সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজ’পরিবারের সঙ্গে যুক্ত প্রিন্সেস হেন্দ আল কাসেমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম’লাইনে বিদ্বেষপূর্ণ ও ইসলা’মোফোবিক মন্তব্যের বিরু’দ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যাচ্ছেন।
এসব মন্ত’ব্যের বেশিরভাগ আসছে আরব আমিরাতে কর্মরত ভার’তের হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছ থেকে। -সাউথ এশিয়ান মনিটর, সিএনএন, নিউজ এইট্টিন
এতে উদ্বিগ্ন দেশটিতে নিযুক্ত ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর। ভারতীয় নাগরিক’দের সম্বন্ধে বলেন যে, বৈষম্য আমাদের নৈতিক বুনন ও আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং আমিরাতে বাস করা ভারতী’য়দের এটা মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে কিছু ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে একই স’ঙ্গে বেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই রাজকন্যা।
তিনি বলেন, আমিরাত ও ভার’তের সম্পর্ক শত বছরের পুরনো। কিন্তু এই প্রবণতা নতুন। ভারতী’য়দের কাছ থেকে আগে কখনো এমন বিদ্বেষমূলক আচরণ আমরা পাইনি।
প্রিন্সে’স হেন্দ যদিও স্বীকার করেন যে, কিছু ব্যক্তির এ ধরনের মন্তব্য আরব আমি’রাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ের প্রতিনিধিত্ব করে না কিন্তু তিনি বেশ কায়দা করে ভারতী’য়দের জন্য একটি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন এভাবে: শুধু মুসলিম ও খ্রিস্টান আমরা কাদে’রকে আমিরাতে জায়গা দেবো সেটা বেছে নিতে ভারত কি আমাদেরকে বাধ্য করছে? আমরা এই প্রশ্ন তুলিনি।
আমাদের কাছে তারা সবাই ভারতীয়। তারা ভারতীয় মুসল’মান বলে আমরা শুধু তাদের সঙ্গে কাজ করবো ,এভাবে কাউকে আমরা আলাদা’ভাবে ভাগ করিনি। দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী আরব আমিরাতে প্রায় ৩৫ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যারা দেশটির জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ। ভারতী’য়রাই সেখানে সবচেয়ে বড় বিদেশী জাতিগোষ্ঠী।
প্রিন্সেস হেন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমি যদি প্রকা’শ্যে বলি যে ভারতীয় হিন্দুদের আমিরাতে মেনে নেয়া হবে না, তাহলে ভারতীয়দের কেমন লাগবে? প্রতি’বছর আমিরাত থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমি’ট্যান্স ভারতে যায় – গত বছরও গিয়েছে। ভাবুন, সেটা বন্ধ হয়ে গেলে কেমন হবে? ভারতীয়রা এখানে কঠোর পরি’শ্রম করে। আমি মনে করিনা তারা ওইসব লোককে পছ’ন্দ করবে যারা তাদের ভুল প্রতি’নিধিত্ব করছে। তিনি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন উল্লেখ করে প্রিন্সেস বলেন যে এ কারণে তার উদ্বে’গ নিয়ে ভারত সরকা’রের সঙ্গে কথা বলেন’নি। তবে তার সঙ্গে সাবেক ভার’তীয় রাষ্ট্রদূত নবদীপ সুরির যোগা’যোগ রয়েছে। তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে প্রিন্সেসের বক্তব্য ‘জোরালো ও স্পষ্ট’।
প্রিন্সেস বলেন, তার দেশে বিদ্বে’ষমূলক বক্তব্য অবৈধ। তিনি ঘৃণা থামা’তে তার কণ্ঠ সরব করে যাবেন। কারণ তিনি ভার’তের বন্ধু।
No comments:
Post a Comment