Thursday, 7 December 2023

বগলে জুতা নেয়া রাতে বিছানায় কিভাবে ঘুমাতে হয় এমন প্রশিক্ষণ চাই না।

দেশে নতুন কারিকুলামে শিক্ষা দেয়ার উপযোগি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনেকগুলো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। এরমধ্যে কিছু অবশ্য ফেইক কিংবা ভিন্ন কোনো দেশ ও বিষয়ের ভিডিও- যা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য কেউ কেউ নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে প্রচার করছেন। তবে অনেকগুলো ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে ছাত্রদের শেখানোর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া আসল ভিডিও বলে অনেকে জানিয়েছেন। 

আমি অবশ্য এগুলো দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি। কয়েকটি ভিডিও যেমন- হাঁসের প্যাক প্যাক শব্দ করে দুই হাতকে ডানা বানিয়ে সামনে চলা, ব্যাঙের লাফ, ডিম ভাজি, বিছানা গুছানো ইত্যাদি অত্যন্ত চমৎকার। প্রতিদিন যদি কোনো শিক্ষক আধ-ঘন্টা হাঁস ও ব্যাঙের চলাফেরা লাফিয়ে লাফিয়ে দেখান তাহলে ছাত্রদের যা-ই শেখা হোক না কেন শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক শরীর চর্চা হয়ে যাবে। মধ্য বয়সে ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা সবার জন্য জরুরি। শিক্ষকরা এ প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান যদি নিয়মিত ক্লাসে প্রয়োগ করেন তাহলে শিক্ষক-ছাত্র সবাই সুস্থ থাকবে। তারপর ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ি থেকে ডিম ভাজি, বিরিয়ানি, ভূনা খিচুড়ি তৈরী করে নিয়ে আসলে দুপুরের খাবার দাবারও খারাপ হবে না। শরীর চর্চা ও সুষম খাবার গ্রহনের পর রাতে গুছানো বিছানায় চমৎকার ঘুম হবে। আর বিনোদনের জন্য নাচ-গান তো আছেই। এ পর্যন্ত ভালোই। ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছানোর দৃশ্য দেখে আমি অবশ্য কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। ছাত্র-ছাত্রীরা বড় হয়ে কীভাবে ঘুমাবে সেই দৃশ্যও যদি প্রদর্শণ করতে হয় তাহলে ইজ্জতের সর্বনাশ হয়ে যাবে! অবশ্য দয়া করে পাঠ্যসূচি এতদূর পর্যন্ত যায়নি। শেখানোর জন্য সবকিছু প্রদর্শণ করতে হয় না- এ বোধটুকু আছে বলেই তারা আমাদের এমন দৃশ্য দেখানো থেকে বিরত থেকেছেন। তবুও মানুষ সমালোচনা করছে।

শিক্ষামন্ত্রী সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, রান্না-বান্না এগুলো তো বাসায় করার কথা নয়। স্কুলেই এগুলো শিখবে। অবশ্য বাংলাদেশের কয়টি স্কুলে রান্না-বান্নার সরঞ্জাম কেনার বাজেট ও কিচেন সেট-আপ দেয়া আছে তা তিনি বলেননি। বলার প্রয়োজনও নেই। যা বলেছেন তা যদি না-ই বলতেন তাহলে তাঁকে দিয়ে বলানোর সাধ্য কারো ছিল না। জনগণের কথাতে কান দেয়ার সময় এখন আমাদের মান্যবর রাজনীতিকদের নেই। জানা গেছে ফিনল্যান্ডের কারিকুলামের অনুসরণে বাংলাদেশের কারিকুলাম নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এবার প্রাইমারি ও হাইস্কুলের কয়েকটি ক্লাসে নতুন বই দেয়া হয়েছে। আগামী বছর অন্যান্য ক্লাসে দেয়া হবে। সরকারের অতি উন্নত (!) একটি প্রকল্প নিয়ে আমজনতার হৈচৈ শুনে অনেকেই অতি-বিরক্ত। আমজনতা না জেনে না বুঝে সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করে! 

আসলে পাঠ্যপুস্তক প্রণেতাদের সঙ্গে আমজনতার কোনো যোগাযোগ নেই। যারা এসব প্রকল্প নেন তাদের কয়জনের সন্তান এই পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সাধারণ স্কুলে পড়বে কিংবা পড়েছে?  গ্রাম-বাংলার হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী যেসব স্কুল ও সামাজিক পরিবেশে পড়াশোনা করে তার সঙ্গে কয়জন কারিকুলাম প্রণেতার জানাশোনা রয়েছে! যাদের জন্য সিলেবাস তৈরী করা হয় তারা এবং যারা তৈরী করেন তারা- মূলত দুই গ্রহের ভিন্ন বাস্তবতার মানুষ। একপক্ষের কাছে আরেক পক্ষ অপরিচিত। তাই আমজনতা সমালোচনা করছে দেখে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অবাক হয়ে ভূত দেখছেন। আমজনতাও তাদেরকে চিড়িয়াখানার জন্তু ভেবে অবিরত প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। মাঝখানে সরকার সংশ্লিষ্ট  যারা বিষয়টি দেখার কথা তাদের সবদিক দিয়ে লাভ। প্রকল্প মানেই টাকা কামানোর অবারিত সুযোগ। তারা প্রথমে এই প্রকল্প থেকে হিসাবের টাকাগুলো লুটে নেবে। তারপর প্রতিবাদকারীদের কোনো কোনো প্রতিনিধিকে ডেকে নেবে তাদের বাসভবনে। মন দিয়ে এমনভাবে শুনবে যাতে মনে হয় এগুলো তারা এইমাত্র প্রথম শুনছে। তারপর অর্ডার দিবে এগুলো বদলানোর। যারা দেখা করতে গেলেন তারা মহাখুশি! আমরা নেত্রী/নেতা কে বুঝিয়ে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। স্থানীয়ভাবে এই নেতারও দাম বেড়ে যাবে। আসল কাহিনি হচ্ছে আরেকবার পরিবর্তন করতে আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। আবার টাকার গন্ধ নাকে লাগবে। উফ! কী মজা!

উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় না নিয়ে হুবহু কপি করতে গেলেই সমস্যা। তখন দেশীয় শিক্ষার বারোটা বাজবে, অন্যদিকে বিদেশি শিক্ষার সুফলও পাওয়া যাবে না। তাই প্রয়োজন কাস্টমাইজ করে প্রয়োগ করা। এখন কাস্টমাইজ করার সময় ও ধৈর্য্য কারো নেই। তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প করতে হয়। কারণ প্রকল্প মানেই অনেক স্তরে অনেক টাকার সুগন্ধি ছড়ানো!

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। তখন ক্লাসে বেত ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আমাদের সময়ে শিক্ষকেরা ক্লাসে আসতেন চক, ডাস্টার ও বেত- এই তিনটি জিনিস নিয়ে। বেতের ভয়ে আমরা দুষ্টুমি না করে শিক্ষকদের কথা শুনতাম। বেত ছাড়া ক্লাস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তা শুনার জন্য শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছিলাম। বেশিরভাগ শিক্ষকই বলেছিলেন, এখনকার ক্লাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন। যার ইচ্ছা সে শিখবে, যার ইচ্ছা সে দুষ্টুমি করবে। ছাত্র-ছাত্রীকে শাস্তি দিয়ে কোনো শিক্ষক নিজে বিভাগীয় শাস্তি পেতে চান না। তখন আমারও মনে হতো উন্নত বিশ্বে শাস্তি ছাড়াই উন্নত শিক্ষা দিতে পারলে আমাদের দেশে পারবে না কেন! আমেরিকায় আসার বছর খানেক পর আমার প্রাইমারী স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা ক্লাসে দুষ্টুমি করলে শিক্ষক কী করেন? সে জানালো, তাদের ক্লাসে সবুজ, হলুদ ও লাল কার্ড রয়েছে। কেউ দুষ্টুমি করলে তাকে হলুদ ও লাল কার্ড দেখানো হয়। কারো ভাগ্যে এরকম কয়েকটি কার্ড জমে গেলে তাকে পরবর্তীতে বড় শাস্তি দেয়া হয়। যেমন- রিসেসের সময় সবাই খেলবে শুধু শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রটি একা বসে থাকবে। আবার কখনও কখনও দুপুরের খাবারের রুমের এক কোণে শাস্তি হিসেবে না খেয়ে বসে থেকে সবার খাওয়া দেখবে। গত বছর লন্ডন শহরে বোনের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে শুনলাম দুষ্টুমির জন্য স্কুল ছুটির পর আধাঘন্টা/এক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয় ছাত্র-ছাত্রীকে। একজন শিক্ষককে ২৫/৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস সামলাতেও এরকম শাস্তির আয়োজন করতে হয়। ইউরোপ-আমেরিকায় বেত নেই তা সত্য। কিন্তু বিকল্প যা আছে তা কি প্রয়োগের সুযোগ বাংলাদেশের বাস্তবতায় আছে? যদি না থাকে তাহলে একজন শিক্ষক ৮০ থেকে ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস কীভাবে সামলাবে তা কেউ ভাবে না। মূখস্ত বুলি আওড়ায় উন্নত দেশে পারলে আপনারা পারবেন না কেন? অবশ্য আমি ক্লাস সামলানোর অজুহাতে কিছুসংখ্যক শিক্ষকের মাত্রাতিরিক্ত অমানবিক ছাত্র নির্যাতনের ঘোর বিরোধী। এসব অসুস্থ শিক্ষকদের চাকরি থাকাই উচিত নয়। 

প্রসঙ্গে ফিরে যাই। নতুন কারিকুলাম নিয়ে কথা বলছিলাম এক  প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। তিনি জানালেন ক্লাস সেভেন পড়ুয়া তার মেয়ে বাসায় এসে বিরিয়ানী রান্না করে স্কুলে নিয়ে যেতে চায়। তিনি মেয়েকে বলেছেন তোমার শিক্ষকদের গিয়ে বলবে উনারা যেনো তোমাকে প্রথমে রান্না স্কুলেই শেখান। তারপর বাসায় প্র্যাকটিস করবে। আরেক প্রধান শিক্ষিকা সম্পর্কে ভাবী হন। তিনি জানালেন তাকে নাকি প্রশিক্ষণে বলা হয়েছিল নাচতে হবে। বুড়ো বয়সে নাচতে হবে শুনে তিনি খুব আপসেট হয়ে পড়েন। ভাগ্য ভালো ছিল তার নাচার টার্ন আসার আগেই নামাজের সময় হয়ে যায়। তিনি নামাজে গিয়ে একটু দেরি করে ফিরেন যাতে আর নাচতে না হয়।   

এবার একটি গল্প বলে শেষ করে নেই। এক ছেলে জুতার দোকানে গেলো তার জুতা কিনতে। একহাজার টাকা বাজেটে জুতা কিনতে হবে। তার পায়ের মাপের সব গুলো জুতা দেখলো, কিন্তু তার পছন্দ হচ্ছে না। কিছু সময় দোকানে হাঁটাহাটি করে দেখলো খুবই সুন্দর ডিজাইনের একটি জুতা। তার পায়ের মাপের অন্যান্য জুতার চেয়ে ডিজাইন দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি চামড়াও ভালো। শুধু সাইজে একটু বড়। ভাবলো সেও ধীরে ধীরে বড় হবে। এক সময় যেহেতু জুতার মাপে পা বড় হয়ে যাবে তাই একই দামে ভালো জিনিসটি কেনা দরকার। যেই চিন্তা সেই কাজ। বাসায় এসে জুতা পরে বাইরে যায়। কিন্তু জুতা তো পায়ে আটকায় না। নতুন জুতার শখে অনেক কসরত করে পায়ের সঙ্গে জুতা আটকে রেখে বেরিয়ে গেল। এক সময় আর কিছুতেই জুতা পায়ে আটকে রাখতে পারেনি। পা সামনে চলে যায়, জুতা পেছনে পড়ে রয়।  অবশেষে চমৎকার ডিজাইনের জুতাটি বগলে নিয়ে খালি পায়েই তাকে বাসায় ফিরতে হয়।  

আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা চিন্তা না করে কোনো ভিন্ন দেশের সুন্দর শিক্ষাব্যবস্থা অনুকরণ করতে গেলে ঐ ছেলেটির মতো পুরো জাতিকে একসময় জুতা বগলে নিয়ে হাঁটতে হবে। দয়া করে শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো পলিসি গ্রহনের আগে দশবার চিন্তা করুন। ঢাকা শহরের এসি রুমে না বসে প্রতিটি উপজেলায় যান। স্কুলগুলো দেখেন। শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলুন। তারপর এদেশের আর্থ-সামজিক পরিবেশ উপযোগী সিদ্ধান্ত নিন। 

মাহমুদ রহমান
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।

Monday, 20 November 2023

ফ্রী ভাতা অলসতা ভিক্ষার মতো।

কৃষক তাহির আলীর গল্প:-

বাংলাদেশের বাসিন্দা তাহির আলী একজন কৃষক। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিলো। কর্মঠ তাহির আলী কৃষি খামারের সবজি ফলমুল বিক্রি করে বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ সহ পরিবারের সকল ভরনপোষণ চালাতেন। ছেলে দুইটা প্রায়ই বাবার কাজে সহযোগিতা করতো। আর মেয়েটা ঘরে মায়ের সাথে গৃহপালিত মুরগী, কবুতরের দেখাশোনা সেবাযত্ন করে। লেখাপড়ার খরচ ছিলো ষষ্ঠ শ্রেণীর মাসিক ফি ২৫ টাকা, সপ্তম শ্রেণীতে ছিলো ৩০ টাকা তখন ছাত্রছাত্রীদের জন্য তেমন কোন ভাতা ছিলো না। কৃষক তাহির আলীর বয়স যখন ৫০ বছর গ্রামের মেম্বার সাহেব ৬০ বছর ধরিয়ে বয়স্ক ভাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে দিলেন। তাহির আলীর স্ত্রী অবশ্য আরো কয়েক বছর পরে বয়স্ক ভাতার অন্তর্ভুক্ত হন। তিনমাস ছয়মাস পরপর তাহির আলী ভাতার কিছু টাকা পান। তাই তিনি ভাবলেন আমার অভাব নেই। ধীরে ধীরে পরিশ্রম কমিয়ে নিলেন, অসুখে দেখা দিলো প্রতিমাসে দুই তিন হাজার টাকার ঔষধ কিনতে হয়। ছেলে গুলো আগের মতো বাবাকে সাহায্য করেনা। এদিকে বছর খানেক পরে তাহির আলীর স্ত্রী কাজ কাম না করায় বার্ধক্যজনিত রোগ দেখা যায়। আগের চেয়ে সংসারের আয়ের তুলনায় এখন ব্যয়ের হার বেড়ে গেছে। মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় তাহির আলীর স্ত্রী মারা যান। বড় ছেলে পা ভেঙ্গে পঙ্গু  হয়ে যায় লেখা পড়ায় বিপর্যয় হলে বাবা ভাই এক বোনের দায়িত্ব নিতে ছোট একটা মুদি দোকান খোলেন। দুই ভাই মিলে যখন কোনমতে এই দোকানের ব্যবসার আয় দিয়ে সংসার চালাতেন এর একবছর পরে বড় ছেলে প্রতিবন্ধী ভাতার অন্তর্ভুক্ত হন। ধীরে ধীরে ছোট ভাইকে মুদির দোকানে সহযোগিতা কমাতে তাকলেন। ছোট ভাই দোকানে কিছু সময় দিয়ে দোকান বন্ধ করে স্কুলে যায়। বড় ভাই ভাতার টাকা পেয়ে খুশী হয়ে বসে বসে অলসতা বাড়তে থাকে। এভাবে তাহির আলী কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি দেন। ঘরে অসুস্থ থাকায় ছয়মাস পরে তার মৃত্যু হয়।

Wednesday, 27 September 2023

হাসপালের ICU/ CCU তে মায়ের কাছে যাইতে আনসারদের দিতে হয় ৫০ টাকা।

হৃদরোগ হাসপাতালের CCU তে ভর্তি মা, ঔষধ ও পরীক্ষা করতে বারবার বাইরে যেতে হচ্ছে, যতবার ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে ততবারই আনসার সদস্যকে ৫০/১০০ টাকা ঘু ষ দিতে হচ্ছে, মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন, ডাক্তার জরুরী রক্ত দিতে বললেন, রক্ত কিনে CCU তে ঢুকবো আনসার ৫০ টাকার জন্য আটকে দিলেন, বললাম সকাল থেকে ৩ বার দিয়েছি এখন টাকা নাই, শুনেই #মারধর শুরু করে দিলো, বাঁশি বাজিয়ে আরো আনসার ডেকে এনে এক আতংক সৃষ্টি করে ফেললো, আমাকে বাঁচাতে এসে বাবা, বড়ভাই, বোন ও খালাও #গণপিটুনি খেলো, ঔদিকে রক্তের অভাবে মায়ের অবস্থা খারাপ হচ্ছে এদিকে আনসাররা আমাদের #মেরে বাথরুমে আটকে রেখেছে, কিছুক্ষণ পরে শুনলাম মা মারা গেছে...

মায়ের জানাযা দাফন রেখে এখন আমি পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি।

রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টরের আজ এমন বেহাল অবস্থা, সব জায়গায় চলছে অরাজকতা।

কপিঃ ভুক্তভোগী ছেলে

Saturday, 23 September 2023

মা এই বয়সে তোমরা পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার কথা

না স্যার আপনি ভুল করেন নি  । 
আপনি ভুল করতে পারেন না 

দীপেন  মাস্টার কে কদিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বছর পাঁচেক হলো তিনি অবসর নিয়েছেন। স্কুল আর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবতে ভাবতে তিনি তাঁর যৌবন অতিবাহিত করে দিয়েছেন। ঘর বাঁধা আর তার হয়ে ওঠেনি। স্কুল থেকে অবসর নিলেও তাঁর বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীদের নিত্য যাওয়া আসা লেগে আছে। এভাবেই তাঁর দিন কাটে। রোজ সকালে মধুর চায়ের দোকানে খবরের কাগজে চোখ বোলানো তাঁর চল্লিশ বছরের পুরোনো অভ্যাস। সেই মধুর বাবার আমল থেকে।বাড়িতে দুবেলা এখনো নিজের হাতে রান্না করে খান।একবেলার জন্য ও হোটেলে খাননা। আজকাল মধুর দোকানে আড্ডা টা একটু বেশি মারতেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীদের একটু সময় দেন।কিন্তু গত কয়েক দিন তাঁর কোনো খবর নেই। ছাত্র ছাত্রীরা ছাড়া তাঁর খবর নেওয়ার ও কেউ  নেই। জানা গেছে কয়েকদিন আগে দু একটা বই কেনার জন্য তিনি কলেজ স্ট্রীটের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন।তারপর আর ফেরেননি।

  দীপেনবাবু বরাবরই ট্রেনে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে ফ্লাই ওভারের নীচ দিয়ে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে হেঁটে হেঁটে কলেজ স্ট্রীট যান। ফুটপাত থেকে বহু দুষ্প্রাপ্য বই সংগ্রহ করেন। সেই নেশায় তাঁর পায়ে হাঁটা। তিনি হেঁটে চলেছেন। বয়স বেড়েছে গতি শ্লথ হয়েছে। বাম হাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফেলে একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলেন রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পাঁচ ছয়জন ছেলে মেয়ে একসাথে সিগারেট খাচ্ছে।মুহূর্তের মধ্যে তাঁর রুচিশীল মনটা ঠোক্কর খেলো।কোথায় যাচ্ছে বর্তমান যুবসমাজ! ছাত্র ছাত্রীরা একসাথে প্রকাশ্য রাস্তায় ধূমপান করছে ! গ্রামের এই সহজ সরল আদর্শবাদী মাস্টার শহুরে রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে বলে উঠলেন- "এ তোমরা কি করছো মা ? তোমরা তো কলেজে পড়তে এসেছো। পড়াশুনা বাদ দিয়ে এ কি করছো ? তোমরা মায়ের জাত হয়ে এইভাবে ছেলেদের সাথে ...ছি ছি।লোকে কি বলবে একবার ভাবলে না ?"

-"বুড়োটা জ্ঞান দিতে শুরু করলোরে।আমি আবার এসব নিতে পারি না।" বলে মুখটা বাঁকিয়ে একপাশে সরে গেলো একটা মেয়ে। অন্য একটি ছেলে হাত নাড়িয়ে বললো-"এই যে দাদু আপনার প্রবলেম টা কোথায়  ? যেখানে যাচ্ছেন সোজা কেটে পড়ুন না।কেনো আমাদের  মুডটা নষ্ট করছেন?"
-"সে কি বাবা। তোমাদের তো এখন জীবন গড়ে তোলার সময়। এই সময় নষ্ট করলে বাকী জীবন টা পস্তাতে হবে।আর মা জননীদের মুখে সিগারেট টা মানায় না.....। "আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অপর একটি মেয়ে অতি দ্রুত তাঁর সামনে এসে কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললো-" শুনুন আমরা খাচ্ছি আমাদের বাবার পয়সায়।তাতে আপনার কি ? আপনি মানে মানে ফুটুন তো।"বলেই দীপেন মাস্টার কে সামনের দিকে ঠেলে দিলো। মাস্টারের বহুদিনের সংস্কার হঠাৎ একটা অপ্রত্যাশিত ঠোক্করে আঘাত পেলো।স্বগতোক্তির মতো বলে উঠলেন-"এ তোমাদের কেমন শিক্ষা? গুরুজনদের সম্মান টুকুও দিতে পারো না ?" আগুনে যেন ঘি পড়লো। উত্তেজিত ছেলেমেয়ে গুলো রে রে করে তেড়ে এলো।
"আপনি যাবেন ?শুধু কথায় কাজ হবেনা মনে হয়। দে একটু ধুনো দিয়ে দে।"  বলেই সবাই একসাথে দীপেন মাস্টারের মুখের উপর সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে দিলো। বহু সংগ্রামের সাক্ষী এই গেঁয়ো মাস্টার ও কিছুতেই দমবার পাত্র নন।তিনি ও ক্রমে উত্তেজনার পারদ চড়াতে লাগলেন।অবশেষে বিতর্ক পৌঁছে গেলো চরম পর্যায়ে ......।

 আমহার্স্ট স্ট্রীট থানার পুলিশ এসে দুই পক্ষ কে থানায় নিয়ে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যে থানায় পৌঁছে যান সবচেয়ে কম বয়সী ও বেশি সুন্দরী মেয়েটির বাবা অরূপ দত্ত। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরের অত্যন্ত কাছের মানুষ এবং এলাকার  দাপুটে নেতা ও প্রোমোটার।.......কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলেমেয়ে গুলো বাড়িতে ফিরে গেলে ও দীপেন মাস্টার আর ছাড়া পাননি। তাঁর নামে শ্লীলতাহানির কেস রুজু করা হয়।  দুদিন পুলিশ কাস্টডিতে থাকার পর অবশেষে আদালতে তোলা হলো দীপেন মাস্টার কে।এতদিন তিল তিল করে তিনি যে সম্মানের ইমারত বানিয়েছিলেন তা এই দুদিনেই  ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে।চিরদিন যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের আপোসহীন লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন সেই তিনি আজ বোবা হয়ে  গেছেন। তিনি তিনদিন ধরে দেখে চলেছেন কিভাবে দশ চক্রে ভগবান ও ভূত হয়ে যায়। 

এজলাস কানায় কানায় পূর্ণ। এক সত্তরোর্ধ বুড়ো নাকি কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল।তার বন্ধুরা কোনো রকমে  তাকে রক্ষা করেছে। সেই কীর্তিমান বুড়োকে দেখতে আজ আদালত চত্বরে তিল ধারণের জায়গা নেই। মামলা শুরু হলো। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বোঝালেন আজকের দিনে যেভাবে নারী নির্যাতন,ধর্ষণ ও খুন বেড়ে চলেছে সেখানে এইসব নারী লোলুপ শয়তান দের উপযুক্ত শাস্তি না দিলে সমাজ রসাতলে যাবে। আরো অনেক সুঁটিয়া কান্ড ,কামদুনি কান্ড ঘটবে। সরকারি আইনজীবী র জ্বালাময়ী ভাষণে সম্পূর্ণ আদালত ফেটে পড়লো।এরপর জজসাহেব জিজ্ঞাসা করলেন আসামী পক্ষের আইনজীবী কে আছেন ? আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বহু কষ্টে গলায় জোর এনে দীপেন মাস্টার বললেন-"আজ্ঞে হুজুর আমার তো কেউ নেই , কিছুই নেই।আমি শুধু দুটো কথা বলতে চাই....."। তাঁকে থামিয়ে জজসাহেব বললেন "আপনার নাম- দীপেন্দ্র নাথ......
-"আজ্ঞে  দাস।"
-" বাড়ি .......?"
-"আজ্ঞে  শিবগঞ্জ, বাসন্তী। "
-" হ্যাঁ, বলুন কি বলতে চান।"
-"হুজুর,আমি সারাজীবন শিক্ষকতা করে এলাম।ছেলে মেয়েদের মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিলাম। সেই আমি কন্যাসম ছাত্রীদের সাথে কি করে অশ্লীল আচরণ করবো হুজুর? আমি দুদিন ধরে থানার বাবুদের বোঝাতে পারিনি। ওরা আমার কোনো কথা শোনেননি। আপনি বিশ্বাস করুন আমি শুধু বলেছিলাম এইভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় ছাত্রীদের সিগারেট খাওয়া উচিত নয়........। "বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লেন।আবার নিজেকে সামলে নিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা টি ব্যক্ত করলেন।সমগ্র আদালত পিন পড়ার মতো নীরব।কারোর মুখে কোনো কথা নেই। সবাই যেন আয়নায় নিজেকে দেখতে পাচ্ছে। নীরবতা ভাঙলেন জজসাহেব নিজেই।সরকারি আইনজীবী কে জিজ্ঞাসা করলেন-"কেসটাতো খুব সুন্দর  সাজিয়েছেন। আপনার কি এখনো মনে হয় এই বৃদ্ধ মাস্টারমশাই  আপনার মক্কেল মি. অরূপ দত্তের মেয়ে কে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল ?" না , কোনো জবাব  নেই। কোনো জবাব  থাকতে পারে না। মিথ্যার ফানুস ফেটে পড়া টা তো শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপর জজসাহেব অরূপ দত্তের উদ্দেশ্যে বললেন -"সুদূর সুন্দরবনের এই বৃদ্ধ মাস্টারমশাই যে কাজটা তিনদিন আগে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে  করলেন সেই কাজটা আপনি যদি আপনার বাড়িতে সময় মতো করতেন তাহলে হয়তো আজ মেয়ের জন্য আদালতে আসতে হতো না। একটু ভাবুন সামাজিক প্রতিপত্তি  আভিজাত্য টা কিসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। " 

দীপেন মাস্টার কে সসম্মানে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ধীরে ধীরে আদালত কক্ষ খালি হচ্ছে। মাস্টার ও নতমস্তকে চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসছেন।এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললেন-"সাহেব আপনাকে ডাকছেন।"

-"আমাকে ?
কোন সাহেব ?
বিস্মিত মাস্টার। 

-"চলুন সামনের বাম দিকটার ঘরে উনি আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আপনি ভিতরে চলে যান। "ধীর পদক্ষেপে শঙ্কিত  চিত্তে দীপেন মাস্টার ঘরে ঢুকে দেখলেন জজসাহেব তখনো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁকে দেখামাত্র জজসাহেব বললেন-"স্যার আমাকে চিনতে পারছেন? আমি বিজন, বিজন মন্ডল।১৯৮৬তে সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিলাম। "বলেই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন।

-"কিন্তু হুজুর আমি তো ঠিক মনে করতে........"

-"আমাকে হুজুর বলবেন না স্যার  আমি আপনার ছাত্র। আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি .....ছোটবেলায় একবার চক চুরি করেছিলাম বলে আপনি ডাস্টার দিয়ে আমার কপাল ফাটিয়ে দিয়েছিলেন .........।"

-"ও হ্যাঁ। এবার মনে পড়েছে।দেখো দেখি বাবা কি অন্যায় কান্ড।সেদিন ভুল করে......."

-"না স্যার আপনি ভুল করেননি।আপনি ভুল করতে পারেন না। সেদিন আপনি আমার কপাল ফাটিয়েছিলেন বলেই আজ আমি  এখানে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। তা নাহলে তো আমি চোর হয়ে যেতাম স্যার।" ছাত্র গর্বে গর্বিত শিক্ষকের দুচোখ বেয়ে তখন অঝোরে নামছে অশ্রুধারা। চোখের জল ফেলে ও যে এতো আনন্দ পাওয়া যায় তা তিনি আগে কোনোদিন বোঝেননি।

খ্যাতনামা জজসাহেব শ্রীযুক্ত বিজন মন্ডল তার কৈশোরের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শ্রীযুক্ত দীপেন্দ্র নাথ দাসকে সসম্মানে শিয়ালদহ স্টেশনে যাওয়ার ব্যবস্থা  করে দিলেন। দীপেন মাস্টার আজ বাড়িতে  ফিরছেন।ক্যানিং পেরিয়ে বাসন্তী হয়ে প্রবেশ করলেন শিবগঞ্জে।তাঁর অগণিত ছাত্র ছাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।আর তিনি নিজে তাঁর বাকী জীবন টা আরো অনেক বিজন গড়ার কাজে সঁপে দিলেন।স্কুল থেকে অবসর নিলেও তিনি তো কর্তব্য ও আদর্শ থেকে সরে আসেননি। তাই তো অরূপ দত্ত রা আজ ও হার মেনে যায় বিজন মন্ডল দের কাছে।দীপেন মাস্টারদের দীপশিখা যুগ যুগ ধরে আলো দিয়ে যায় আঁধার ঘোঁচাতে।
তথ্য সংগৃহীত।

Wednesday, 20 September 2023

সাঈদীর মৃত্যুতে ইন্না-লিল্লাহ বলে ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ায় বনফুলের কর্মী চাকরীচ্যুত।

বরাবর 
মাননীয় চেয়ারম্যান 
এম এ মোতালেব (সিআইপি)

শুরতেই এটা স্বীকার করে নিচ্ছি, মানুষের রিযিক হায়াত-মওত,ইজ্জত-সম্মান,সবকিছু একমাত্র আল্লাহর হাতে, এখানে বান্দার কোনো ক্ষমতা নেই।

অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি, জানিনা আপনার কাছে পৌঁছাবে কিনা, আপনার ব্যবসায়িক বনফুল এন্ড কোং লিঃ প্রতিষ্ঠান ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বর্তমানে ৩৪বছর চলতেছে, যেটাকে আমরা বিশুদ্ধ খাবারের বিশ্বস্ত নাম হিসাবে ছিনি।

আমি চ্যালেঞ্জ রেখে বলতে পারি, আমরা যখন কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে বেড়াতে যাই শতকরা ৭০% মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য সংগ্রহ করে থাকি, বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। 

এতোকিছু সত্বেও আপনার উৎপাদন কারখানা পটিয়ায় সুদীর্ঘ ৭বছর যাবৎ একজন কর্মরত সুপারভাইজার Shahadat Hossain Morad কে শহীদ মরহুম আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ফেইসবুকে  ইন্না-লিল্লাহ বলার কারণে চাকরিচ্যুত করে দিলেন।

এছাড়াও আপনার একান্ত সহকারী জনাব তৈয়ব সাহেব গতকাল বলতেছে সাঈদী প্রেমিদের স্থান নাকি বনফুলে হবেনা,পরিশেষে আপনার কাছে দারস্থ হলাম, এমনকি সেই ভুলটার কারণে আপনার পায়ে হাত রেখে ক্ষমা চেয়েছে তাতেও আপনার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখলাম না, আপনি স্পষ্ট বলে দিলেন চাকরি হবেনা😥

আপনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, সাঈদি প্রেমিদের স্থান যদি আপনার প্রতিষ্ঠানে না হয়, তাহলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্যে লিখে দিন, আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য সাঈদী প্রেমিরা যেনো সংগ্রহ না করে, ওদের জন্য নিষিদ্ধ করে দেন।

Monday, 18 September 2023

সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আমিরাত প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীর মৃত্যু।

আমিরাত প্রবাসি দেলওয়ার চৌধুরীর স্ত্রীর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু, দায়ি সিলেটের মাউন্ড এডোরা হাসপাতাল

নোট: সিলেটের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনুরোধ এটাকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধানী নিউজ করেন। প্রতিনিয়ত বলি হচ্ছে সিলেটের মানুষ
।।।।

ইউ এ ই এর কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ শারজাহ'র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী বিগত 16/08/2023 ইং উনার সহধর্মিনীকে নিয়ে 40 দিনের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন, উল্লেখ্য উনারা ছিলেন নি:সন্তান প্রবাসী দম্পতি উনারা একটা সন্তানের আশায় সিলেটের  মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক কিশোয়ারা পারভীন এর শরণাপন্ন হন, উনি অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ল্যাপারস্কপি লেজার অপারেশনের তারিখ ধার্য্য করেন, ডাক্তার কিশোয়ারা পারভীন বলেন এই ধরনের অপারেশনে কোন ভয় নেই মাএ দশ মিনিটের ছোট্ট অপারেশন, সকালে ভর্তি হইবেন আর বিকেলে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন,ডাক্তারের এমন আশ্বাসে সরল মনে প্রবাসী ভদ্র মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান, কিন্ত ডাক্তার দশ মিনিটের কথা বলে দীর্ঘ চার ঘণ্টা অপারেশন করে রোগীর স্বামীকে কিছু না বলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন, কিছুক্ষণ পরে হাসপাতাল থেকে ফোনে জানানো হয় রোগী  I C U তে স্থানান্তর করা হয়েছে ( রোগীর স্বামীর অনুমতি ছাড়া), সেখানে স্থানান্তরের কারণ জানতে চাইলে বলা হয় রোগীর B P ডাউন ছিল, বিকেলের দিকে ঠিক হয়ে যাবে, বিকেলে বলা হয় রোগী হার্ট এটাক করেছ। তৎখনিক বললে হয়ত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা যেত পারত, এই জন্যই সকালে বলা হয় নাই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত হলে এই হাসপাতালের ভূল বা অবহেলা রোগীর পরিবার জেনে যাবে।

বিভিন্ন অজুহাতে উন্নত চিকিৎসার  কথা বলে রোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়, পরের দিন বিকেলে ডাক্তাররা বলেন রোগী এখনও জীবিত রয়েছে, কিন্ত রোগীর স্বজনরা দেখতে পান রোগীর হাত পা ঠান্ডা হয়েছে, ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে বলে বড় স্যার সময়মত ভাল চিকিৎসা দিবেন, ওদের উদ্দেশ্য ছিল লম্বা বিল তৈরী করা, গভীর রাত চারটার দিকে রোগীর পরিবারের সদস্যদেরকে ফোন করে বলে স্যরি,

 ওরা তিন দিনে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রোগীকে লাশ বানিয়ে ষোল আনা টাকা আদায় করে, লাশ হস্তান্তর করে।

আপনারা হয়ত বলতে পারেন তৎখনিক কেন আইনের আশ্রয় নেওয়া হয় নাই, উনি অনেক পর্দাশীল মহিলা ছিলেন, আর পুলিশ পোষ্ট মর্টেম ছাড়া দাফন করতে দিবে না, বরং লাশের উপর অত্যাচার ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না,

আমাদের দেশের সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমাদের দাবি, আর যেন ডাক্তারদের টাকার লোভের কাছে অথবা অবহেলার কাছে আমাদের স্বজন হারাতে না হয়।

কপি পোস্ট

Tuesday, 5 September 2023

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদামে থাকা স্বর্ণের ১৫ নাকি ৫৫ কেজি উধাও

প্রথম আলোর সুত্রে ৫৫ কেজি উধাও আর বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে ১৫ কেজি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস রাখা হয় ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদামে। অথচ ঢাকা কাস্টমসের গুদাম থেকে প্রায় ১৫ কেজি সোনার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে এত সোনা উধাও হলো সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না কাস্টম হাউসের কোনও কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।

সুত্র জানান, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। এই শিফটগুলোতে জব্দ হওয়া সোনা এক গুদামেই রাখা হতো এতো দিন। তবে স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার  একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ খবর পান প্রায় ১৫ কেজি সোনা গুদামে নেই। এরপর একটি কমিটি করে দেওয়া হয় গুদামের  সব সোনা গণনা করার জন্য। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা মিলে। পরে আবার তা গণনা করছে কাস্টমস।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। সুরক্ষিত এই গুদামে চুরি হলে কাস্টমসের কেউই করেছে।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। সুরক্ষিত এই গুদামে চুরি হলে কাস্টমসের কেউই করেছে।