Monday, 17 February 2020

রোহিঙ্গাদের মাদক পাচার প্রতিরোধ ও করণীয়।

বা;লাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের পথে মাদক ব্যবসা একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ই; মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকায় বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ( পুরাতন ভবন) র্যাব ১২ আয়োজিত মাদক বিরোধী সাইকেল র্যালী উদ্বধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে ৮০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে আর তারা প্রতিদিন প্রায় ২৫০ কোটি টাকা মাদকের পেছনে খরছ করে। এই মাদকসেবীদের নেশাজাত সামগ্রি যোগান দিচ্ছে অপরাধজগতের বাসিন্দা মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা। এই মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা আপনার আমার সকলের শত্রু, দেশের শত্রু। আমাদের আগামী প্রজন্ম মাদকের হুমকীর হয়ে দাড়িয়েছে। অবিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন না হলে নিজের সন্তানেরা অপ্রাপ্তবয়সেই নিজেকে ধ্ব;সের হাতে ফেলে দেবে। আমাদের দেশের প্রতিটি সীমান্তই মাদক পাচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে তার মধ্যে বর্তমানে দেশে আগত রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে মাদক পাচার প্রধান পেশা ও নেশা হিসেবে মনে করে। এর সাথে জড়িত ছেলে মেয়ে যুবক যুবতী, বুড়ো, বুড়ি সবাই জড়িত। কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত ” দৈনিক ইনানী ” পত্রিকা সূত্রে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; বুধবারে প্রকাশিত পত্রিকা মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ ন; ওয়াে্ডের নিজ পানখালী এলাকার কবির আহমদের স্ত্রী ছখিনা বেগম (৫০) কে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ই; মঙ্গল বার দুপুরে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গার মুখ এলাকা থেকে অভিযান চালিিয়ে ৫০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো হাবিবুর রহমান ছখিনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে ও তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে আমরা বুঝতে পারি যে এখাবেই এই এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে। ছখিনার মত হাজার হাজার মাদক পাচারকারী টাকার লোভে নেশাজাত দ্রব্য পাচার করে হাতে নাতে ধরা পড়ছে আর যারা দরা ছোয়ার বাইরে আছে তাদের মাধ্যমে পাচারকৃত মাদকদ্রব্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাচার হয়ে মাদকব্যবসায়িরা তাদের কালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবন মৃত্যুর মধ্যস্থান থেকে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য পাচার করা তাদের প্রধান পেশা হিসেবে মনে করে। তারা এটা বড় কোনো অপরাধ বলে মনে করে না। তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন বিধায় এটা নির্মুল করতে দেশের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর পক্ষে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারন জনসাধারনের কাছ থেকে কবর নিয়ে জানতে পারি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার ৬০% লোক ইয়াবা ও বিভিন্ন জাতের মাদক দ্রব্য ব্যবসা ও পাচারের কাজে সরাসরি জড়িত আছেন। রোহিঙ্গাদের সাথে চুক্তি করে অন্যান্য পন্য কেনার পাশাপাশি গুপ্তভাবে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে আগ্রহি হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে রোহিঙ্গাদেরে সুযোগ সুবিধা দিয়ে মাদকজাত দ্রব্য পাচারে ্ আগ্রহী করে নিজেরা বড় অ;কের অবৈধ টাকা উপার্জনের সুযোগ নিচ্ছে। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাাদদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা ও পাচার প্রতিহত করার জন্য মোবাইল কোর্ট এর অভিযান অব্যাহত থাকলেও মাদক ব্যবসায়িদের স;খ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে ইয়াবা ও মাদকজাত দ্রব্য ব্যবসায়িরা হচ্ছে কোচিপতি আর মাদকসেবীরা হচ্ছে ধ;শ। আগামী প্রজন্মের নিরাপদ জীবনের কথা চিন্তা করে, ধূমপান, ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকজাত দ্রব্য সহ সকল নেশার কালো থাবা থেকে রক্ষা করার স্বার্থে বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমাদেরে মাদক বিরোধী শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের তরুন সমাজকে এর ক্ষতিকর দিকগুলো ভাল ভাবে বুঝাতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শুধু আইনশৃ;খলা বাহিনী একা যুদ্ধ করলে দেশ মাদকমুক্ত হবে না, এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে একাত্বরের মত দেশের সর্বস্খরের নাগরিককে ধূমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যার যার অবন্থান থেকে অ;শ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্যম্প উখিয়া সহ দেশের সকল সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক পাচার ও ব্যবসায়িদেরে প্রতিহত করতে তরুন প্রজন্মকে জাগতে হবে। তরুনরাই পারে একটি ধূমপান ও মাদকমুক্ত বা;লাদেশ উপহার দিতে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন এই দেশকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত করতে সকল তরুনরা জেগে ওঠো। মাদক থেকে দেশকে বাচাতে আসুন আমরা সবাই সব ভেদাভেদ ভুলে মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে ঝাপিয়ে পড়ি। ( লেখক ; প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি – সুবাস) , সিলেট, বা;লাদেশ। একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যান স;স্থা) মোবাইল ; ০১৭২৫-৬৬০৪৪৭ ইমেইল ; syedaslam.bd@gmail.com

No comments:

Post a Comment