাশি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। 

প্রতিদিনের ন্যায় ৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাড়ি থেকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। কর্মস্থল থেকে বেতন তুলে বাজার করার জন্য রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জিন্দাবাজার পৌঁছে। জিন্দাবাজার কৃষি ব্যাংকের সামনে পৌঁছার পর স্থানীয় ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে একজন ক্রেতাকে পেটাচ্ছিলো। বিষয়টি দেখে নজরুল ইসলাম মুন্না ঐ ক্রেতাকে না মারার জন্য অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা নজরুল ইসলাম মুন্নার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নজরুলকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যান। নজরুল ইসলাম মুন্নাকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় পথ যাত্রীরা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে ওসমানী মেডিকেল কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা জাতীয় বক্ষব্যাদি হাসপাতালে নজরুলকে পাঠানোর অনুরোধ করেন। নজরুল ইসলাম মুন্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় পৌঁছার পর নজরুল ইসলাম মুন্না মৃত্যুবরণ করেন।

এব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া জানান, জিন্দাবাজার কৃষি ব্যাংকের সামনে মারামারির ঘটনায় নজরুল ইসলাম মুন্না খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম মুন্নার পিতা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তা্র করা হয়েছে।

Wednesday, 4 March 2020

দিল্লীর নর্দমায় মিলল পচাগলা ১১ মরদেহ

ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের দিল্লিতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবের পর থেকে রাজধানীর নর্দমায় মিলছে লাশ। মঙ্গলবার পর্যন্ত গত পাঁচ দিনে ১১টি পচা গলা লাশ ভেসে উঠেছে।

সব মিলিয়ে কয়েক দিনের ওই সহিংসতায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩০০ জন।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, প্রতিদিনই হাসপাতালে স্বজনদের খোঁজে মানুষের ভিড় বাড়ছে। অনেকেই সারা দিন বসে থেকে দিন শেষে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।

বিতর্কিত সিএএকে কেন্দ্র করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সামনেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ মুসলিমদের অসংখ্য বাড়িঘর ও দোকানপাট বেছে বেছে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্রপন্থীরা।

টানা তিন দিন ধরে চলে এ হামলা, অগ্নিকাণ্ড। ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নর্দমায় প্রথম গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা অঙ্কিত শর্মার লাশ ভেসে উঠেছিল। তাকে সহিংসতার মধ্যে উন্মত্ত জনতা পিটিয়ে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

সর্বশেষ রোববার ও সোমবার নর্দমাতে পাওয়া গেছে পাঁচটি অজ্ঞাত মৃতদেহ। মরদেহগুলোর বেশির ভাগই পচে গেছে। ফলে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষা করে এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।

তবে ভেসে ওঠা মৃতদেহগুলোর সবই দিল্লির সহিংসতায় নিহত কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছে পুলিশ।

দিল্লিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র প্রশাসনের তৈরি করা একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উঠে এসেছে।

উত্তর-পূর্ব জেলার তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সহিংসতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান এবং ৩০১টি গাড়ি।

সোমবার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত রিপোর্টে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জানা যায়, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে তৈরি ১৮টি দলের পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে এই দলগুলো উত্তর-পূর্ব দিল্লির সহিংসতা বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ‘ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ চালিয়েছে।

দাঙ্গার পর থেকে এখনও প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের খোঁজে হাসপাতালে ছুটছেন স্বজনেরা। মর্গে নতুন কোনো লাশ এলে সেখানে দৌড়াচ্ছেন।

গুরু তেজ বাহাদুর (জিটিবি) হাসপাতালে আসা সোনিয়া বিহারের বাসিন্দা পঙ্কজ বলেন, ‘আমার মা পুনম সিং এবং ভাগ্নে শাগুন ২৭ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। তারপর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না। লোক নায়ক হাসপাতাল, জগপ্রদেশ চন্দ্র হাসপাতালেও খোঁজ নিয়েছি, পাইনি। আমার মায়ের ফোনও বন্ধ পাচ্ছি।’

Friday, 28 February 2020

মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী আসলে দেশে বদরের যুদ্ধে রুপ নেবে।

সিলেট :: ভারতে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএর’র প্রতিবাদ করায় দেশটির রাজধানীতে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতা, মুসলিম গণহত্যা-নির্যাতন ও মসজিদ-মিনারে অঙ্গিসংযোগের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখা।

শুক্রবার বাদ জুমআ বন্দরবাজার দলীয় অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি পয়েন্টে গিয়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জমিয়তের নেতাকর্মী ও মুসলি­রা আবু জাহেলের উত্তরসূরী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে তার দুগালে জুতা নিক্ষেপ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্ত্রাসী মোদী নিরীহ মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। নির্বিচারে গুলি করে মারছে। মসজিদ-মাদ্রাসা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, মিনারে হনুমানের পতাকা লাগিয়েছে। এসব কাজ বিশ্বের ৪০০ কোটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মোদি যোগ দিলে এদেশে বদরের যুদ্ধের পূণরাবৃত্তি হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শাপলা চত্তরে রক্ত দিয়েছি, এ রক্তের দাগ এখনও শোকায়নি। প্রয়োজনে মোদি দেশে আসলে আবারও রক্ত দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তবুও মুসলমানদের উপর কোন ধরণের নির্যাতন সহ্য করবো না।

ভারতের শত শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্য-অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে এমনটা দাবী করে বক্তারা আরও বলেন, ভারতের ঐতিহাসিক বহু স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের অবদানের কাছে আজ পুরো বিশ্ব ঋণী। বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো ভারতকে মুসলিমশূন্য করার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।

বক্তারা বলেন, ইসলাম সবসময় মানবাধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে অমুসলিম সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাদানের কথা বলে। আমাদের দেশের মুসলমানগণ বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। এ দেশে মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেয়ার নজীর আমরা দেখিয়েছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করছে। অথচ ভারতে এর উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় সবসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে। ভারতের উচিৎ হবে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা খয়রুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সালিম ক্বাসেমী, মহানগর জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, হাফিজ কবির আহমদ, মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা আসাদ উদ্দিন, সৈয়দ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।

বিক্ষোভ মিছিলে মোদি বিরোধী স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল সিলেটের রাজপথ।

Wednesday, 26 February 2020

জকিগঞ্জের আটগ্রাম রতনগঞ্জ পাকা রাস্তায় যেন কাদামাটির প্রলেপ।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম টু জকিগঞ্জ রোডের উপর ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি বহনের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে যেন মাটির প্রলেপে পরিনত হয়েছে। শুস্ক মৌসুমে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এসব ধুলা পরিবেশের ক্ষতি যেমন করে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চলাফেরা করা মানুষের। সর্দিকাশি সহ বড় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হালকা বৃষ্টি হলে রাস্তা এত বেশী পিচ্ছিল হয় গাড়ি ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এত্র এলাকার মানুষ। তাই সময় থাকতে প্রশাসন ও এলাকার মানুষ মিলে তা রুখতে হবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও ট্রাফিক পুলিশ মিলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।                                  

Sunday, 23 February 2020

জাল নোট সহ আটক নুরু

গতকাল ২৩-০২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ জকিগঞ্জ থানাধীন ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের সোনাসার বাজারে রাত ০৯.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী মোঃ নূরুল ইসলাম (৪৬), পিতাঃ মৃত কুতুব আলী, সাং-মামরখানী, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেটকে আটক করা হয় এবং তার দেহ তল্লাশী করে ০৭ (সাত) টি ১০০০/- টাকার এবং ০২ (দুই) টি ৫০০/- টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। জানা যায় উক্ত আসামী দীর্ঘ দিন যাবত জকিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে জাল টাকাকে আসল টাকা বলে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছে। এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। টাকা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে তা জাল কিনা সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত।
© মীর আব্দুন নাসের  

ধর্মের নামে অধর্ম আর কতঃ মাজহারুল ইসলাম জয়নাল।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে ধর্মের নামে অধর্মের বাজার জমজমাট।যিনি যতো বেশি বানোয়াট,মিথ্যা কিচ্ছা- কাহিনী বলতে পারেন তিনি ততো বড়ো হুজুর।কেরামতের নামে যত্তোসব আজগুবি মিথ্যা কথা! বাঘ নাকি পীর সাহেবকে এসে সালাম দেয়!সাপ পীরের মুরিদ!কিয়ামতের দিন পীর সাহেব জাহাজ নিয়ে মুরিদেদের রক্ষা করবেন!পীরের সামনে বাঘ আর সাপ হাজির করলে পীরাকি বাঘের পেটে গিয়ে ডুকলো অনে।
বর্তমানে ওয়াজের মার্কেট ধর্ম ব্যবসায় রুপ নিয়েছে,একেকজন হুজুরের হাদিয়া নিম্নে ১০ হাজার আর উপরে ৫০/১ লক্ষ টাকা। ওয়াজ কমিটি রিক্সা চালক,দিনমজুরকেও ছাড় দিচ্ছেন না ধর্মের নামে লক্ষ-কোটি সওয়াবের অফার দিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। (আর ভাড়াটিয়া ধর্মব্যবসায়ী এজন্য বললাম, তাদের পেশাই হচ্ছে ধর্মকে ব্যবহার করে বিনাপঁুজিতে কোটিপতি হওয়া)। চিন্তাকরুন, এক/ দুইঘন্টার আওয়াজে ৫০ হাজার ইনকাম,প্রফেশনাল ওয়াইজ নামক ব্যবসায়ীরা বছরে ধর্মকে পুঁজি করে কোটিকোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। তাদের বাসাবাড়ি,মার্কেট, ব্যাংক ব্যালেন্স দেখলে আপনি অবাক হবেন, অথচ ধর্মব্যবসায়ী হুজুর কোনদিনও তার প্রতিবেশীর অসহায়, দরিদ্র মানুষের কোনো খবর রাখেন না! এগুলোতে তার সময় নেই।অথচ তিনি ওয়াজে মাত্র ৮০০০ টাকার বিনিময়ে ৮ জনকে ৮ টা জান্নাতও বিক্রি করে দেন !
এর নাম কি ধর্ম না অধর্ম?
কোনটা ধর্ম আর কোনটা অধর্ম তা তফাৎ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।ধর্ম মানুষকে নীতি- নৈতিকতা,মানবসেবার শিক্ষা দেয়।প্রিয়নবী সা: সবসময় তার প্রতিবেশির খোঁজ-খবর নিতেন আর ধর্মব্যবসায়ী হুজুর প্রতিবেশির খোঁজ- খবর নিতে পারেন না; কারণ তিনি প্রতিদিন ওয়াজের মার্কেট নিয়েই ব্যস্ত।
অধর্ম মানুষকে সন্ত্রাসী ও ধর্মের নামে ধর্মব্যবসায়ী বানায়। আমি একজন মুসলমান ধর্ম পালন করি, ধর্ম মানি। কিন্তু ধর্মের নামে অধর্ম কখনো মানতে পারি না।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, ধর্ম আর ধর্মের নামে অধর্ম এক নয়। ধর্মের নামে অধর্ম বা ব্যবসা করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেয়েও জগণ্য। যদিও ধর্মব্যবসায়ী হুজুরদের দাবি তারা ধর্ম রক্ষা করছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা ধর্মের সত্যকেই অস্বীকার করে চলেছেন। ধর্মকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন।রাত ১২ টার পরে তাদের আওয়াজের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনসমাজ। কুরান- হাদীসের প্রকৃত শিক্ষা না থাকার কারণে তারা ধর্মকে বাণিজ্যের পণ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়ত দান করুন।

আসুন,এই সমস্থ ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। সত্যিকার নায়েবে – রাসুল আল্লাহওয়ালা আলেমদের কে সম্মান করি, যারা টাকার জন্যে নয় বরং একমাত্র আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্যেই কথা বলেন

সিলেটে আটক সাইফুল ইসলাম সুজনের তথ্যানুসারে তার বসত ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার।


সুরমা নিউজ:
সিলেট নগরীর বাদাঘাট এলাকা হতে আটক শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম সুজনের দেওয়া তথ্যে থেকে জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের তার বসত ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টায় জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের তার বসত ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানাধীণ মাদারখাল গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম সুজনকে শুক্রবার দুপুর ৩টায়, সিলেট নগরীর বাদাঘাট থেকে আটক করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক পরবর্তী সময়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের সাইফুল তার হেফাজতে থাকা অস্ত্রের কথা স্বীকার করে। সুজনের দেয়া তথ্য মতে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মীর মো. আব্দুন নাসেরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ১টায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তার বসত ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনা সংক্রান্তে জকিগঞ্জ থানার এসআই (নি.) নোটন কুমার চৌধুরীর দাখিলকৃত এজাহারের ভিত্তিতে জকিগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানান সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান।

Friday, 21 February 2020

ধর্মীয় অনুভূতির শুভ বুদ্ধির উদয় হোক

ধর্মীয় গুরুদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক, লেখাটি পড়তে ও শেয়ার করতে ভূলবেন না।
----------------
বিবেকহীন জাতি

মুফতি মোস্তফা সুহেল 

সাধারণ মানুষ যদি আমি আলেমকে প্রশ্নের ধরণ এমন হয় যে, হুজুর এটা কি জায়েয? এটা কেমনে জায়েয? আর এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে আপনাকে আমতা আমতা করে দিতে হয়, তখন বোঝে নিন, তার বিবেক আমি আলেমের চেয়ে পরিস্কার, তার শারয়ী ধারণা আমার চেয়ে স্বচ্ছ৷

মাইক দিয়ে ওয়াযের প্যান্ডেলের বাহিরে এমনকি এক/দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায পৌছানো এমন একটি কর্ম যা কেবল শরীয়ত বিরোধি নয়, বিবেকহীনও বটে৷ কুরআন, হাদীস, কিতাব ঘাটাঘাটি না থাকায় যদি এগুলোর অবৈধতার ফতোয়া পান না, তবে বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলেও তো ফতোয়া পেয়ে যেতেন৷ প্রতিটি বড় বড় মাদরাসায় এত মুহাদ্দিস মুফতি থাকতে জানি না কেন কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামান না৷ দেড় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আওয়ায দিয়ে রাতভর ওয়ায করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া, যে শুনতে চায় না তার কানেও জোরে আওয়ায পৌছানো কোন ইসলাম?

হাজারো মানুষ এসব কর্মের বিরোধি৷ কিন্তু ধর্মীয় এক অজানা ভয়ে কিংবা আপনাদের ফতোয়ার ভয়ে এসবের বিরুদ্ধে আওয়ায তুলতে সাহস পায় না৷ প্রতিদিনের এসব কষ্ট মনে জমতে জমতে এক সময় মানুষ আলেমদের প্রতি এমনকি কেউ কেউ ইসলামের প্রতিও বিরুপ মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠে৷ এসবের দায়ভার কার উপর?

হিন্দুরা তাদের পুজার সময় একটু জোরে সাউন্ড বাজিয়ে আমার ঘর পর্যন্ত পৌছালে কেমন লাগে বলুন? সেখানে আমি যদি আপনার ওয়ায শুনতে ইচ্ছুক না হই, আর আপনি চিল্লিয়ে তা দেড় দুই মাইল পর্যন্ত পৌছান, সারা রাত ঘুম, ইবাদাত, পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটান তখন কেমন লাগবে?

একটু বিবেক জাগ্রত করুন৷ ইসলাম ও মুসলামনকে আর প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না৷ মানুষকে কষ্ট দিয়ে এসব ওয়াযের নযির সালাফে একটিও দেখাতে পারবেন না৷ একজন মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের ওয়াযের এই পদ্ধতি ও সাউন্ড সিস্টেম বৈধ নয়৷

Wednesday, 19 February 2020

শীগ্রই শারজাহ থেকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট শুরু হতে পারে।

বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিবেদকঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। আমিরাত প্রবাসীদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিমান বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

গতকাল মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইতে ‘ট্রাভেল পার্টনার এজেন্ট স্টাফ এপ্রিসিয়েশন গালা’ অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন আরো বলেন, বাংলাদেশ বিমান প্রবাসীদের সুবিধার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। নতুন করে শারজাহ বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত প্রবাসীদের জন্য।

ফ্লাইট শুরু করে কি হবে যদি প্রবাসীদের হয়রানির মাঝে পড়তে হয়। টিকেটের দাম অন্য সব বিমান থেকে ৫% বেশী হলে আমাদের আপত্তি নাই। অন্যান্য বিমানের চেয়ে ভাড়া যদি বেশী হয় তাহলে কেউ সুবিধা পাবেনা।                 

বিমানের সকল এজেন্ট স্টাফকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিমানের সেবা প্রদানে আপনাদের ভূমিকা কম নয়। বিমানকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আরো বেশি করে কাজ করতে হবে।

সোমিয়া’র উপস্থাপনায় বিমান বাংলাদেশ দুবাই এর ম্যানেজার দিলীপ কুমার চৌধুরী বলেন, বিমান বাংলাদেশের দুবাই ভিত্তিক সেলস টার্গেটের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি হয়েছে যা খুবই আনন্দের বিষয়।

এসময় দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বিমানের ৬৮ টি এজেন্টকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

প্রবাসীদের অভিযোগ শুনবে দুদক

বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অভিযোগ ও অনিয়মের কথা শুনতে নতুন সেবা চালু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের হটলাইন-১০৬ এ যেহেতু প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করার সরাসরি সুযোগ পাচ্ছে না, তাই সমস্যার সাময়িক সমাধানের উদ্দেশ্যে নতুন একটি মোবাইল নম্বরে হটলাইনের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

নতুন নম্বর হলো = + ৮৮০১৭১৬-৪৬৩২৭৬। এই নম্বরে যে কোনো সময় প্রবাসীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ওই নম্বরে প্রবাসীদের অভিযোগ শুনবেন।

মঙ্গলবার কমিশন সভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী নাগরিকগণ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে সরাসরি দুদকের হটলাইন-১০৬ ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই প্রযুক্তিগত এই সমস্যা দূর না হওয়া পর্যন্ত ওই নম্বরে যে কোনো সময় প্রবাসীরা তাদের অভিযোগসমূহ জানাতে পারবেন।’

২০১৭ সালের ২৭ জুলাই হটলাইন-১০৬ চালু হয়। যেখানে সারাদেশের মানুষ দুদকের তফসিলভুক্ত দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতেই প্রতিদিন বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

বিয়ানীবাজার জিরোপয়েন্টের চরিয়া এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি।

সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বিয়ানীবাজার জকিগঞ্জ রোডের জিরো পয়েন্টের কাছে চরিয়া নবাব গেইটের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে একদল ডাকাত। তাদের হামলায় অন্তত ২০/২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে টাকা,মহিলাদের স্বর্নের হার, নাক ফুল ও কানের দুল মোঠোফোনসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

আজ বোধবার  (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টা থেকে  ১২.৫৫ মিনিট পর্যন্ত বিয়ানীবাজার জকিগঞ্জ রোডের জিরো পয়েন্টের কাছে চরিয়া নবাব গেইটের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,  এলাকায় গাছ ফেলে ১৮/২০ জনের ডাকাতদল যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ সময় বাস, প্রাইভেটগাড়ি ও বেশকিছু সিএনজি অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা স্বর্ন লুট করে নেয় তারা।

ডাকাতির শিকার যানবাহনের মধ্যে থাকা যাত্রীরা অন্তত ২০/২৫ যাত্রী আহত হন। মারধর করে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মুঠোফোন ও নগদ লক্ষাধিক টাকা স্বর্ন ছিনিয়ে নেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ডাকাতির শিকার হওয়া মামুনুর রশিদ খাঁন ও তিনির সাথ থাকা লন্ডন প্রবাসী শেখ আবু ফয়ছল ঘটনা সিলেটপোস্টকে মোঠোফোনে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন,প্রায় ১০০ গাড়ীকে আটকিয়ে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে ডাকাতরা।এ সময় মামুনুর রশিদ খাঁনকে ও মারধর করে তিনির মোঠোফোন টাকা এবং সাথে থাকা লন্ডন প্রবাসীরও মোঠোফোন ও লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।এরপর মামুন ও প্রবাসী আবু ফয়ছল মিলে বিয়ানিবাজার থানায় অন্যর ফোন দিয়ে থানার ওসিকে মোঠোফোনে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনার বিবরন জানালেন। ওসি এ সংবাদ পেয়ে এক দল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্হল পৌছামাত্র ডাকাতরা টের পেয়ে চরিয়ার দিকে চলে যায় বলে জানালেন দলিল লেখক মামুনুর রশীদ খাঁন ও প্রবাসী শেখ আবু ফয়ছল।।

আহতরা জানান, ডাকাতরা ওই সড়কে যাত্রীদের প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১২.৫০ মিনিটে  দিকে পুলিশ আসলে তারা চরিয়ার দিকে পালিয়ে যায়।

 

Tuesday, 18 February 2020

গরু যদি কচুরিপানা খেতে পারে মানুষ ও তা পারবেনা কেন? পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারবো না? সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দুজনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করার যায় কিনা। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোন মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এ বিষয়ে গবেষণারও তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘পোস্ট হারভেস্ট লস্ট কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে গবেষণা করুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য এ সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ কেউ বলেন, এত প্রতিষ্ঠান কেন? ১৬ কোটি মানুষের দেশ এটা। আনুপাতিক হিসাব করলে আমরা এখনো ওই পর্যায়ে যাইনি, যে লেভেলে পশ্চিমারা আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। মান নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও করেন। তার ধারণা, চাপের মুখে মানোন্নয়ন হবে।’
কৃষি গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ড. এম এ রহীম এবং ড. শামসুল আলমকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

Monday, 17 February 2020

রোহিঙ্গাদের মাদক পাচার প্রতিরোধ ও করণীয়।

বা;লাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের পথে মাদক ব্যবসা একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ই; মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকায় বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ( পুরাতন ভবন) র্যাব ১২ আয়োজিত মাদক বিরোধী সাইকেল র্যালী উদ্বধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে ৮০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে আর তারা প্রতিদিন প্রায় ২৫০ কোটি টাকা মাদকের পেছনে খরছ করে। এই মাদকসেবীদের নেশাজাত সামগ্রি যোগান দিচ্ছে অপরাধজগতের বাসিন্দা মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা। এই মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা আপনার আমার সকলের শত্রু, দেশের শত্রু। আমাদের আগামী প্রজন্ম মাদকের হুমকীর হয়ে দাড়িয়েছে। অবিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন না হলে নিজের সন্তানেরা অপ্রাপ্তবয়সেই নিজেকে ধ্ব;সের হাতে ফেলে দেবে। আমাদের দেশের প্রতিটি সীমান্তই মাদক পাচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে তার মধ্যে বর্তমানে দেশে আগত রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে মাদক পাচার প্রধান পেশা ও নেশা হিসেবে মনে করে। এর সাথে জড়িত ছেলে মেয়ে যুবক যুবতী, বুড়ো, বুড়ি সবাই জড়িত। কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত ” দৈনিক ইনানী ” পত্রিকা সূত্রে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; বুধবারে প্রকাশিত পত্রিকা মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ ন; ওয়াে্ডের নিজ পানখালী এলাকার কবির আহমদের স্ত্রী ছখিনা বেগম (৫০) কে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; মঙ্গল বার দুপুরে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গার মুখ এলাকা থেকে অভিযান চালিিয়ে ৫০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো হাবিবুর রহমান ছখিনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে ও তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে আমরা বুঝতে পারি যে এখাবেই এই এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে। ছখিনার মত হাজার হাজার মাদক পাচারকারী টাকার লোভে নেশাজাত দ্রব্য পাচার করে হাতে নাতে ধরা পড়ছে আর যারা দরা ছোয়ার বাইরে আছে তাদের মাধ্যমে পাচারকৃত মাদকদ্রব্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাচার হয়ে মাদকব্যবসায়িরা তাদের কালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবন মৃত্যুর মধ্যস্থান থেকে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য পাচার করা তাদের প্রধান পেশা হিসেবে মনে করে। তারা এটা বড় কোনো অপরাধ বলে মনে করে না। তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন বিধায় এটা নির্মুল করতে দেশের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর পক্ষে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারন জনসাধারনের কাছ থেকে কবর নিয়ে জানতে পারি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার ৬০% লোক ইয়াবা ও বিভিন্ন জাতের মাদক দ্রব্য ব্যবসা ও পাচারের কাজে সরাসরি জড়িত আছেন। রোহিঙ্গাদের সাথে চুক্তি করে অন্যান্য পন্য কেনার পাশাপাশি গুপ্তভাবে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে আগ্রহি হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে রোহিঙ্গাদেরে সুযোগ সুবিধা দিয়ে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে ্ আগ্রহী করে নিজেরা বড় অ;কের অবৈধ টাকা উপার্জনের সুযোগ নিচ্ছে। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাাদদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা ও পাচার প্রতিহত করার জন্য মোবাইল কোর্ট এর অভিযান অব্যাহত থাকলেও মাদক ব্যবসায়িদের স;খ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য ব্যবসায়িরা হচ্ছে কোচিপতি আর মাদকসেবীরা হচ্ছে ধ;শ। আগামী প্রজন্মের নিরাপদ জীবনের কথা চিন্তা করে, ধূমপান, ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকজাত দ্রব্য সহ সকল নেশার কালো থাবা থেকে রক্ষা করার স্বার্থে বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমাদেরে মাদক বিরোধী শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের তরুন সমাজকে এর ক্ষতিকর দিকগুলো ভাল ভাবে বুঝাতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শুধু আইনশৃ;খলা বাহিনী একা যুদ্ধ করলে দেশ মাদকমুক্ত হবে না, এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে একাত্বরের মত দেশের সর্বস্খরের নাগরিককে ধূমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যার যার অবন্থান থেকে অ;শ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্যম্প উখিয়া সহ দেশের সকল সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক পাচার ও ব্যবসায়িদেরে প্রতিহত করতে তরুন প্রজন্মকে জাগতে হবে। তরুনরাই পারে একটি ধূমপান ও মাদকমুক্ত বা;লাদেশ উপহার দিতে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন এই দেশকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত করতে সকল তরুনরা জেগে ওঠো। মাদক থেকে দেশকে বাচাতে আসুন আমরা সবাই সব ভেদাভেদ ভুলে মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে ঝাপিয়ে পড়ি। ( লেখক ; প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি – সুবাস) , সিলেট, বা;লাদেশ। একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যান স;স্থা) মোবাইল ; ০১৭২৫-৬৬০৪৪৭ ইমেইল ; syedaslam.bd@gmail.com

সাগরপথে ইতালি যাওয়ার পথে জকিগঞ্জের যুবক নিখোঁজ।

এখলাছুর রহমান: জকিগঞ্জের যুবক ফরিদ উদ্দিন(২২) সমুদ্রপথে ইউরোপ পাঁড়ি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়ে ৩ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফরিদ উদ্দিন ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে লিবিয়া গিয়েছিলো। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে সমুদ্র পথে রওয়ানা হয়। তখন সে তার মাকে টেলিফোনে ইতালি রওয়ানা হওয়ার সংবাদ জানিয়েছিলোে। মাকে আশ্বস্ত করে সে বলেছিলো ইতালি গেলে তার পরিবারের কোনো অভাব থাকবে না। তার সঙ্গে অন্যান্য এলাকার আরো ৭-৮ জন যুবক ছিলো। কিন্ত সমুদ্রপথে যাত্রা করার তিনমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ফরিদ উদ্দিনের কোনো সংবাদ জানেনা তার পরিবার। সে জীবিত আছে না সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে এ চিন্তায় তার পরিবারের লোকজন বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন । এদিকে সন্তানে কোনো সংবাদ না পেয়ে তার মা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এখন মৃত্যুপথযাত্রী। ছেলের চিন্তার মা সারারাত জেগে কাটাচ্ছেন। তার বড়ভাই কামরুল ইসলাম জানান ফরিদ উদ্দিনের সংবাদ না পেলে আমার মাকে বাঁচানো যাবে না।


পহেলা মে থেকে সড়ক, মহাসড়ক, ফেরীতে সরকারি,বেসরকারি সকল এম্বুল্যান্স টোল ফ্রী সেবা চালু হবে।

সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এই বিষয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন, উপসচিব ফাহমিদা হক খান।
এতে বলা হয়েছে, বিগত সময় সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিসমূহে স্থানভেদে যে কোনো অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল বা চার্জ আদায় করা হতো। এমন বিষয় সরকারের নজরে এসেছে। তাই মুমূর্ষু রোগী বহনে নিয়োজিত সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন থেকে কোনো ধরনের টোল বা চার্জ ছাড়াই পারাপার হতে পারবে। তবে এই সুবিধা আগামী এক মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে।
 
এই বিষয় প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
তিনি জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জারি করা এমন চিঠি দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং স্ব স্ব বিভাগের কাছে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, এতেদিন ধরে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু এবং ফেরিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে চলাচলকারী সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো টোল বা চার্জ আদায়ের সময় কালক্ষেপণ হত। এতে একদিকে,  রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন অন্যদিকে কিংবা সেতুতে জট সৃষ্টি হতো। তবে এখন থেকে টোল বা চার্জ প্রথা তুলে দেওয়ায় এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। কেউ কেউ বলেছেন, উদ্যোগটি সরকারের ইমেজ  বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দুর্নীতির আখড়া সিলেট ওসমানী হাসপাতাল


স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট বিভাগে চিকিৎসাক্ষেত্রে একসময়ের একমাত্র ভরসার নাম ছিল সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল। পুরো দেশজুড়ে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসাকেন্দ্রটির সুনাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে এখন পুরো ভিন্ন পথে হাটছে দেশের অন্যতম ও সিলেট বিভাগের সর্বসাধারণের একমাত্র ভরসার চিকিৎসাকেন্দ্র এই সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল। নতুন নামও হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই হাসপাতালটির। রোগীরা নতুন করে এর নাম রেখেছেন ‘দুর্নীতির আখড়া’। আর হবেই বা না কেন সিলেটের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি এখন দুর্নীতির মহোৎসব পালন করছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালটিতে রয়েছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। যেখানে দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা ও ফ্রি ওষুধ পাওয়ার কথা সেখানে হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট চক্রের শরণাপন্ন হয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। অন্য দিকে ওই চক্র দীর্ঘ দিন ধরে কোটি কোটি টাকার সরকারি ওষুধ রোগীদের ফ্রি না দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফার্মেসিতে দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্রি ওষুধ না পেয়ে রোগীরা বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি চিকিৎসাসেবা নিয়ে চলছে এসব লুটপাটের ব্যবসা। হাসপাতালে কর্তব্যরত কিছু তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও বাইরের কিছু লোক মিলে সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিট খালি থাকার পরও রোগীদের নিচে রাখা হয়েছে। ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের বলছেন, সিট খালি নেই। আবার ওয়ার্ডবয় ও দালালরা বলছেন, টাকাপয়সা খরচ করতে পারলে সিট ম্যানেজ করে দিতে পারবে। অথচ দেখা গেছে, খালি সিটে রোগীদের বদলে বিড়াল ঘুমাচ্ছে। রোগীদের পাশাপাশি স্বজনরা ওয়ার্ডের বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন। এমনকি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হাসপাতালে সময় মতো আসেন না। রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। জরুরী প্রয়োজনে পাওয়া যায় না সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। নেবুলাইজার, অক্সিজেন সংকট, ব্যবস্থাপত্রে রোগ অনুযায়ী ওষুধ না লিখে দামী ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা এই হাসপাতালের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে সিট-বাণিজ্য আর অনিয়ম-দুর্নীতি এখন নিত্যদিনের ব্যাপার।

তাছাড়া এখানে আছে গেইট পাশ বা নিম্নশ্রেণীর কর্মচারীদের দাপুটের অর্থ বাণিজ্যের লড়াই । প্রতি রোগীদের অভিভাবকদের নিকঠ হতে প্রকাশ্যে দিবালোকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা । এ হিসেবে মেডিকেলের ফান্ডে গেইট পাশের চাঁদা’র টাকা প্রতিদিন অন্তত ৪/৫লাখ টাকা জমা হয় । আর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়লে দু’একজন গার্ডদের দোষারোপ দেখিয়ে তারা নিজেকে নিরাপদ করে নেয় ।

গত ২৪ নভেম্বর সিলেট-১ (সদর) আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন পরিচয় গোপন রেখে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। দুপুর ১টার দিকে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে সেবা নিতে চান তিনি। জানানো হয়, জরুরি বিভাগে এই সেবা বন্ধ। এরপর ১০ টাকার টিকিট কেটে রোগীদের লাইনে দাঁড়ান। বাইরে রোগীর দীর্ঘ লাইন থাকলেও চিকিৎসকরা কক্ষে গল্প-আড্ডা দিচ্ছিলেন। পরে সেলিনা মোমেন হাসপাতালের গাইনিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা ও এক্সরের জন্য রোগীদের বাইরে পাঠানোর চিত্রও দেখেন। তিনি জানতে চাইলে বলা হয়, দুপুর ১টার পরে হাসপাতালের ভেতরে কোনো পরীক্ষা করা হয় না। এ সময় সেলিনা মোমেন বলেন, একটি সরকারি হাসপাতাল এত নোংরা-অপরিচ্ছন্ন হতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না। তাহলে সরকার কেন এত টাকা খরচ করছে সরকারি হাসপাতালে? সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রোগিদের প্রতি চিকিৎসকদের অবহেলা, নার্সিং পরীক্ষা পদে বিবাহিতদের স্থান দেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য ও গেইট আনসার-দারোয়ানদের রমরমা চাঁদা আদায় বাণিজ্য, রোগিদের সরকারী ঔষুধ না দিয়ে বাহির থেকে ক্রয় করানো, যথাসময়ে চিকিৎসক না পাওয়াসহ হাজারও অভিযোগ আছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবুও নিরব হাসপাতালটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা জনপ্রশাসন (জনস্বাস্থ্য) মন্ত্রনালয়।

এমন দুর্নীতি থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে বাঁচাতে এবং সঠিক নিয়মে হাসপাতাল পরিচালনা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিলেট অঞ্চলের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।