Saturday, 9 November 2019

জকিগঞ্জে শিক্ষক নিখোঁজ

জকিগঞ্জে শিক্ষক নিখোঁজ 

মোঃ মোসলেহ কাইয়ুম সোহেল, হাজি তৈয়ব আলী বালিকা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। পিতা- মোঃ আব্দুল কাইয়ুম  গ্রাম ও ডাক - গন্গাজল উপজেলা- জকিগন্জ জেলা- সিলেট।  
তিনি গতকাল বিকাল ৩ ঘটিকার দিকে অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে  শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্ষন্ত বাড়ি ফিরেন নি।  সম্ভাব্য সকল জায়গায় যোগাযোগ করে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার সাথে মোবাইল ফোন নেই।
তার পরনে ছিল চেক শার্ট ও লুন্গি।  
যদি কোন সহ্রদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পেয়ে থাকেন। তাহলে নিম্ন নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক জয়নুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জকিগঞ্জ থানাকে অবগত করা হয়েছে।
যোগাযোগ - 01726962221 -- 01312312134

Tuesday, 5 November 2019

বখাটে ছেলের হাতে বাবা খুন।

জকিগঞ্জ (সিলেট):: বখাটে ছেলের লাঠির আঘাতে জকিগঞ্জের এক বাবা এখন মৃত্যু শয্যায়। হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা হতভাগ্য এই বাবা জকিগঞ্জের কসকনকপুরের বলরামের চক গ্রামের হাফিজ আব্দুন নূর লস্কর। আব্দুন নূরের ছোট ছেলে নেশাগ্রস্ত জাকির আহমদ লস্কর বাবার কাছে ৮ হাজার টাকা চায়। এ টাকা না দেওয়াতে ৩০ অক্টোবর বুধবার রাত অনুমান আটটায় জাকির তার বাবার উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে লাঠি (লাকড়ির টুকরা) দিয়ে বাবার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে আব্দুন নুর মাথার তিনটি স্থানে প্রচন্ড আঘাত পান। প্রচন্ড রক্তাক্ত জখম ও অজ্ঞান আব্দুন নূরকে মৃত ভেবে ঘরের বারান্দার গেট তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হাফিজ আব্দুন নূরের স্ত্রী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পুত্র জাকিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন হাফিজ আব্দুন নূর। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা আব্দুন নূরের স্ত্রী বলেন, জাকিরের বাবা তখন শুয়ে তসবিহ পাঠ করছিলেন। টাকা না দেওয়ায় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার উপর আঘাত করে সে। আমি এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর আব্দুন নাসের বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে, আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।
http://zakigonjnews24.com/%e0%a6%9c%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%98%e0%a6%be/

Monday, 4 November 2019

জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সভাপতি জনাব ফজলুর রহমান এর স্বদেশ আগমন।


জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সভাপতি জনাব ফজলুর রহমানকে রিসিভ করতে সিলেট ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যাচ্ছেন পরিষদের সিনিয়র সভাপতি জনাব জামাল আহম,  সহ সভাপতি সোলেমান আহমদ লস্কর, এবং এম এ জি বাবর।               

ঘাতকের ছুরিকাঘাতে জকিগঞ্জের কিশোর নিহত।

ঘাতকের ছুরার অাঘাতে নির্মমভাবে নিহত  সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাপনা গ্রামের
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর পুত্র নাহিদ (২১)। 
সে চট্টগ্রাম শহরে তার পিতা- মাতার সাথে বসবাস করতো। 
সেখানেই ঘাতকের ছুরার অাঘাতে নির্মমভাবে  নাহিদ নিহত হয়।

ঘাতকের ফাঁসি চাই। আর যাতে কোন মা-বাবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ না হয়।

জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সভাপতি জনাব ফজলুর রহমান এর স্বদেশ গমন।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ জেদ্দা মহানগর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও জকিগঞ্জ প্রথম অনলাইন ভিওিক সংগঠন জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সম্মানীত সভাপতি  জনাব ফজলুর রহমান ফজলু ভাই আজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাহেবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আগামীকাল ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটা 30 মিনিটের সময় অবতরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।যাএা শুভ হোক, মঙ্গলময় হউক সে কামনা করছি।

Tuesday, 10 September 2019

কুয়েতে বাংলাদেশ দুতাবাসে পিয়নের অমানবিক আচরণ

মোঃ বদরুল ইসলাম

https://www.facebook.com/badrulislamtaigar/videos/414093212794308/

কুয়েতে বাংলাদেশ দুতাবাসে গিয়ে সেবা নিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক। গত ০২ সেপ্টেম্বর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পানি পান করতে গিয়েছিলেন ঐ বাংলাদেশি শ্রমিক। দুতাবাসে কর্মরত পিয়ন ক্রমাগত ধমকিয়ে ঐ লোকের হাত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন, এবং তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বের করে দেন। নির্যাতনের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

নির্যাতন করা পিয়ন পদমর্যাদার ঐ কর্মচারী প্রতিদিনই দুতাবাসে আসা সেবা গ্রহনকারীদের সাথে বিরুপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন কুয়েতে  অবস্থিত প্রবাসীরা। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষার্থে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রবাসী শ্রমিকরা কুয়েত দুতাবাসে হামলা ও ভাংচুর করেছিল।

সেবাগ্রহীতা এক প্রবাসী শ্রমিকের ধারন করা ভিডিওচিত্রে দেখা যাচ্ছে কুয়েত দুতাবাসের নিচতলায় নামাজের সংরক্ষিত স্থানের পাশে কাগজপত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রবাসীকে সেখানে প্রবেশের অপরাধে ধমকাচ্ছেন এক দুতাবাসের কর্মচারী। পরে কেড়ে নেন ঐ প্রবাসীর মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র। দাক্ষা দিয়ে বের করে নিয়ে আসা হয় দুতাবাসের বারান্দায়। সেখানে কয়েকদফা মারতে উদ্যত হওয়া দুতাবাস কর্মচারী পরে থাকে ধরে নিয়ে যান দুতাবাসের নিচতলায় আরেক কর্মকর্তার কাছে। সেখানে বিচাররত অবস্থায় শেষ হয় ভিডিও।

গোপনে ভিডিও ধারনকরা প্রবাসী বলেন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পানি পান করতে ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন সেই যুবক। যোগাযোগ করা হলে কুয়েত বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি মোঃ আনিসুজ্জামান বলেন দুতাবাসের এক কর্মচারীরার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
             
                       মোঃ বদরুল ইসলাম।

Monday, 26 August 2019

শব্দ সন্ত্রাস বন্ধ হোক

লেখক: আব্দুল আউয়াল হেলাল
প্রতিষ্টাতা জকিগঞ্জ লেখক পরিষদ।

রাত বারোটা হওয়ার পথে। হুজুর ওয়াজ করছেন।বেশীরভাগ কথা অপ্রাসঙ্গিক। কিসসা কাহিনীর সাথে সাথে ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর কদর্য ভাষায় আক্রমণ তো আছেই। ঘটনাস্থলের চারিদিকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দুরেদুরে বিভিন্ন গাছের মগডালে জুড়াজুড়া লাউড স্পীকার বেধে দেয়া হয়েছে। ভাবখানা এমন যেনো শালা শুনবি না!  তুই শুনবি,তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীকে শুনতে হবে। বাড়ীতে গুরুতর অসুস্থ আমার মা।সঙ্গত : কারনেই রাত নয়টার মধ্যে তাঁর ঘুমিয়ে যাওয় উচিৎ। না হয় শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিশ্চয়ই আশপাশের গ্রামগুলোতে অনেক জটিল রোগাক্রান্ত মানুষজন থাকতেই পারেন।কে বুঝাবে এই অবিবেচক আয়োজনকারি এবং বক্তাকে। এর বিরোধিতা করলে পেট পুঁজারী কোন মোল্লা হয়তো তাকে নাস্তিক মুরতাদ ফতোওয়া দিয়ে দিতে পারে। দিক,সমস্যা নেই।
কিন্তু ভাববার বিষয় হলো- ইসলাম কি মানুষকে এভাবে কষ্ট দেয়া অনুমোদন করে। যদি করে থাকে তবে তার দলীল? আর যদি না করে থাকে তবে এই মোল্লাদের লাগাম টেনে ধরবে কে?
আমি মনে করি এগুলা নিঃসন্দেহে শব্দ সন্ত্রাস। এই  শব্দ সন্ত্রাস রক্ষা পেয়ে হলে এলাকায় এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।

ক্রসফায়ার জিন্দাবাদ মাহমুদ রাহমান

লেখকঃ মাহমুদ রাহমান
লেখক ও কলামিস্ট
মিশিগান, আমেরিকা।

সারাদেশ ঘুরে ক্রসফায়ারের গল্প এখন সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জে। প্রথম ক্রসফায়ারের কৃতিত্ব নতুন ওসি সাহেব মীর নাসেরের। যিনি ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষনা দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইতোমধ্যে। এই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় তার ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডও ফেইসবুকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকে তাঁকে ক্রসফায়ারের জন্য দন্যবাদ জানাচ্ছেন এবং মাদকের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের জন্য উৎসাহিত করছেন।

ফেইসবুকে আমার অনেক প্রিয় মানুষের স্ট্যাটাস ও কমেন্টসে ক্রসফায়ারের পক্ষে আনন্দ উল্লাস দেখে আমিও আনন্দিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তুঅপরাধ প্রবণ  ক্রসফায়ার কেন একটা দেশে প্রয়োজন হয় তা যখন চিন্তা করি আঁতকে উঠি।কোন দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর যখন পুলিশ ও সাধারণ জনগনের কোন রকম অাস্থা থাকেনা তখন ক্রসফায়ার জনপ্রিয় হয়।এই জনপ্রিয়তা এক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বেচ্ছাচারী দুর্নীতিগ্রস্থ ও অপরাধপ্রবণ করে ফেলে। যার জলন্ত উদাহরণ নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার। এভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় অংশ যদি কখনো বিপথগামী হয়ে যায় তাহলে দেশ পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়তে বাধ্য। অর্থাৎ ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড একটি সমাজের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও দেশের অকার্যকর পরিস্থিতির আলামত।  এ আলামত দেখে সচেতন মানুষের আনন্দিত হওয়ার বদলে শংকিত হয়া উচিৎ।

অনেকদিন থেকে মাদকের যন্ত্রণায় জকিগঞ্জের মানুষ অতিষ্ঠ। অনেক তরুণ যুবকের জীবন ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে মাদকের ছোবলে। মাদকের বিরুদ্ধে ওসি সাহেবের জিরো টলারেন্সের ঘোষনা আমাদেরকে আশাবাদী করেছে। কিন্তু ক্রসফায়ারের মত শর্টকাট পথে না গিয়ে আইনি পদ্বতি অবলম্বন করে এগিয়ে যাওয়াই সম্ভবত
সঠিক পথ। গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারের মত উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটি ব্যবহারের পরামর্শ না দিয়ে একজন দক্ষ চিকিৎসকের মত কাজ করুন। সস্থা বাহবায় গা ভাসিয়ে বেঅাইনী শর্টকাট পথে অপরাধ দমন করতে যাওয়া উচিৎ কি-না ওসি সাহেবের অভিজ্ঞতা ও পেশাগত বিচক্ষণতা দিয়ে বিবেচনা করা উচিৎ। যারা এ কাজে ওসি সাহেবকে উৎসাহিত করছেন তাদেরও বিবেচনা করা উচিৎ।

আপনার যারা আজ সাংবাদিক ও সরকারি দলের লোক হিসেবে আপাতত নিরাপদ বোধ করছেন তাদের জন্য বলছি। ধরুন, আপনার প্রতিপক্ষ বা প্রতিযোগী কোন সাংবাদিক যখন আপনাকে হত্যা করাতে চাইবে তখন হয়তো আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোন অংশকে নারায়গঞ্জের মত ভাড়া করতে পারে।এ ক্ষেত্রে ঐ সাংবাদিকের নামে আগে দু' একটি নামলা থাকলেই চলবে। এমনিভাবে নিজ দলের মধ্যে পদ পদবির কারনে প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে। কোন দুষ্টু  লোকের প্রতিযোগী হিসেবে আপনি দাঁড়ালে এবং সে যদি দুষ্টু কোন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পায় তাহলে আপনার পরিণতিও করুণ হতে পারে। হয়তো এসব উদাহরণ এই ওসি সাহেবের ক্ষেত্রেও প্রয়োজ্য নয়। কিন্তু সব ওসি সাহেবরা যে খুব ভালো তা কেউই
হলফ করতে পারবেননা। আর ঐ ওসি সাহেব জকিগঞ্জের শেষ ওসি নন, উনার পরেও আরও অনেক ওসি আসবেন। ক্রসফায়ার জনপ্রিয় হলে ভবিষ্যতে এরকম দুষ্টু লোকেরা অন্যায় অবিচারের সুযোগ নিতে পারে।তাই রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে সবারই পদক্ষেপ নেউয়া উনিৎ।

জানি এসব কথা এই রাষ্ট্রে এখন হাস্যকর। তবুও লিখছি একটু চিন্তা করার জন্য। আজ যাদের চিন্তা করার সুযোগ হবেনা, অধুর ভবিষ্যতে পরিস্তিতির শিকার হয়ে চিন্তা করার সুযোগ যে পাবেন- সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।

আগষ্ট ২৫/২০১৯.
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।