ইফতারি প্রথা শুধু সিলেট না দেশের আরো কিছু জেলায় ইফতার ছাড়া আরো কিছু কুসংস্কার রয়েছে। গ্রীষ্ম কালে মেয়ের জামাইর বাড়ি ফল আম কাঠাল দিতে হয় সাথে হরেক রকম ফল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আম কাঠাল আর ইফতার প্রথা একি সিজনে আসে তাই একি সময় দিতে হয়, কেউ আগে পরে সামর্থ্য অনুযায়ী দেয়। অনেক মেয়ের বাবা আছে মেয়ের বাড়ি ইফতারি দিয়ে মেয়ের ইজ্জত বাচাতে বড় লোকের কাছে গিয়ে সাহায্য চেয়ে, আবার কেউ ভিক্ষে করে, কেউ দু তিন মাস আগে থেকে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে। অনেক দিন মজুর বাবা-মা এসব মৌসুমী প্রথা পালন করতে সর্বস্বহারা হচ্ছে।
সিলেটে ইফতার প্রথা পুরাতন এক ঐতিহ্য। বাবার বাড়িতে থেকে রমজানে মেয়ের বাড়িতে ইফতার পাঠানো হয় । সে ইফতার শুধু মেয়ের বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। ছেলের শ্বশুড়বাড়ি থেকে যেদিন ইফতার আসবে সেদিন বন্ধুবান্ধ আর আত্মীস্বজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সেই সাথে একটি নিরব প্রতিযোগিতা চলে- কার শ্বশুরবাড়ি থেকে কত বেশী আইটেমের ইফতার এলো, কে তার শ্বশুরবাড়ির ইফতার কয়শত মানুষকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াল। যার শ্বশুরবাড়ী থেকে যত বেশী ইফতার আসে তার তত সুনাম। তেমনি যে মেয়ের বাবার সে সক্ষমতা কম, তিনি ইফতারি দিয়ে খুশি করতে না পারলে- অনেক ক্ষেত্রে কথা শুনতে হয়। এই বছর করোনা সংকটের কারণে প্রথম দিকে এই ইফতার পাঠানো থেকে নিস্তার মিললেও। দোকানপাঠ খোলায় অনেকেই ইফতারের পাঠিয়েছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং করোনা সংক্রমণের ভয় থাকায় তা খুবই নগণ্য। করোনা এক্ষেত্রে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
No comments:
Post a Comment