লেখক: আব্দুল আউয়াল হেলাল
প্রতিষ্টাতা জকিগঞ্জ লেখক পরিষদ।
রাত বারোটা হওয়ার পথে। হুজুর ওয়াজ করছেন।বেশীরভাগ কথা অপ্রাসঙ্গিক। কিসসা কাহিনীর সাথে সাথে ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর কদর্য ভাষায় আক্রমণ তো আছেই। ঘটনাস্থলের চারিদিকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দুরেদুরে বিভিন্ন গাছের মগডালে জুড়াজুড়া লাউড স্পীকার বেধে দেয়া হয়েছে। ভাবখানা এমন যেনো শালা শুনবি না! তুই শুনবি,তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীকে শুনতে হবে। বাড়ীতে গুরুতর অসুস্থ আমার মা।সঙ্গত : কারনেই রাত নয়টার মধ্যে তাঁর ঘুমিয়ে যাওয় উচিৎ। না হয় শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিশ্চয়ই আশপাশের গ্রামগুলোতে অনেক জটিল রোগাক্রান্ত মানুষজন থাকতেই পারেন।কে বুঝাবে এই অবিবেচক আয়োজনকারি এবং বক্তাকে। এর বিরোধিতা করলে পেট পুঁজারী কোন মোল্লা হয়তো তাকে নাস্তিক মুরতাদ ফতোওয়া দিয়ে দিতে পারে। দিক,সমস্যা নেই।
কিন্তু ভাববার বিষয় হলো- ইসলাম কি মানুষকে এভাবে কষ্ট দেয়া অনুমোদন করে। যদি করে থাকে তবে তার দলীল? আর যদি না করে থাকে তবে এই মোল্লাদের লাগাম টেনে ধরবে কে?
আমি মনে করি এগুলা নিঃসন্দেহে শব্দ সন্ত্রাস। এই শব্দ সন্ত্রাস রক্ষা পেয়ে হলে এলাকায় এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
No comments:
Post a Comment