Thursday, 28 May 2020

এই করোনা পরিস্থিতিতে আপনি ঘর থেকে বের হলে যা করবেন।

ডা. মহসীন আহমদ :; বর্তমানে সারা বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। আশেপাশে কে কী করছে; তা দেখার দরকার নেই, নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে, এটাই এখন একমাত্র করণীয়।

ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। অন্তত বছরখানেক এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অতি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যরা কি ব্যবস্থা নিবেন; তা নিয়ে এই লেখা।

• ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পাতলা সুতির পুরাতন ফুল হাতার জামা /পাঞ্জাবি ও একটু লুজ ফিটিং প্যান্ট / পাজামা পরে বের হবেন। জিন্স অথবা টাইট ফিটিং ড্রেস না পরাই ভালো। জুতা ও মোজা অবশ্যই পরবেন। অবশ্যই সার্বক্ষণিক মাস্ক পরে থাকতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়া বাকিরা পিপিই পরবেন না।

গ্লাভস ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সারাদিন একটা গ্লাভস পরে থাকলে লাভের চেয়ে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি। বরং সঙ্গে হেক্সিসল অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।

• পাতলা, লুজ ফিটিং পুরাতন সুতির কাপড় পরার কারণ হল, এটি আরামদায়ক এবং লম্বা সময় পরিধান করে থাকলেও ঘামের সমস্যা কম হবে। বাসায় ফিরে গোসল করেই পরিধেয় কাপড় ধুয়ে ফেলা সহজ হবে এবং তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

নিজের কাজ নিজেই করার অভ্যাস করতে হবে। বাসার বাইরের গৃহকর্মীদের করোনাকালে বাসায় ঢুকতে দেবেন না। এটা আপনার ও পরিবারের জন্য আত্মহত্যার শামিল।

• তিন স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা উচিত সবার। কাপড়ের মাস্ক কোনো ভাইরাস সুরক্ষা দিতে পারে না। যেখান সার্জিক্যাল মাস্ক ৮০ ভাগ সুরক্ষা দেয়।

সেক্ষেত্রে আমরা ৫টি মাস্ক বাসায় রাখতে পারি। যত্ন করে ব্যবহার আর সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব। প্রথম মাস্কটি ব্যবহারের পরে না ধুয়ে একটি পলিথিনে ভরে বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে দিবেন। এর পর দ্বিতীয়টি ব্যবহার করবেন, এভাবে প্রথমটি আবার ষষ্ঠ দিনে ব্যবহার করবেন।

কিন্তু কোনো কারণে ছিঁড়ে গেলে একটি বদ্ধ ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। অনেকে কথা বলার সময় মাস্ক নামিয়ে কথা বলেন। সেটা কোনোভাবেই করা যাবে না।

মাস্কের সামনের অংশে হাত দেয়া যাবে না, এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে নিয়মিত বের হতে হয়, তারা বাসায়ও মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে বাসার অন্য সদস্যরা নিরাপদ থাকবে।

• বাংলাদেশে সার্জিক্যাল মাস্ক অপ্রতুল বিধায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এর সরবরাহ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যরা ঘরে তৈরি সুতির সাধারণ মাস্ক পরবেন।

মাস্ক একটু বড় আকারের বানাবেন যাতে চোখের নীচ থেকে থুতনি পর্যম্ত আবৃত থাকে। মাস্কের সামনের অংশে কোনভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। মাস্ক প্রতিদিন বাসায় ফিরে ধুয়ে ফেলবেন।

যাদের জরুরি প্রয়োজনে নিয়মিত বের হতে হয়, তারা বাসায়ও মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো হয়। এতে বাসার অন্য সদস্যরা নিরাপদ থাকবে।

• চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কারো পিপিই পড়ার প্রয়োজন নেই। পিপিই পড়ে শুধুমাত্র একটা রুমে অথবা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। পিপিই পড়ে খাওয়া দাওয়া এমন কি টয়লেট করা যাবে না। চিকিৎসকরাও নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে পিপিই পড়ে বের হবেন না।

• পিপিই নির্ধারিত এলাকায় খুলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে এলাকা ত্যাগ করবেন। রাস্তা ঘাটে পিপিই পরা অপরাধ, এতে আপনি প্রকারান্তরে অন্যের ক্ষতি করছেন।

পুরো পিপিই একটা ইনফেক্টেড বোমার মতো। এটা পরে হয়তো আপনি সুরক্ষিত, কিন্তু আপনার আসেপাশের সবাই অরক্ষিত, এটা মনে রাখবেন। বাসায় এটা পরে এলে অন্যরা সহজেই ইনফেক্টেড হয়ে যাবে। এটা খোলার সময়ে আপনি নিজেও ইনফেক্টেড হতে পারেন।

পিপিই ব্যবহারের প্রশিক্ষণের অভাবই চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের এক সঙ্গে ইনফেক্টেড হওয়ার প্রধান কারণ।

• গ্লাভস ব্যবহার করে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি ঘন্টায় ২৫ বার মুখের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়। গ্লাভস পরে আপনি মুখের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিলে ইনফেক্টেড হয়ে যাবেন।

সেক্ষেত্রে বার বার গ্লাভস পরিবর্তন করতে হবে। গ্লাভস না পরলে আপনি বার বার হাত পরিষ্কার করবেন, সেটাই শ্রেয়। দরজা, লিফটের বাটন, বৈদ্যুতিক সুইচ ধরার সময় হাতের কনুই ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।

• হাত ধোয়া কিংবা পরিষ্কারের বিকল্প নেই। সারাদিন বার বার সাবান দিয়ে কমপক্ষে ৪০ সেকেন্ড হাত ধুইতে হবে।

পানি ও সাবান না থাকলে হেক্সিসল অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পুলিশ, আর্মি, সাংবাদিকসহ যারা রাস্তাঘাটে পাবলিক সার্ভিসের কাজ করেন, তাদেরকে পিপিই কিংবা গ্লাভস না দিয়ে পর্যাপ্ত মাস্ক, হেক্সিসল / হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা প্রয়োজন।

তারা প্রতি ঘণ্টায় নিয়মিত চারবার হাত পরিষ্কার করবে। ইনফেক্টেড জায়গা স্পর্শের সন্দেহ হলেই সাথে সাথে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

• সবাইকে জুতা ও মোজা পরার অভ্যাস করতে হবে। ঘরে ঢুকার আগে জুতার তলা অবশ্যই ব্লিচিং পাউডারের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মোজা প্রতিদিন ধুইতে হবে।

• বাইরে বের হলে ৬ ফুট শরীরিক দূরত্ব বজায় রাখা উত্তম, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তাই গণপরিবহন পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। বাংলাদেশে শহরগুলো খুব ছোট, খুব সহজেই হেঁটে চলাচল করা সম্ভব। তাই, হাঁটার অভ্যাস করুন, শরীর আর মন দুটোই ভালো থাকবে। প্রয়োজনে সাইকেল বা নিজস্ব বাহন ব্যবহার করবেন।

আপনার প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার থেকেও আপনি ইনফেক্টেড হতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজে ড্রাইভ করুন অথবা ড্রাইভারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। রাস্তাঘাটে, অফিসে, বাজারে মানুষ আপনার ঘাড়ে এসে পড়তে পারে, আপনি নিজ দায়িত্বে ৩-৬ ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন।

• বাজার খোলা জায়গায় করা ভালো। কারণ, বদ্ধ সুপারশপে এসি থেকে ইনফেক্টেড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলবেন। সেলুনে চুল কাটাবেন না, বাসায় নিজে অথবা অন্যের সাহায্যে চুল কাটাবেন।

Saturday, 16 May 2020

ব্রাজিলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত, একমাসে পদত্যাগ করেন দুই সাস্থ্যমন্ত্রী।

ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমণ পাওয়া গেছে ১৫ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে, যা দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। তাতে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ২২৩ জন।
চব্বিশ ঘণ্টায় ব্রাজিলে কভিড-১৯-এ মৃত্যু হয়েছে আরও ৮২৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮১৭ জনে। বৈশ্বিক আক্রান্ত-মৃত্যু উভয় তালিকাতেই ব্রাজিলের অবস্থান এখন ষষ্ঠ।
এদিকে আল-জাজিরা জানিয়েছে, দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনাভাইরাসের আক্রান্তের দিনই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইশ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উঠতির দিকে থাকায় সরকারের লকডাউন শিথিলের বিরুদ্ধে মত দেন টেইশ। সেই সঙ্গে করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগেও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। এসবের জন্য টেইশকে ‘ভিতু’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বলসোনারো।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রাজিল সরকারের একজন কর্মকর্তা। এই নিয়ে গত এক মাসে দেশটির দুজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্ব ছাড়লেন। গত ১৬ এপ্রিলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইস হেনরিক মেনদেতা পদত্যাগ করলে দায়িত্বে নেন টেইশ।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া বলসোনারোকে ধন্যবাদ দেন টেইশ। জানান, যে কয়দিন দায়িত্ব পালন করেছেন তাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়েছেন। তবে কেন পদত্যাগ করছেন এ ব্যাপারে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
বিশ্বে করোনার অন্যতম হটস্পট এখন ব্রাজিল। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী লকডাউন বিরোধী। এর কারণে গত এপ্রিলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তখনকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক মেন্ডেটা। এবার একই কারণে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইসও পদত্যাগ করলেন।

   

ভারতে আর একজন মুসলিম নির্যাতিত হলে ভারতীয়দের আমিরাতে ঢুকতে দেয়া হবেনা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজ’পরিবারের সঙ্গে যুক্ত প্রিন্সেস হেন্দ আল কাসেমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম’লাইনে বিদ্বেষপূর্ণ ও ইসলা’মোফোবিক মন্তব্যের বিরু’দ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যাচ্ছেন।

এসব মন্ত’ব্যের বেশিরভাগ আসছে আরব আমিরাতে কর্মরত ভার’তের হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছ থেকে। -সাউথ এশিয়ান মনিটর, সিএনএন, নিউজ এইট্টিন

এতে উদ্বিগ্ন দেশটিতে নিযুক্ত ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর। ভারতীয় নাগরিক’দের সম্বন্ধে বলেন যে, বৈষম্য আমাদের নৈতিক বুনন ও আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং আমিরাতে বাস করা ভারতী’য়দের এটা মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে কিছু ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে একই স’ঙ্গে বেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই রাজকন্যা।

তিনি বলেন, আমিরাত ও ভার’তের সম্পর্ক শত বছরের পুরনো। কিন্তু এই প্রবণতা নতুন। ভারতী’য়দের কাছ থেকে আগে কখনো এমন বিদ্বেষমূলক আচরণ আমরা পাইনি।

প্রিন্সে’স হেন্দ যদিও স্বীকার করেন যে, কিছু ব্যক্তির এ ধরনের মন্তব্য আরব আমি’রাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ের প্রতিনিধিত্ব করে না কিন্তু তিনি বেশ কায়দা করে ভারতী’য়দের জন্য একটি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন এভাবে: শুধু মুসলিম ও খ্রিস্টান আমরা কাদে’রকে আমিরাতে জায়গা দেবো সেটা বেছে নিতে ভারত কি আমাদেরকে বাধ্য করছে? আমরা এই প্রশ্ন তুলিনি।

আমাদের কাছে তারা সবাই ভারতীয়। তারা ভারতীয় মুসল’মান বলে আমরা শুধু তাদের সঙ্গে কাজ করবো ,এভাবে কাউকে আমরা আলাদা’ভাবে ভাগ করিনি। দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী আরব আমিরাতে প্রায় ৩৫ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যারা দেশটির জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ। ভারতী’য়রাই সেখানে সবচেয়ে বড় বিদেশী জাতিগোষ্ঠী।

প্রিন্সেস হেন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমি যদি প্রকা’শ্যে বলি যে ভারতীয় হিন্দুদের আমিরাতে মেনে নেয়া হবে না, তাহলে ভারতীয়দের কেমন লাগবে? প্রতি’বছর আমিরাত থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমি’ট্যান্স ভারতে যায় – গত বছরও গিয়েছে। ভাবুন, সেটা বন্ধ হয়ে গেলে কেমন হবে? ভারতীয়রা এখানে কঠোর পরি’শ্রম করে। আমি মনে করিনা তারা ওইসব লোককে পছ’ন্দ করবে যারা তাদের ভুল প্রতি’নিধিত্ব করছে। তিনি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন উল্লেখ করে প্রিন্সেস বলেন যে এ কারণে তার উদ্বে’গ নিয়ে ভারত সরকা’রের সঙ্গে কথা বলেন’নি। তবে তার সঙ্গে সাবেক ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত নবদীপ সুরির যোগা’যোগ রয়েছে। তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে প্রিন্সেসের বক্তব্য ‘জোরালো ও স্পষ্ট’।

প্রিন্সেস বলেন, তার দেশে বিদ্বে’ষমূলক বক্তব্য অবৈধ। তিনি ঘৃণা থামা’তে তার কণ্ঠ সরব করে যাবেন। কারণ তিনি ভার’তের বন্ধু।


১০ টাকা দামের চালের তালিকায় আওয়ামিলীগ নেতার স্ত্রী মেয়ে সহ ১৩ জন।


প্রথম সময় ডেস্ক: ভিক্ষুক তালিকায়  স্ত্রী-মেয়েসহ ১৩ স্বজনের নাম ডিলারশীপ হারালেন ব্রাম্মনবাড়ীয়ার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা

শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওই নেতার নাম মো. শাহ আলম। বুধবার বিকেলে তার ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জেলা ওএমএস কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানিয়েছেন।

আইনে সুযোগ না থাকায় এ ঘটনায় ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করার পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। মো. শাহ আলম ব্রাহ্মণাবড়িয়া পৌরশহরের কাউতলী এলাকার ওএমএস-এর ডিলার ছিলেন।সূত্র: বিডিনিউজ২৪

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ৮৪ ধনী ব্যক্তি ও দ্বৈত নাম, এক পরিবারের একাধিক নাম এবং ঠিকানা খুঁজে না পাওয়া এমন আরও ৭ জনসহ মোট ৯১ জনের নাম ওএমএস বরাদ্দের কার্ডের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Friday, 15 May 2020

ঘুমিয়ে আছেন প্রশাসন ও ব্যারিস্টার সুমন

 হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের সরকারি নগদ প্রণোদনার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তালিকায় একই মোবাইল নম্বরের বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির নাম ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মাঝে একটি মোবাইল নম্বরে ৯৯ জন, একটিতে ৯৭ জন, একটিতে ৬৫ জন ও একটিতে ৪৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।

নম্বরগুলো চেয়ারম্যানের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। আবার একটি ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু পরিবার বসবাস না করলেও সেই ওয়ার্ডের তালিকায় তিনজন হিন্দু ব্যক্তির নামও রয়েছে। রয়েছে অনেক বিত্তশালী ব্যক্তির নাম। আবার স্বামী-স্ত্রীর নামও এসেছে তালিকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুড়িয়াউক ইউনিয়নের নগদ টাকা পাওয়ার তালিকায় ১১৭৬ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর মাঝে ৩০/৩৫টি নম্বর একাধিক নামের সাথে প্রদান করা হয়েছে। ০১৯৪৪৬০৫১৯৩ নম্বরে দেওয়া হয়েছে ৯৯ জনের নাম। চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আক্তার মিয়ার ০১৭৪৪১৪৯২৩৪ ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭ জনের নামে। চেয়ারম্যানের চাচা শাকিল হক এর ০১৭৮৬৩৭৪৩৯১ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬৫ জনের নামে। চেয়ারম্যানের গোত্রের নবীর মিয়ার ০১৭৬৬৩৮০২৮৪ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৪৫ জনের নামে। ১০/১২ জন করে নাম ব্যবহার করা হয়েছে অন্তত ৩০টি নম্বরে।

এদিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু লোকের বসবাস না থাকলেও তালিকার ৯৫৮, ৯৬৫ ও ৯৭৩ সিরিয়ালের তিনটি নাম হিন্দু ব্যক্তি। আবার ওই ইউনিয়নের বিত্তশালী আক্কল আলীর ছেলে সাবউদ্দিন এর নাম এসেছে তালিকায়। আরো অনেক বিত্তশালীর নাম পাওয়া গেছে তালিকায়।

তালিকার ১৬১ ও ১৬৩ নম্বর লোক দুজন স্বামী-স্ত্রী। তালিকার ৯৫১, ৮৫৫, ৮৫৩, ৮৫২, ৮৫১ ও ৭৮৪ নম্বর এর ছয়জন একই পরিবারের।মুড়িয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর নির্দেশে তিনি ১১৭৬ জনের মধ্যে আমরা ৭৩০ জনের নাম মেইল করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তার সিএ, স্টাফ দুর্লভ ও পিআইও অফিসের মঈন উদ্দিন মিলে অবশিষ্ট তালিকা করেন। পরে ইউএনও এবং তার সিএর করোনা হলে তারা আইসোলেশনে যান। ফলে তালিকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

আর তালিকাটি ছিল খসড়া। আমার কোনো স্বাক্ষর নেই। কোনো টাকাও দেওয়া হয়নি। মূলত আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে খসড়া তালিকা নিয়ে অপপ্রচার করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সরকারি নম্বরটি কেউ রিসিভ করেননি। লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ জানান, শুধু মুড়িয়াউক ইউনিয়নই নয় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই তালিকায় এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

তালিকা প্রণয়নে আমাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যান মেম্বাররা নিজেদের লোকের নাম ও এক নম্বরে অনেক নাম ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক প্রেরণ করে যাচাই করলেও অনেক অনিয়ম রয়েছে।

আবার অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, মেম্বার থাকলেও দলের দরিদ্র লোকজনের নাম না দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর ও শ্রমজীবীদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবার আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই অর্থকে সঙ্কটে পড়া মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ 

সরকারের ঈদ সহায়তায় ওয়ার্ড সদস্যের শ্বশুর বাড়ির একাদিক নাম ও মৃত মানুষের নাম।

জকিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ সহায়তা তালিকায় ব্যয়াপক অনিয়ম,দূর্নিতি,স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতি অভিযোগ উঠেছে ও মৃত মানুষের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।

এই তালিকায় জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদ্দিনের সহযোগিতায় যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তা ঘেঁষে দেখা যায় ২জন মৃত মানুষের নামসহ একই পরিবারের ২ জনসহ ও নিজের ভোটার দেখে দেখে তালিকা প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে

এরমধ্যে ৩৫টি নামে জালিয়াতি নাম ঠিকানায় ভূল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে
ক্রমিকে থাকা,২৫৬,২৫৭,২৬৩,২৬৪,২৬৫,২৮১,২৮৮,২৮৯,২৯০,২৯১,২৯৮,৩০৩,৩০২,৩০৫ এসব নামের ঠিকানার ভূল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

৩১০,২৭৯ ক্রমিকের মানুষ মৃত বলে জানা গেছে,৩০৬,৩০৭,৩২২,৩২৪,২৯৩,২৯৪ একই পরিবারের বলে জানা গেছে,
২৬৮,২৭২,৩০৩,৩২৬,৩২৭,৩১৩,৩১৫,৩২৫,৩৪১,৩৪৩ এরা অন্যান্য সুবিধাভোগী ও উনার নিজস্ব লোক বলে জানা যায়
৩২৮,৩২০,৩২৩,৩৩১,৩০৩ ঠিকানা সঠিক নয় এরমধ্যে একজন অন্যান্য সুবিধা পান।
২৮৬ নিজের নতুন শশুর আব্বা বলে জানা গেছে।
ভোটার সংখ্যা অনুপাতে ও দরিদ্র দিনমজুর বেশি দরগাবাহার পুর থাকলেও তিনি নাম জালিয়াতি করে দরগাবাহারপুরের মানুষের নাম দিয়ে ঠিকানায় জিয়াপুর লিখে বিশেষ সুবিদা গ্রহণের চেষ্টায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্নভাবে ৭ জন মানুষের নাম রিকুয়েষ্টে এসেছে বাকি সবগুলো নাম উনার ইচ্ছে মত দেওয়ায় এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে
একটি নিরেপক্ষ তদন্ত করে সঠিক তালিকা তৈরির দাবি করেন ভুক্তভোগী দিনদিনমজুর মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুদান কে প্রশ্নবিদ্ধ করা জন্য মেম্বারের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

সুত্রঃঃ এস টিভি

সিলেটের নতুন প্রজন্ম মেয়ের বাড়ি ইফতারি প্রথা বন্ধ করতে চায়।

ইফতারি প্রথা শুধু সিলেট না দেশের আরো কিছু জেলায় ইফতার ছাড়া আরো কিছু কুসংস্কার রয়েছে। গ্রীষ্ম কালে মেয়ের জামাইর বাড়ি ফল আম কাঠাল দিতে হয় সাথে হরেক রকম ফল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আম কাঠাল আর ইফতার প্রথা একি সিজনে আসে তাই একি সময় দিতে হয়, কেউ আগে পরে সামর্থ্য অনুযায়ী দেয়। অনেক মেয়ের বাবা আছে মেয়ের বাড়ি ইফতারি  দিয়ে মেয়ের ইজ্জত বাচাতে বড় লোকের কাছে গিয়ে সাহায্য চেয়ে, আবার কেউ ভিক্ষে করে, কেউ দু তিন মাস আগে থেকে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে। অনেক দিন মজুর বাবা-মা এসব মৌসুমী প্রথা পালন করতে সর্বস্বহারা হচ্ছে।                 

সিলেটে ইফতার প্রথা পুরাতন এক ঐতিহ্য। বাবার বাড়িতে থেকে রমজানে মেয়ের বাড়িতে ইফতার পাঠানো হয় । সে ইফতার শুধু মেয়ের বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। ছেলের শ্বশুড়বাড়ি থেকে যেদিন ইফতার আসবে সেদিন বন্ধুবান্ধ আর আত্মীস্বজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সেই সাথে একটি নিরব প্রতিযোগিতা চলে- কার শ্বশুরবাড়ি থেকে কত বেশী আইটেমের ইফতার এলো, কে তার শ্বশুরবাড়ির ইফতার কয়শত মানুষকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াল। যার শ্বশুরবাড়ী থেকে যত বেশী ইফতার আসে তার তত সুনাম। তেমনি যে মেয়ের বাবার সে সক্ষমতা কম, তিনি ইফতারি দিয়ে খুশি করতে না পারলে- অনেক ক্ষেত্রে কথা শুনতে হয়। এই বছর করোনা সংকটের কারণে প্রথম দিকে এই ইফতার পাঠানো থেকে নিস্তার মিললেও। দোকানপাঠ খোলায় অনেকেই ইফতারের পাঠিয়েছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং করোনা সংক্রমণের ভয় থাকায় তা খুবই নগণ্য। করোনা এক্ষেত্রে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

এবারের ঈদে কোলাকোলি না করে দুরত্ব বজায় রাখুন


করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত কাছের মসজিদে আদায়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঈদুল ফিতরের জামাত নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঈদুল ফিতরের জামাতকে সামনে রেখে মোট ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের দিন মুসলমানরা মসজিদ কিংবা ঈদগাহে দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করে থাকেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবজনিত কারণে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এ সময় দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ওলেমাগণও পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি পেশ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে জোহরের ওয়াক্ত থেকে কিছু নির্দেশনা পালনের শর্তে মসজিদসমূহ সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাজের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে উন্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামায়াত পরিহারের নির্দেশনা প্রদান করে বর্তমানে বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুযায়ী ঈদের জামাত আয়োজন সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করেছে।

এর ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশাবলি অনুসরণ করে বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

যেসব শর্তে হবে ঈদের জামাত

• ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল-ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

• ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

• করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

• মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

• প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

• ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

• ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

• এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

• শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

• সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

• করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহারের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

• করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

• খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

এদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের জামাতের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে, অর্থাৎ ঈদের জামাতের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা-সাপেক্ষে ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের নামাজের ক্ষেত্রেও বর্তমানে বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

চাঁদ দেখা-সাপেক্ষ আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের দিন মসজিদ কিংবা ঈদগাহে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা।

করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও সাত দফায় ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই, বরং দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তবে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান, শপিংমল, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।